Reality Bites

~ by Omi Azad

  • নীড়
  • আমার সম্পর্কে
  • আমার দেখা সিনেমা
  • English
  • বাংলা

Tag Archives: Online

ই-কমার্স সপ্তাহ

13 রবিবার Jan 2013

Posted by Omi Azad in মন্তব্য, রিভিউ

≈ 12 Comments

Tags

Bangladesh, Bank, Commerce, Online

গত ৫ জানুয়ারি ২০১৩ থেকে ঢাকায় প্রথমবারের মতো শুরু হয়েছিলো ‘ই-কমার্স সপ্তাহ’। বাংলাদেশ ব্যাংক ও বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস)-এর যৌথ উদ্যোগে সপ্তাহব্যাপী এ আয়োজনে ছিলো ই-কমার্স বিষয়ক প্রদর্শনী, সেমিনার, গোলটেবিল বৈঠক ও কনসার্ট (ফান্ড তো শেষ করতে হবে)।

E-Commerce Week Banner

‘অনলাইনে কেনাকাটা করুন, যেকোনো কিছু, যেকোনো সময়’ এটাই থিম ছিলো ই-কমার্স সপ্তাহের। কিন্তু বাস্তবটা কিরকম আমরা কী একটু দেখতে পারিনা? ই লেনদেনের কয়েকটা চিত্র দেখা যাক।

  • আমরা আমাদের দেশের ভিসা/মাস্টার/আমেরিকান এক্সপ্রেস কার্ড দিয়ে অনলাইনে বিদেশ থেকে কিছু কিনতে পারিনা, শুধু হোটেল বুকিং দেয়া ছাড়া। সেটা কম-বেশী সবাই জানেন। এমনকি ট্রাভল কোটার ঐ কার্ডগুলি দিয়ে উড়জাহাজের টিকিট কেনা যায়না! উড়োজাহাজের টিকেট মনেহয় বাংলাদেশ ব্যাংকের ট্রাভল ডিকশনারিতে পড়েনা!!
  • আমেরিকায় গ্রেহাউন্ড বাসের কিয়স্ক থেকে টিকেট কিনতে পারিনি, কারণ সামনে কিয়স্ক থাকলেও পেছনের লেনদেন হচ্ছিলো ইন্টারনেটে।

এগুলি বিদেশের কথা। দেশী-বিদেশী লেনদেনে ঝামেলা হতেই পারে। আমি যদি ভুল না করে থাকি, তাহলে এই মূহুর্তে বাংলাদেশে কমার্শিয়াল ব্যাংকের সংখ্যা ৫০এর অধিক, দেখি সেগুলোর অবস্থা কী।

  • ই-কমার্স মানে শুধু কার্ড ব্যবহার করে অনলাইনে কেনাকাটা না, যদি বাংলাদেশ ব্যাংক সেটা মনে করে, তাহলে আমাদের পাথরের যুগে চলে যাওয়া উচিৎ। ই-কমার্স সপ্তাহের ব্যানারে অন্তত সেরকম কিছুই লেখা আছে।
  • ৫০টি ব্যাংকের মধ্যে সর্বোচ্চ ১০টি ব্যাংকের অনলাইন সেবা আছে। অন্যদের থেকে থাকলে, হয় আমি জানিনা বা তারা সেগুলি প্রচার করতে বা সেবা দিতে আগ্রহী না। তো এই ১০টি ব্যাংকের অনলাইন সেবায় কী করা যায়? সেগুলি দিয়ে লেনদেন ও ব্যালেন্স দেখা যায়। ওহ্! মাঝে মাঝে আবার সার্ভার বন্ধ থাকে।
  • উক্ত ১০টি ব্যাংকের মধ্যে সর্বোচ্চ ৫টি ব্যাংক অনলাইনে বসে বিভিন্ন ইউটিলিটি বিল পরিশোধের সুযোগ দিয়ে থাকে। কিন্তু যদি কোনো কারনে আপনি কিছু ভুল করে ফেলেন, আপনার টাকা আর ফেরৎ পাবেন না।
  • এই ৫টি ব্যাংকের মধ্যে ৩-৪টি ব্যাংক অনলাইনে এক ব্যাংক থেকে অন্য ব্যাংকে টাকা লেনদেনের সুযোগ দিয়ে থাকে। তার মধ্যে ২টি ব্যাংকে কোনো ঝামেলা ছাড়াই লেনদেন করা যায় এবং অন্যগুলিতে বহু কাঠ-খড় পুঁড়তে হয়, তার চাইতে সেবা না নেয়াই ভালো।

অনলাইন ব্যাংকিং এরকম হবার কারন কী? এবার দেখি দেশের ভেতরে ক্রেডিট/ডেবিড কার্ড ব্যবহারের অবস্থা!

  • এক ব্যাংকের মাস্টার ডেবিড কার্ড নিয়ে গেলাম অনলাইনে কিউবির বিল দিতে, কাজ হয়না। কাস্টমার কেয়ারে ঘ্যানর ঘ্যানর করার পরে জানলাম সেই ব্যাংকের ডেবিড কার্ড অনলাইনে ব্যাবহার করা যায়না!!!
  • আরেক ব্যাংকের ভিসা ডেবিড কার্ড নিয়ে গেলাম অনলাইনে ঐ বিলটি দিতে, কাজ হয়না। কাস্টমার কেয়ারে মা-বাবার নাম বলার পরে (ভেরিফিকেশনের জন্য) খানিকটা প্যাচাল পাড়তে হলো। ১০/১২ মিনিট লাইনে থাকার পরে তারা জানালেন সেই ব্যাংকেরও ডেবিড কার্ড অনলাইনে ব্যাবহার করা যায়না!!!
  • এবার একটা ভিসা ক্রেডিট কার্ড নিয়ে গেলাম ঐ বিল দিতে, একই ভাবে জন্ম তারিখ ও চৌদ্দগুষ্টির নাম শোনার পরে আমাকে বলা হলো তারা আমাদের নিরাপত্তার জন্য অনলাইন ট্রানজেকশন বন্ধ করে রাখেন। তবে এক্ষুনি খুলে দিচ্ছেন যাতে আমি বিলটা দিতে পারি। কিছুক্ষণ অপেক্ষায় রাখার পরে আপুটা কাজটা করতে না পেরে প্রচন্ড দুঃখ প্রকাশ করলেন (শুধু হাউমাউ করে কাঁদেননি) এবং আমাকে ঐ ফোনগুলি থেকে ফোন করতে বললেন যেগুলি এই কার্ডের সাথে নিবন্ধিত আছে। সেটাই যদি হবে, তাহলে জন্মতারিখ সহ চৌদ্দগুষ্টির নাম জিজ্ঞেস করার দরকার কী ছিলো?
  • ফোনে কথা হচ্ছিলো একটি ই-কমার্স দোকানের সাথে –
    : ভাই আমার কার্ডতো অনলাইনে ঝামেলা করে।
    : আপনি চেক আউটের সময় ‘ক্যাশ অন ডেলিভারী’ নির্বাচন করুন। আপনি অনলাইনে টাকা দিলে সেই টাকা আমার একাউন্টে আসতে মাস পার হয়ে যাবে, এর থেকে ক্যাশ নিতেই আমরা আগ্রহী!
  • সেদিন ফেসবুকেও দেখলাম, এক বন্ধু লিখেছে, “Bought StartupWeekend Student ticket from _____ but did not get any confirmation. Card is charged. I’ve complained by calling their number yesterday. they said they will inform me the status. but no further communication by them!!!”

কোনো ব্যাংক বলে সেন্ট্রাল ব্যাংকের নির্দেশে আমরা এরকম করছি, আমাদের কাছে চিঠি দেয়া হয়েছিলো। একটা দেশের সেন্ট্রাল ব্যাংক একটাই এবং নীতিমালাও এক, তাহলে একেক ব্যাংক একেক রকম কথা বলে কেন? কেউ সুযোগ দেবে কেউ দেবেনা এরকম হওয়া উচিৎ না।

অনেকে জেনে থাকবেন যে বিদেশে একটা একাউন্ট পে চেক জমা দিতে ব্যাংকে যেতে হয়না। বাসা থেকে চেক স্ক্যান করে অনলাইনে ফর্ম পূরণ করলেই কাজ হয়ে যায়। বেসিস বা বাংলাদেশ ব্যাংক কি আদৌ এগুলি ঠিক করতে পারবে!

শেয়ার করুন:

  • Tweet
  • Email

লেখার তালিকা

  • অ্যানড্রোয়েড
  • আইটি বিশ্ব
  • ই-কমার্স
  • উদ্ভট
  • ওপেন সোর্স
  • গল্প টল্প
  • গান বাজনা
  • গুগল্
  • গ্যাজেট
  • টিউটোরিয়াল
  • টেলিকম
  • বাংলা কম্পিউটিং
  • বাংলাদেশ
  • ব্যক্তিগত
  • মন্তব্য
  • মাইক্রোসফট
  • রিভিউ
  • সফটওয়্যার রিভিউ

সদ্য লেখা

  • ডাক্তার শায়লা শামিম ও মনোয়ারা হাসপাতালের অভিজ্ঞতা
  • ই-কমার্স – বাংলাদেশ পরিস্থিতি এবং ভবিষ্যৎ!
  • Install Google Apps and Play Store on Nokia X, X+ and XL
  • মাইক্রোসফটের কাছে পাওয়া শেষ চেক্!
  • Root Walton Walpad 8b, Walpad 8w, Walpad 8 and Walpad 7
  • স্টার সিনেপ্লেক্স – যাত্রার প্রায় ১০ বছর!
  • রিভিউ: বেলিসমো প্রিমিয়াম আইসক্রিম
  • পোস্টপেইড মোবাইল! না ছাগলের তিন নম্বর বাচ্চা!!
  • ই-কমার্স সপ্তাহ
  • পুরুষদের জন্য দেশী পণ্য – কুল
  • মাইক্রোসফট সার্ফেস (আরটি) নিয়ে চারদিন!
  • মাইক্রোসফট উইন্ডোজ এইটের চমক
  • Always on My Mind অসাধারণ একটি গান!
  • সরাসরি ডেস্কটপ আর থাকছেনা উইন্ডোজ ৮-এ
  • নতুন গ্যাজেট “আই-ফাই” মেমরি কার্ড

আমার পছন্দ

Ekushey


Create Your Badge


Unicode Encoded


Proudly powered by WordPress Theme: Chateau by Ignacio Ricci.

loading Cancel
Post was not sent - check your email addresses!
Email check failed, please try again
Sorry, your blog cannot share posts by email.