Reality Bites

~ by Omi Azad

  • Home
  • About Me!
  • My Movies
  • English

Category Archives: গ্যাজেট

আমার গ্যাজেট

মাইক্রোসফট সার্ফেস (আরটি) নিয়ে চারদিন!

16 শুক্রবার নভে. 2012

Posted by Omi Azad in গ্যাজেট, ব্যক্তিগত, মাইক্রোসফট, রিভিউ

≈ 4 Comments

গতমাসে মাইক্রোসফট অনেক ঢাক-ঢোল পিটে সার্ফেস নামের নতুন এই গ্যাজেট লঞ্চ করেছে। সার্ফেস লঞ্চ অনুষ্ঠানগুলিতে মাইক্রোসফটের বড় বড় কর্মকর্তাদের গুলিস্তানের হকার বনে যাওয়া দেখে ভাবলাম এই যাদুর বাক্স চালিয়ে না দেখলেই না! উঠে পড়ে লেগে গেলাম কিভাবে এই জিনিস আমেরিকা থেকে আমদানী করা যায়। গত সপ্তাহে এক বড়ভাই’র আত্মীয়র মাধ্যমে আমেরিকা থেকে একটি সার্ফেস আনিয়ে নিয়েছিলাম। জিনিসটা হাতে পেয়ে অসম্ভব ভালো লাগছিলো। অসাধারণ ডিজাইন, এমনকি প্যাকেজিংটাই অসম্ভব সুন্দর। বলতেই হয় অ্যাপলের কাছ থেকে কিছু হলেও উৎসাহ পেয়েছে মাইক্রোসফট।

আমি একদম কম খরচেরটা কিনেছিলাম। কম খরচ বলতে কী-বোর্ডের ধরণ/রঙে এবং স্টোরেজের পরিমাপের উপর ভিত্তি করে সার্ফেসের দামের অনেক তারতম্য আছে। যেমন:

  • কী-বোর্ড বাদে ৩২ গিবা সার্ফেস আরটি – $৪৯৯
  • কালো টাচ্ কী-বোর্ড ৩২ গিবা সার্ফেস আরটি – $৫৯৯
  • কালো টাচ্ কী-বোর্ড ৬৪ গিবা সার্ফেস আরটি – $৬৯৯
  • অন্য রঙের টাচ্ কভার (সাদা, লাল, ফিরোজা, গোলাপী) – $১১৯
  • সার্ফেস কালো টাইপ কভার – $১২৯

আমি $৫৯৯ দিয়ে কালো টাচ্ কী-বোর্ড সহ ৩২ গিবা সার্ফেস আরটি কিনেছিলাম। আর মাইক্রোসফট জার্মানীর এক বন্ধুর দেয়া কুপন ব্যবহার করে $৯৯ ডিসকাউন্ট নিতে পেরেছিলাম মাইক্রোসফট স্টোর থেকে।

সারাদিন চার্জ করার পরে সেদিন সন্ধ্যায় অনেক উত্তেজনা নিয়ে সার্ফেসটা চালু করলে প্রায় তিন ঘন্টা ধরে স্ক্রিণে “অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন আমরা আপনার জন্য সার্ফেস প্রস্তুত করছি, ধৌর্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ” টাইপের একটা ম্যাসেজ ঝুলে ছিলো। অগত্যা আবার চার্জে লাগিয়ে বসে থাকলাম। আমি কিন্তু ওয়াই-ফাইতেও সংযুক্ত করিনি তখনো। চালু হবার পরে ইন্টারনেটে কানেক্ট করলাম, মাইক্রোসফট একাউন্টে লগ-ইন করলাম, কিন্তু স্টোরে গেলে আমাকে বার বার বলছে যে আমি ইন্টারনেটের সাথে সংযুক্ত নই, অথচ আমি অনায়াসে নেট ব্রাউজ করতে পারছিলাম।

পরে বুঝতে পারলাম এখানে দেশ ভিত্তিক ঝামেলা থাকতে পারে। আমি এর আগেও মাইক্রোসফটের সংকীর্ণমনতা দেখেছি এসব ক্ষেত্রে, তাই Outlook-এ গিয়ে আমেরিকার ঠিকানা দিয়ে একটা ইমেইল খুললাম, সার্ফেস ফ্যাক্ট্রি রিসেট দিয়ে আবার ঐ ইমেইল দিয়ে চালু করয় দেখি স্টোরের ঝামেলা ঠিক হয়েছে।

আমার একটা দ্বিতীয় প্রজন্মের আইপ্যাড টু আছে। সার্ফেসটা সেটা থেকে একটু বড় হলেও স্ক্রীনে অতটা উজ্বল না। দিনের আলোতে ব্যালকনিতে ব্যবহার করা যায়না ঠিকমত। তারমানে কেউ যদি গাড়িতে বসে কাজ করতে চায়, সেটা মনেহয়না সম্ভব হবে। থিউটিটিক্যালি এটা ওজন আইপ্যাড থেকে কম বলা হলেও আমার কাছে সেরকম কিছু মনে হয়নি, বরং আকারটা একটু বাল্কি মনে হয়েছে।

উইন্ডোজ আরটি-এর মধ্যে ডেস্কটপ মোড আছে, কিন্তু সেটা কেনো আছে তা আমার কাছে পরিস্কার না। কন্ট্রল প্যানেলে কিছু করতে গেলে কখনো মডার্ণ মোডে কখনো ডেস্কটপ মোডে যায়! আমার মনেহয় ব্যহারকারীরা এতে চরম বিরক্ত হবে।

স্টোরে কাজে লাগার মতন অ্যাপের বড়ই অভাব। আর যেগুলি আছে সেই অ্যপ্লিকেশনগুলি অসম্ভব ধীর গতির! একটায় ট্যাপ করে বসে থাকতে হয়। আবহাওয়ার অ্যাপ্লিকেশনের মিনিট খানেক লাগে ডেটা নিয়ে আসতে (আমেরিকায় আরও ভালো কাজ করতে পারে উচ্চ গতির ইন্টারনেটে)।

যেই অ্যাংরি বার্ডস্ অ্যান্ড্রোয়েডে বিনামূল্যে পাওয়া যায়, বা HD ভার্সনটা আইওএসে দুই ডলার দিয়ে পাওয়া যায়, সেটা (HD কি না সেটা বলা নাই) উইন্ডোজ স্টোরে আইওএসের চাইতে আরও দেড় ডলার দাম বেশী। আমি কারণ বুঝতে পারিনি।

স্কাইপির মতন অ্যাপ্লিকেশন কত খেলনা আর স্লো হতে পারে, সেটা জানতে উইন্ডোজ আরটি ব্যবহার করা দরকার। সামনে-পেছনে ক্যামেরা থাকলেও ক্যামেরার পারফরমেন্স আমার কাছে সেরকম সুবিধার মনে হয়নি! সামনের ক্যামেরার ছবি অনেকটা ব্লার হয়ে যায় থেকে থেকে।

আমার ধারণা এর প্রসেসরে একটা ঘাপলা আছে। সবকিছুই অত্যন্ত ধীর গতির। আর পিসির সাথে ভিডিও, গান, ছবি লেনদেনের বিষয়টা অত্যন্ত বিরক্তিকর এই যুন প্লেয়ারের কারণে।

কেনার আগেই কিছু জিনিস বিবেচনায় আনা উচিৎ ছিলো, যেমন অ্যাপলের একটা পণ্য রিলিজ হলে মানুষ লাইন ধরে সেটা কেনার জন্য অপেক্ষা করে, কিন্তু উইন্ডোজ এইট বা সার্ফেসের ক্ষেত্র কিন্তু সেরকম কিছু হয়নি। জেডিনেটের লেখক বেন উড  একটা সুন্দর কথা লিখেছিলেন “Would I buy a Surface RT right now? Probably not. If it was my cash, I’d be inclined to wait for the Surface Pro, but then that’s because I use tablets like a laptop replacement (where it’s not appropriate or convenient to use a full-size device) rather than as a companion device or for gaming.” এখন সিদ্ধান্তটা ব্যবহারকারীদের। 🙂

তবে সার্ফেসের যে কোনো ব্যবহার নাই তা না, মাউক্রোসফটে উইন্ডোজ গ্রুপের প্রধান স্টিভেন সিনোফস্কি সার্ফেস দিয়ে রোলার স্ক্যাট বানিয়ে দেখিয়েছেন-

আমাদের মা-বোনেরা হয়তো পাটা (যাতে মশলা পেশা হয়) হিসেবেও সার্ফেস ব্যবহার করতে পারবেন। 🙂

নতুন গ্যাজেট “আই-ফাই” মেমরি কার্ড

05 রবিবার আগস্ট 2012

Posted by Omi Azad in গ্যাজেট, ব্যক্তিগত, রিভিউ

≈ 2 Comments

কয়েক বছর আগের কথা। ক্যামেরায় ছবি তুলে কম্পিউটারে নেবার সময় ভাবতাম, এত ঝামেলার দরকার কি, এরকম প্রযুক্তি বের হয়না কেন যে ছবি তোলার সাথে সাথে সরাসরি কম্পিউটারে চলে যাবে! সেবার যখন সিঙ্গাপুরে গেলাম, দেখলাম ওরা ট্যুরিস্টদের ছবি তুলছে এক জায়গায় আর প্রিন্ট করে দিচ্ছে আরেক জায়গা থেকে। মাঝখানে তারের কোনো যোগাযোগ চোখে পড়লোনা।

একটু খোঁজ নিতেই পেয়ে গেলাম আই-ফাই ডিভাইসের সন্ধান। সাধারণ একটা এসডি কার্ড হলেও ডিভাইসটি কিন্তু আমার কল্পকাহিনীকে বাস্তব রূপ দিয়েছে। আই-ফাই একটি আধুনিক ওয়াই-ফাই এনেবেল্ড ডিভাইস, একবার কনফিগার করে নিলে ওয়াই-ফাই রেঞ্জের মধ্যে থেকে ছবি/ভিডিও সরাসরি কম্পিউটার বা ক্লাউডের সাথে সিঙ্ক করে নিতে পারে। অর্থাৎ আমি আই-ফাই কার্ডটি প্রথমে আমার কম্পিউটারের লাগিয়ে কনফিগার করে নেবো, এর পরে ছবি তুললে সে প্রথমে তার নিজস্ব মেমরিতে ধারণ করে রাখবে। পরে ওয়াই-ফাই রেঞ্জের মধ্যে আসলে কম্পিউটারের সাথে বা ক্লাউডের সাথে সিঙ্ক করে নেবে। আমাকে তার লাগিয়ে বা কার্ড খুলে ডাটা ট্রান্সফার করতে হবে না।

এক নজরে দেখে নেই এই ডিভাইসের কয়েকটি কার্যকরীতা –

  • কোনো তারের সংযোগ ছাড়াই ছবি/ভিডিও সরাসরি কম্পিউটার বা ক্লাউডে আপলোড
  • সরাসরি অনলাইনে (ফেসবুক, পিকাসা, ফ্লিকর, ইউটিউব ইত্যাদি) শেয়ার
  • ক্যামেরায় জিওট্যাগ না থাকলেও ওয়াই-ফাই ব্যবহার করে ছবিতে জিওট্যাগ
  • এপ্লিকেশনের মাধ্যমে এন্ড্রোয়েড বা আইওএস ডিভাইসে ছবি/ভিডিও ডাউনলোড
  • ক্লাশ ৬ গতির ইন বিল্ট মোমরি সহ অনেকগুলি চমৎকার ফিচার

আমি Pro X2 মডেলটা প্রায় $১০০ দিয়ে কিনেছি এবং আমার কাছে জিনিসটা দারুন লেগেছে! একটা ভিডিওতে চট্ করে এর সম্পর্কে জেনে নেই-

ওহ্ একটা ঝামেলা আছে, এটা উইন্ডোজ আর ম্যাকে চললেও লিনাক্সের জন্য এর কোনো সমাধান নেই আপাতত!

আমার নতুন গ্যাজেট কিন্ডল ফায়ার নিয়ে ১৯ ঘন্টা

30 শুক্রবার ডিসে. 2011

Posted by Omi Azad in গ্যাজেট, ব্যক্তিগত, রিভিউ

≈ 9 Comments

Tags

Android, Gadget

২০১১ সালে বেশ কিছু গ্যাজেট নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করার সুযোগ হয়েছে। এর মধ্যে এন্ড্রোয়েডের বেশ কিছু ডিভাইস ছিলো। এন্ড্রয়েড নিয়ে যত ঘেঁটেছি, তিক্ততা ততই বেড়েছে। অপারেটিং সিস্টেম নির্মাতা কোনো লিমিটেশন নির্ধারণ করে না দিলে হার্ডওয়্যার কিনে ক্রেতাদের বিপদে পড়তে হয়।

আমি কেনো এন্ড্রোয়েডের জিভাইসগুলি নিয়ে বিরক্ত সেটি একটা বলার প্রয়োজন মনে করছি। এই বছর শুরুর দিকেই এন্ড্রোয়েড মার্কেটের কোনো কনসিসটেন্সি ছিলোনা। একজন একটা ভালো এ্যপ্লিকেশন বানালে বোঝার উপায় নেই, যতক্ষণ সেই ডেভলপার বা কোম্পানী ঐ এ্যপ্লিকেশনের প্রচার না করছে বা ব্যবহারকারীরা ব্যবহার না করে রেটিং না করছে। শত শত এ্যপ্লিকেশন প্রতিদিন আসছে মার্কেটপ্লেসে, কিন্তু কেউ জানেনা কোথায় যায় সেগুলি। তাছাড়া ডিভাইসের কোনো স্ট্যান্ডার্ড না থাকায় কোথায় কি চলবে বলা মুশকিল! একই এ্যংগ্রি বার্ডস্ কোনো ডিভাইসে চলে, কোনোটায় চলেনা। ডিভাইস কেনার বা ব্যবহার করার আগে বলা মুশকিল কোনটায় কি চলবে। একটায় বাংলা সমর্থন করে, আরেকটায় করেনা! এই ঝামেলাগুলির জন্য আমি অনেকটা বিরক্ত। আর নিম্নমানের ডিভাইস দিয়ে বাজার সয়লাব!

যখন প্রথমবার এমাজন কিন্ডেল ফায়ারের নাম শুনলাম, ভাবলাম এবার হাতের নাগালে একটা ভালো জিনিস আসছে। মানুষ কোয়ালিটি জিনিস পাবে। আমিও একটা কেনার ব্যবস্থা করলাম আমেরিকা থেকে। গত ২৭ তারিখে হাতে এসে পৌছায় ডিভাইসটি। চালু করেই টাসকি খেলাম! শুরুতেই ক্রেতার নাম এবং বিলিং তথ্য দেখাচ্ছে! মানে আমার যেই কাজিন এটা কিনেছে তার ক্রেডিট কার্ডের তথ্যও ভরে দেয়া আছে ভেতরে। সাথে সাথে এমাজনে গিয়ে আমার কার্ড দিয়ে একটা একাউন্ট খুলে আমার তথ্য দিয়ে ডইভাইসটি চালু করলাম। আমি আমার কার্ড দিলাম, এমাজন আমার কার্ড থেকে $০.১০ কেটে আাবার ফেরৎ দিয়ে দিলো এবং নিশ্চিত করলো যে কার্ডটা ঠিক আছে আর এরপরই শুরু হলো খেলা!

আমি এপস্ সেকশনে গিয়ে ফ্রি কিছু এপ্লিকেশন নামানোর চেষ্টা করে দেখলাম, আমাতে জানালো যে “আমাকে আমেরিকার কার্ড ব্যবহার করতে হবে ফ্রি এপ্লিকেশন ব্যবহার করার জন্য” একটু হতাশ হলাম। হাল না ছেড়ে একটু গিকি ঘাঁটাঘাঁটি করা শুরু করলাম। যখন কিন্ডেলটা নেবার চিন্তা করেছিলাম, তখনই জানতাম যে একটু হ্যাক করতে হতে পারে, কারণ কিন্ডেল এখনো সেভাবে তৈরী না।

  • থ্যাংকস গিভিং এবং ক্রিসমাসের সেল ধরার জন্য এমাজন খুব তাড়াহুড়ো করে কিন্ডেল ফায়ার রিলাজ করে,
  • এমাজনের ডেভলপার টিম এখনো তৈরী না (এখনো তারা ডেভলপার হায়ার করছে),
  • এন্ড্রোয়েডের মার্কেটপ্লেস ব্লক করে নিজেদের মার্কেটপ্লেস স্টাবলিশ করার চেষ্টা করে,
  • হার্ডওয়ার বিক্রি করার চাইতে তাদের মূল লক্ষ্য ক্লাউড সার্ভিস বিক্রি করা, যেমন মুভি ভাড়া করা, বই কেনা ইত্যাদী।

যেহেতু ক্লাউড দিয়ে ভবিষ্যতে ব্যবসা হবে, তাই ভেন্ডর লক করে কমদামে ডিভাইসগুলি বিক্রি করছে তারা। ৫/৬ ঘন্টা ঘাঁটা ঘাঁটি করে দেখলাম তাদের নতুন আপডেট ৬.২ হ্যাক করার জন্য আগের পন্থাগুলি কাজ করছে না। আরও সময় নিয়ে বসলাম এবং মনে একটা ভয় কাজ করে, যদি ডিভাইসটি নষ্ট হয়ে যায়! পরে এক্সডিএ ডেভলপারদের এই থ্রেড থেকে সাহায্য নিয়ে হ্যাক করে ফেললাম কিন্ডেল ফায়ার। এমাজনের জিনিসপত্র বাদ দিয়ে গো লঞ্চার লোড করলাম। এখন এটা গ্যালাক্সি ট্যাবের মতন ব্যবহার করা যায় আর এন্ড্রোয়েড মার্কেটপ্লেস থেকে সবকিছু ডাউনলোড করে ব্যবহার করা যায়!

মাত্র ১৯ ঘন্টা ব্যবহার করেছিলাম ডিভাইসটা (পরে এক ছোট ভাই নিয়ে নিয়েছে, অবশ্যই টাকার বিনিময়ে), হ্যাক করে লোড করেছিলাম বাংলা ফন্ট, কিন্তু ঠিক মতন কাজ করেনি। বাংলা দেখার জন্য ওপেরা মোবাইল ব্রাউজার ব্যবহার করতে হবে আপাতত। হ্যাক করার পরে মুভি চালানোর সফটওয়্যার লোড করেছি এবং কাজ করেছে খুব সুন্দর। হার্ডওয়্যার রেন্ডারিং সমর্থন করে মৃভি প্লেব্যাক করার ক্ষেত্র। হ্যাক করে ব্যবহার করলে, এটা ইন্টারনেট ব্যবহার আর এন্টেরটেইনমেন্টের একটা ডিভাইস হিসেবে ভালো কাজে দিতে পারে। এর সাথে আসা সিল্ক ব্রাউজার আমার কাছে ভালো লেগেছ। দামের সাথে তুলনা করলে ঠিকই আছে, কিন্তু হাতে টাকা থাকলে আমি এখনো আইপ্যাড কেনার পরামর্শ দেবো…

শেষে একটা কথা বলতে চাই, কেউ যদি কারও জন্য কিনে দেয়, সেই ক্ষেত্র অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে যাতে নিজের ক্রেডিটকার্ডের মতন তথ্য ডিভাইসে দিয়ে না দেয়। আমি এমাজনে দেখেছি এই অপশন আছে, অন্যের জন্য কেনা যায় এবং তখন ওরা তথ্যগুলি লোড করে দেয়না। 🙂

আমার নতুন গ্যাজেট ZTE AC30

17 শনিবার ডিসে. 2011

Posted by Omi Azad in গ্যাজেট, ব্যক্তিগত, রিভিউ

≈ 9 Comments

Tags

3G, AC30, Broadband, CDMA, Fivespot, GSM, Hotspot, MiFi, Mobile, Network, Router, Verizon, WiFi, Wireless, ZTE

নিত্য-নতুন গ্যাজেট ব্যবহার করতে কে না চায়! অনেকে নতুন গ্যাজেটের খবর পায়না, অনেকে আবার ব্যবহার করে দেখার রিস্ক নিতে চায়না। আমি সুযোগ হলে ব্যবহার করে দেখতে দ্বিধা করিনা। আমি আজকে থেকে নতুন একটা ক্যাটাগরি আরম্ভ করলাম আমার ব্লগে। “গ্যাজেট” নামের এই ক্যাটাগরিতে আমি যেসব ইলেকট্রনিক্স গ্যাজেট ব্যবহার করি, সেগুলি নিয়ে কিছু লিখবো। হয়তো অন্যান্যদের কাজে লাগবে ভবিষ্যতে।

কিছুদিন আগে ZTE AC30 MiFi ডিভাইসটা হাতে পেলাম। ভেতরে যাবার আগে একবার জেনে নেই এই বস্তুর কাজ কি।

প্রায় দুই বছর আগে MiFi নামটা শিখেছিলাম আমেরিকার Verizon কোম্পানির কাছ থেকে। ইন্টারনেটে ঘোরাফিরা করলে এই জিনিসগুলি সম্পর্কে জানা যায় এবং ব্যবহারের ইচ্ছা জাগে। মোবাইল ইন্টারনেট এখন জীবনের একটা অংশ হয়ে গিয়েছে, ইন্টারনেট নির্ভর গ্যাজেটগুলির ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় মোবাইল ইন্টারনেটকেও বহনযোগ্য করার প্রয়োজন বেড়ে গেছে; আর তারই সমাধান নিয়ে এসেছে MiFi; চলার পথে সব ডিভাইসে ইন্টারনেট!

MiFi এর কথা জানার পরে একটা ইচ্ছা ছিলো ব্যবহার করার। কিন্তু Verizon-এর টা আনালে যদি না চলে! সেই সময় হাতে পাই D-Link DIR-412 রাউটার। বাজারে পাওয়া যায় এরকম যে-কোনো USB মডেম লাগিয়ে দিলেই সেটা WiFi নেটওয়ার্কে শেয়ার করা যায়।

কিন্তু মনের স্বাধ তো মেটেনা, মন চায় গাড়ীতে চলমান অবস্থায় যাতে নেটওয়ার্ক পাওয়া যায় 🙂 আর তখনই খবর পেলাম ZTE AC30 ডিভাইসটির। পৃথিবীতে বর্তমান সমস্থ মোবাইল নেটওয়ার্ক প্রযুক্তি এতে সমর্থন করে।

মোবাইলের মতো দেখতে এই ডিভাইসটিতে GSM/CDMA সিমকার্ড লাগিয়ে দিলেই ডিভাইসটি নিজে থেকে মূল কনফিগারেশনের কাজগুলি করে নেয়। একসাখে পাঁচটি ডিভাইস সংযুক্ত করা যায় এর সাথে, পাঁচটাই বা কম কি! আবার USB পোর্ট দিয়ে কম্পিউটারে সংযুক্ত করলে একই সাখে ডিভাইসটি চার্জ হয় এবং USB দিয়েই নেটওয়ার্ক শেয়ার করে।

যাদের একাধিক ডিভাইসে মোবাইল ইন্টারনেটের প্রয়োজন হয়, তাদের জন্য এটা বেশ কাজের বলে মনে হয়েছে আমার। ও, আমি এটা দিয়ে PC-to-PC গেইম খেলে ও ফাইল শেয়ার করে দেখেছি। চমৎকার কাজ করে এই পিচ্চি রাউটার দিয়ে!

MiFi-এর কনসেপ্টটা উপরের ছবির মতন। মোবাইল নেটওয়ার্ক থেকে ইন্টারনেট নিয়ে WiFi-এর মাধ্যমে বিতরণ করা…

একটা স্যামসং ওমনিয়া টু নিলাম

13 শনিবার মার্চ 2010

Posted by Omi Azad in গ্যাজেট, ব্যক্তিগত, রিভিউ

≈ 3 Comments

Tags

উইন্ডোজ, উইন্ডোস মোবাইল, ওমনিয়া, মোবাইল, স্যামসং

বেশ কিছুদিন হলো একটা স্যামসং ওমনিয়া টু (i8000) ব্যবহার করছি। এই খবরটা আমার ব্লগের পাঠকদের সাখে শেয়ার করা হয়নি।

উইন্ডোস মোবাইল চালিত ডিভাইসগুলির মধ্যে এটাই ভালো সেবা দিয়ে যাচ্ছে এই পর্যন্ত। যদিও কিছু কিছু সমস্যা আছে, তারপরেও এতদিন যতগুলি উইন্ডোস মোবাইল ব্যবহার করেছি তার মধ্যে এটা ব্যবহার করে আরাম পাচ্ছি।

একবার দেখা যাক কি কি আছে এই মোবাইলে-

  • এমোল্ড ইন্টারফেইস – স্বাভাবিক উইন্ডোস ইন্টারফেইসে বেশী কারসাজি নাই, স্যামসং তাই এমোল্ড নামের একটা ইন্টারফেইস এর উপরে সরবরাহ করে থাকে। এর সাথে থাকছে টাচ্ উইজ ২.০, যেগুলি মিলে টাচ্ ব্যবহারে অনেক মজা দেয়
  • ওজন মাত্র ১২৩ গ্রাম
  • ডিসপ্লে – বিশাল ৩.৭ ইঞ্চির স্ক্রিনে ৪৮০×৮০০ পিক্সেল ছবি
  • হাতের লিখে বুঝতে পারে
  • এক্সেলেরোমিটার সেন্সর সাহায্য করছে স্ক্রিন সয়ংক্রিয়ভাবে ঘুরে যেতে
  • ৩.৫ মিলিমিটার হেডফোন জ্যাক
  • ইন্টারনাল ৮ গিগা মেমরী এবং সাথে ৪ গিগা কার্ড ফ্রি পেয়েছি, যা কি-না ৩২ গিগা পর্যন্ত উন্নিত করা যায়
  • মোবাইল ট্র্যাকার তো আছেই
  • এছাড়া ব্লুটুথ, মাইক্রো ইউএসবি, ওয়াইফাই, জিপিএস, টিভি আউট

খারাপ দিকগুলি হলো-

  • ওয়াইফাই বা জিপিএস চালু রাখলে ব্যাটারি ১ দিনের বেশী যায় না।
  • এসেন্ডিং রিংটোন বন্ধ করার উপায় না।
  • অন্য উইন্ডোস মোবাইলের মতন এখানেও রিঙটোন ছাড়া অন্য টোনে নিজের পছন্দের সঙ্গীত ব্যবহার করা যায়না।

সবকিছু মিলিয়ে খারাপ না, আমার দরকার ছিলো ইমেইলের জন্য, যেটা আমি খুব স্বাচ্ছন্দে ব্যবহার করতে পারছি। 🙂

← Older posts

Categories

  • অ্যানড্রোয়েড
  • আইটি বিশ্ব
  • ই-কমার্স
  • উদ্ভট
  • ওপেন সোর্স
  • গল্প টল্প
  • গান বাজনা
  • গুগল্
  • গ্যাজেট
  • টিউটোরিয়াল
  • টেলিকম
  • বাংলা কম্পিউটিং
  • বাংলাদেশ
  • ব্যক্তিগত
  • মন্তব্য
  • মাইক্রোসফট
  • রিভিউ
  • সফটওয়্যার রিভিউ

Recent Posts

  • ডাক্তার শায়লা শামিম ও মনোয়ারা হাসপাতালের অভিজ্ঞতা
  • ই-কমার্স – বাংলাদেশ পরিস্থিতি এবং ভবিষ্যৎ!
  • Install Google Apps and Play Store on Nokia X, X+ and XL
  • মাইক্রোসফটের কাছে পাওয়া শেষ চেক্!
  • Root Walton Walpad 8b, Walpad 8w, Walpad 8 and Walpad 7

Proudly powered by WordPress Theme: Chateau by Ignacio Ricci.