অস্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় লাইসেন্স পেয়েছে ওয়ারিদ – অবৈধ পথে অর্থ লেনদেনের অভিযোগ – কারসাজিপূর্ণ মানদণ্ড নির্ধারণ – ভিন্ন ভিন্ন নামে কার্যক্রম পরিচালনা ওয়ারিদ টেলিকমকে লাইসেন্স দেওয়ার বিনিময়ে অবৈধ পথে প্রচুর অর্থ লেনদেন হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। পাঁচ কোটি ডলারে (বাংলাদেশি টাকায় ৩৫০ কোটি) এই লাইসেন্স কেনা হলেও প্রায় সমপরিমাণ অর্থ চাঁদা হিসেবে দেওয়া হয়েছে। সাবেক জোট সরকারের মন্ত্রী, সাংসদসহ বিভিন্ন ব্যক্তি এই অর্থ পেয়েছেন বলে জানা গেছে। বিতর্কিত ব্যবসায়ী গিয়াসউদ্দিন আল মামুন তাঁর জবানবন্দিতেও বলেছেন, জোট সরকারের সাবেক সাংসদ আলী আসগার লবী ৫০ লাখ ডলার (বাংলাদেশি টাকায় ৩৫ কোটি) ওয়ারিদ টেলিকমের মূল প্রতিষ্ঠান ধাবি গ্রুপ থেকে পেয়েছেন। একটি সূত্র জানায়, বেগম খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমানও ওয়ারিদের লাইসেন্স প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলে গিয়াসউদ্দিন আল মামুনের জবানবন্দিতে উল্লেখ রয়েছে।

অস্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে ওয়ারিদ টেলিকম ইন্টারন্যাশনাল এলএলসিকে। প্রস্তাব আহ্বান থেকে শুরু করে অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন মানদণ্ডে নম্বর দেওয়ার পুরো প্রক্রিয়াই ছিল কারসাজিপূর্ণ ও বিধির লঙ্ঘন। ওয়ারিদের লাইসেন্স পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করতে পুরো প্রক্রিয়াটি অপ্রতিযোগিতামূলকভাবে সম্পন্ন করা হয়। আর এই লাইসেন্স দেওয়ার বিনিময়ে লেনদেন হয়েছে নগদ অর্থ। সূত্রমতে, সে সময় সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকেও ওয়ারিদকে লাইসেন্স দেওয়ার জন্য বিটিআরসিকে বলা হয়েছিল।তবে বিটিআরসির তৎকালীন চেয়ারম্যান ওমর ফারুক দাবি করেছেন, লাইসেন্স দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনো অস্বচ্ছতা নেই।

২০০৪ সালের ১ জানুয়ারি বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন বা বিটিআরসির জারি করা প্রবিধানে বলা ছিল, প্রতিযোগিতামূলক দরপত্রের মাধ্যমে নতুন লাইসেন্স দিতে হবে। দরপত্রের মাধ্যমে দুই খামবিশিষ্ট কারিগরি ও আর্থিক প্রস্তাব বিবেচনা করে যোগ্য প্রতিষ্ঠান নির্বাচন করতে হবে। কারিগরি প্রস্তাবের চেয়ে আর্থিক প্রস্তাবকে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। কিন্তু ওয়ারিদকে লাইসেন্স দেওয়ার সময় কোনো কিছুই মানা হয়নি।

বিটিআরসির দরপত্র: ২০০৫ সালের ৫ অক্টোবর বিটিআরসি মোবাইল ফোনের ব্যবসা পরিচালনার নতুন লাইসেন্সের জন্য আবেদন আহ্বান করে। দরপত্রে প্রতিষ্ঠান বাছাইয়ের সাতটি মানদণ্ড উল্লেখ করা হয়। যেমন প্রতি মিনিটে কলরেট, তিন বছরে গ্রাহক করার পরিকল্পনা, সেবার প্রস্তাব (এসএমএস, জিপিআরএস প্রভৃতি), সংযোগের মূল্য, মোবাইল ফোন পরিচালন ব্যবসার অভিজ্ঞতা, স্বল্প সময়ে সর্বোচ্চ গ্রাহক করার অতীত রেকর্ড ও মোবাইল ফোন ছাড়াও অন্যান্য খাতে বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি। এ ক্ষেত্রে শর্ত দেওয়া হয়, বাংলাদেশে যাঁরা ব্যবসা করছেন, তাঁরা নতুন করে লাইসেন্স পাওয়ার আবেদনে অংশ নিতে পারবেন না।

মানবণ্টন: প্রস্তাব আহ্বান করার প্রায় তিন সপ্তাহ পর ২৬ অক্টোবর বিটিআরসি বিভিন্ন মানদণ্ডে কত নম্বর দেওয়া হবে সে বিষয়ে আরেকটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে। সেখানে বলা হয়, কোনো কোম্পানি সার্কভুক্ত কোনো দেশে আছে কিন্তু মালিকানা সার্কভুক্ত দেশের নয়, সে জন্য পাবে ৩০ নম্বর। টেলিযোগাযোগ খাত ছাড়াও অন্য খাতে বিনিয়োগে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হওয়ার জন্য পাবে ৩০ নম্বর এবং লাইসেন্স দেওয়ার ১৮ মাসে যদি ১০ লাখ গ্রাহক করার রেকর্ড থাকে, তাহলে পাবে ১০ নম্বর। এ ছাড়া কলরেটের ওপর ৫, তিন বছরের মধ্যে গ্রাহকসংখ্যার পরিকল্পনায় ১৫, বিভিন্ন ধরনের সেবার জন্য ৫, সংযোগ ফির প্রস্তাবিত মূল্যের জন্য ৫ নম্বর পাবে।

প্রস্তাবের দৌড়ে ওয়ারিদ প্রথম: বিটিআরসির বেঁধে দেওয়া সময়ে মাত্র দুটি কোম্পানি প্রস্তাব জমা দেয়। জানা গেছে, নম্বর দেওয়ার এই প্রক্রিয়া এমনভাবে করা হয়েছে, যাতে দরপত্র কিনলেও অন্যরা আর প্রস্তাব জমা দেয়নি। আন্তর্জাতিকভাবে ওয়ারিদ টেলিকমই একমাত্র ৭০ নম্বর পাওয়ার দাবিদার। কারণ পাকিস্তানে তাদের ব্যবসা আছে, মালিকানা সার্কভুক্ত দেশের নয় এবং পাকিস্তানেই তারা লাইসেন্স পাওয়ার ১৮ মাসের মধ্যে ১০ লাখ গ্রাহক করেছে। এ ছাড়া ওয়ারিদের মূল কোম্পানি আবুধাবি গ্রুপ টেলিযোগাযোগ ছাড়াও বাংলাদেশে অন্য খাতে বিনিয়োগের জন্য সমঝোতা চুক্তিতে সই করেছে।

ওয়ারিদ টেলিকমের পাশাপাশি জর্দানের উমনিয়া নামের আরেক প্রতিষ্ঠান লাইসেন্স পাওয়ার আবেদন করে। মোবাইল ফোন খাতে একেবারেই নতুন এই প্রতিষ্ঠানের ব্যবসা শুধু ছিল জর্দানে। ২০০৫ সালের জুন মাসে ব্যবসা শুরু করে পরের বছরেই উমনিয়া বাহরাইন টেলিকমের কাছে তাদের ব্যবসা বিক্রি করে দেয়। উমনিয়াকে আনাও একটি সাজানো ব্যাপার বলে অনেকে মনে করেন। একটি মাত্র প্রতিষ্ঠান আবেদন করে লাইসেন্স পাওয়ার বিষয়টি সমালোচিত হতে পারে, তাই এই প্রতিষ্ঠানকে দিয়ে আবেদন করানো হয়েছিল।

আর্থিক প্রস্তাব ছাড়াই লাইসেন্স: ২০০৫ সালের ৫ ডিসেম্বর কমিশনের ৪০তম বৈঠকে ওয়ারিদ টেলিকমের প্রস্তাবকে গ্রহণযোগ্য বিবেচনা করা হয় এবং ২০ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে লাইসেন্স দেওয়া হয়। লাইসেন্স ফি হিসেবে বিটিআরসির নির্ধারিত পাঁচ কোটি ডলার বা ৩৫০ কোটি টাকা চাওয়া হয়। বিটিআরসি সূত্রে জানা গেছে, ওয়ারিদ কোনো আর্থিক প্রস্তাব জমা দেয়নি। অথচ ২০০৪ সালের প্রবিধানে পরিষ্কারভাবে বলা আছে, কারিগরি ও আর্থিক প্রস্তাব বিবেচনা করে যোগ্য প্রতিষ্ঠান নির্বাচন করতে হবে। একই সঙ্গে কারিগরি প্রস্তাবের চেয়ে আর্থিক প্রস্তাবকে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে।

যোগাযোগ করা হলে বিটিআরসির তৎকালীন চেয়ারম্যান ওমর ফারুক প্রথম আলোকে বলেন, বিটিআরসি সরকারি ক্রয় নীতিমালার নির্দেশিকা অনুসরণ করে দরপত্র আহ্বান করেছে। যাদের প্রস্তাব এসেছে তা মূল্যায়ন কমিটি দ্বারা যাচাই হয়েছে। মানবণ্টনের বিষয়টি কোনো ব্যক্তির সিদ্ধান্ত নয়, কমিশনের সব সদস্যের সিদ্ধান্ত ও কমিশন তা অনুমোদন করেছে। ওয়ারিদকে লাইসেন্স দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনো অস্বচ্ছতা নেই বলে তিনি দাবি করেন।

বিনিয়োগ বোর্ডের বর্তমান নির্বাহী চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম বলেন, ওয়ারিদ যখন আসে তখন বিনিয়োগ বোর্ডের নির্বাহী চেয়ারম্যানের দায়িত্বে আমি ছিলাম। তবে বিনিয়োগ বোর্ডের সঙ্গে তাদের সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর হলেও লাইসেন্স দিয়েছে বিটিআরসি। এ কাজে বিনিয়োগ বোর্ডের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই বলে তিনি মন্তব্য করেন।

একাধিক নামে ওয়ারিদের ব্যবসা: লাইসেন্স পাওয়ার পরও নানা ধরনের অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে ওয়ারিদের নামে। ওয়ারিদ টেলিকম নামে একাধিক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে ব্যবসা পরিচালনা করছে। যেমন ওয়ারিদ টেলিকম ইন্টারন্যাশনাল এলএলসি, ওয়ারিদ টেলিকম ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড, ওয়ারিদ টেলিকম ইত্যাদি। এগুলোর অফিসের ঠিকানাও ব্যবহার করা হচ্ছে বিভিন্ন নামে। যেমন বনানী, গুলশান ও বারিধারা। বাংলাদেশে ওয়ারিদ টেলিকম ইন্টারন্যাশনাল এলএলসি লাইসেন্স পেলেও স্থানীয় ব্যাংক থেকে ৪০০ কোটি টাকার ঋণ নেওয়া হয়েছে ওয়ারিদ ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের নামে। একই সঙ্গে তারা বিভিন্ন অপারেটিং কোম্পানির সঙ্গে ভিন্ন ভিন্ন নামেও চুক্তি করেছে। যেমন, ২০০৬ সালের ২৫ জুলাই প্যাসিফিক বাংলাদেশ টেলিকমের সঙ্গে যে আন্তসংযোগ চুক্তি করেছে, তার নাম ওয়ারিদ টেলিকম ইন্টারন্যাশনাল এলএলসি, বাংলাদেশ অপারেশন। আবার সেবা টেলিকম বা বাংলালিংকের সঙ্গে চুক্তি করা হয়েছে ওয়ারিদ টেলিকম ইন্টারন্যাশনাল নামে। একটেলের সঙ্গে প্রথমে আন্তসংযোগ চুক্তি করা হয়েছিল ওয়ারিদ টেলিকম ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের। পরে তা সংশোধন করে ওয়ারিদ টেলিকম ইন্টারন্যাশনাল এলএলসি, বাংলাদেশ অপারেশনের সঙ্গে করা হয়।

বিদেশি বিনিয়োগের নামে স্থানীয় উৎস থেকে তহবিল সংগ্রহ: লাইসেন্স পাওয়ার প্রায় এক বছর পর ২০০৬ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর ওয়ারিদ টেলিকম ইন্টারন্যাশনাল নামে একটি কোম্পানি বিনিয়োগ বোর্ডে নিবন্ধিত হয়, যার পরিচালক হচ্ছেন নাহিয়ান মুবারক আল নাহিয়ান ও শেখ সাইফ বিন মোহাম্মদ বিন বুতি আল হামিদ। বিনিয়োগ বোর্ডের কাছে ওয়ারিদ তাদের মোট বিনিয়োগ হিসেবে উল্লেখ করেছে ১০৮ কোটি ৯৫ লাখ ডলার, যা স্থানীয় টাকায় সাত হাজার ৬২৬ কোটি। এসব বিনিয়োগের উৎস হিসেবে দেখানো হয় নিজস্ব বিদেশি মূলধন দুই হাজার ২৮৮ কোটি টাকা, স্থানীয় ঋণ ৪০০ কোটি ও বিদেশি ঋণ চার হাজার ৯৩৮ কোটি টাকা।

ওয়ারিদ টেলিকম ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড স্থানীয় বাজার থেকে ইতিমধ্যে ৪০০ কোটি টাকা ঋণ করেছে। কিন্তু এ ক্ষেত্রেও জটিলতা দেখা দিয়েছে। বিটিআরসি ওয়ারিদ টেলিকম ইন্টারন্যাশনাল এলএলসিকে লাইসেন্স দিলেও ওয়ারিদ টেলিকম ইন্টারন্যাশনাল নামে কোনো প্রতিষ্ঠানকে লাইসেন্স দেয়নি। তাই ব্যাংকারদের সন্তুষ্ট করতে ওয়ারিদ টেলিকম তাদের প্রদত্ত লাইসেন্সটি সংশোধনের জন্য বিটিআরসিকে অনুরোধ জানায়। তাদের অনুরোধের মাত্র দুই দিনের মধ্যেই প্রদত্ত লাইসেন্সটি সংশোধন করে বিটিআরসি জানিয়ে দেয় যে ওয়ারিদ টেলিকম ইন্টারন্যাশনাল এলএলসি ও শতভাগ সহযোগী প্রতিষ্ঠানকে দেওয়া হলো। বিটিআরসির এই সংশোধন টেলিযোগাযোগ আইন ২০০১-এর ৩৭ নম্বর ধারার সম্পূর্ণ লঙ্ঘন। এই সংশোধনের মাধ্যমে দুটি প্রতিষ্ঠানকে লাইসেন্সের ক্ষমতা ব্যবহারের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু লাইসেন্স প্রদানের সময় সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ আছে, এই লাইসেন্স সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে হস্তান্তরযোগ্য নয়। তা ছাড়া ওয়ারিদ টেলিকম ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড নামে কোনো প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে মোবাইল ফোন ব্যবসা পরিচালনার জন্য কখনো বিটিআরসির কাছে আবেদনও করেনি।

এ ব্যাপারে ওয়ারিদের বক্তব্য জানতে কয়েক দফা তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তারা ফ্যাক্স মারফত প্রথম আলোর প্রশ্নপত্র চেয়ে পাঠায়। দুই দফা ফ্যাক্সযোগে প্রশ্ন পাঠানোর পরও তাদের কাছ থেকে সাত দিন পরেও কোনো জবাব আসেনি।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশে মোবাইল ফোন খাতের গ্রাহক প্রবৃদ্ধির হার ছিল ১০০ শতাংশের ওপরে। আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, বর্তমানে বাংলাদেশ বিশ্বের বিকাশমান বাজারের শীর্ষ তালিকায় আছে। ২০০৪ সালে পাকিস্তান নিলাম ডেকে ওয়ারিদ টেলিকম ইন্টারন্যাশনাল এলএলসি ও টেলিনরের কাছে ২৯ কোটি ১০ লাখ ডলার বা দুই হাজার ২৩ কোটি টাকায় প্রতিটি লাইসেন্স বিক্রি করেছে। আফগানিস্তান ২০০৫ সালে আট কোটি ডলার বা ৫৬০ কোটি টাকায় লাইসেন্স বিক্রি করেছে। এমনকি গত বছর ভুটানেও প্রথম মোবাইল ফোনের লাইসেন্স বিক্রি হয়েছে এক কোটি ৭৩ লাখ ডলার বা বাংলাদেশি অর্থে ১২১ কোটি টাকায়, যার মোট জনসংখ্যা মাত্র সাত লাখ। সাবেক জোট সরকারের অর্থমন্ত্রী জাতীয় সংসদে বিভিন্ন সময়ে মোটা অঙ্কে লাইসেন্স বিক্রির উদাহরণ দিলেও সে সময়েই সর্বনিম্ন মূল্যে ও অনিয়ম করে ওয়ারিদকে লাইসেন্স দেওয়ার ঘটনা ঘটে।

হানিফ মাহমুদ
দৈনিক প্রথম আলো
৬ মে ২০০৭

একে আমরা Warid Telecom না বলে Wired Telecom বলতে পারি না?

😉