বেশীদিন হয়নি কয়েকজন বন্ধু মিলে একটি স্টার্ট পেইজ তৈরী করার স্বপ্ন দেখে। এমন একটা হোমপেইজ, যেটায় ব্যবহারকারীরা নিজেদের পছন্দমতো সজাতে পারবে আকাঙ্খিত বিষয়বস্তু দিয়ে। তৈরী হয় পেইজফ্লোক্স (http://www.pageflakes.com)

শুরুটা ছিলো একেবারেই সাদামাঠা, শুধু ছিলো কিছু জাভাস্ক্রীপ্টের জটিল কারুকাজ। পরে ভবিষ্যতের সম্ভাবনা আঁচ করতে পেরে ইউরোপিয় কোম্পানীর সহযোগিতায় তিলে তিলে গড়ে ওঠে পইজফ্লেক্সের মজবুত কাঠামো, একের পর এক ব্যবহার করা হয় Web 2.0-এর সব বৈশিষ্ঠ এবং পরিনত হয় বিশ্বজুড়ে মানুষের একটি পছন্দের স্টার্ট পেইজে।

সাইটটি তৈরীতে মূলত ব্যবহার করা হয়েছে Web 2.0-এর গুনাবলি। বাংলাদেশের ডেভলপার ওমর আল জাবির মিশো, শাহেদ খন্দকার এটার কাজ শুরু করেন এবং সন্ময়নকারী হিসেবে ছিলেন কৃস্টোফ। পরে শাফকাত আহমেদ, অমিত এবং মেহফুজ হোসেন টিমে কোর ডেভলপার হিসেবে যোগ দেন। যখন এই সাইটটির কাজ শুরু হয়, তখন Web 2.0 কাকে বলে, সেই সম্পর্কেই মানুষের ধারনা ছিলো কম। কিন্তু বর্তমানে সাইটটি গুগল্ এবং মাইক্রোসফটকে কাটিয়ে এক নম্বর অবস্থানে রয়েছে (সূত্র: http://web2.0awards.org/ ) সম্প্রতি Web 2.0-এর প্রথম পুরস্কার পেয়ছে পেইজফ্লেক্স, দ্বিতীয় অবস্থানে আছে http://www.google.com/ig এবং সর্বশেষ অবস্থানে আছে মাইক্রোসফটের http://www.live.com তাই বলতেই হয় যে ক্ষেত্র বিশেষে আমাদের বাঘ-রাও পারে বিশ্বকে টেক্কা দিতে।

এই সফলতা দেখে আমাদের বলা উচিৎ, “সাবাস বাঘের বাচ্চা”