Always on My Mind নামে আমেরিকায় এই পর্যন্ত প্রায় ২০টি গান রিলিজ হয়েছে এলবাম আকারে, যেগুলি বড়-বড় মিউজিক চার্টে অবস্থান করেছে বিভিন্ন সময়। আমি যতদুর জানি, এলভিস প্রিসলি বৌ-এর সাথে বিচ্ছেদ হবার পরে Always on My Mind নামের একটা গান রিলাজ করেন, যেটা সুপার ডুপার হিট্ হয়ে যায়।
বিভিন্ন শিল্পীদের গাওয়া Always on My Mind গানের কথ অভিন্ন না হলেও এই নামের যে-কোনো গানই অসাধারণভাবে সফল হয়েছে বিভিন্ন সময় এবং সমাদৃত হয়েছে বিশ্বজুড়ে সবরকমের সঙ্গীত শ্রোতাদের কাছে।
২০০৮ সালে রিচার্ড মার্কস আরেক শিল্পী ম্যাট স্ক্যানেলের সাথে একটি লাইভ অনুষ্ঠানে Always on My Mind নামে একটি গান করেন এবং সাথে সাথে ভক্তরা গানটির জন্য পাগল হয়ে যায়। শুধু এই গানটি বাজারে আনার জন্য ম্যাট স্ক্যানেলের সাথে Duo নামের একটি সম্পুর্ণ একুইস্টিক এলবাম বাজারে আনা হয়।
গানটি শোনা যাবে এখান থেকে:
[audio:http://omi.net.bd/files/media/Always On Your Mind.mp3]
রিচার্ড মার্কসের Right Here Waiting গানটা শোনেনি এরকম সঙ্গীতপ্রেমী অনেক কম পাওয়া যাবে। একসময় অনেক শোনা হতো গানটা। আমার এই গানটা এবং এর কথাগুলি অসাধারণ লেগেছে।
আমরা বই পড়ি, সিনেমা দেখি, গান শুনি, কোথাও বেড়াতে যাই মনকে স্বতস্ফুর্ত করার জন্য; এখন যেনো মানুষ কেমন হয়ে যাচ্ছে! বই পড়ে না, গান টান শোনে না! আর যেসব যারা গান শোনে, তারা দেখা যায় সারাদিন আজাইড়া হিন্দী গান শুনছে। আমি বলছিনা যে হিন্দীতে ভালো গান হয়না, পৃথিবীর সব ভাষাতেই ভালো গান আছে, তাই বলে সারাক্ষণ সস্তা হিন্দী গানের ঘ্যানর ঘ্যানর ভালো লাগেনা!
আমাদের বাড়ীতে ডিশ এন্টিনা লাগানো হয় ১৯৯৩ সালে, তখন স্টার প্লাসে ইংরেজী অনুষ্ঠান হতো। সেই সময় স্টার প্লাসে একটা অনুষ্ঠান দেখে রীতিমত অবাক হয়ে গিয়েছলাম আমি আর আমার আব্বা। অনুষ্ঠানটি ছিলো ইয়ানি লাইভ এট এক্রপোলিস। মিউজিকের কম্পোজিশন শুনে আমাদের বাবা-ছেলের চোখে পানি চলে এসেছিলো! আদ্ধাতিক আনন্দ তাঁর সৃষ্টিতে।
অনেকদিন থেকেই ইয়ানিরগানগুলি শুনে আসছি, অন্ধ ভক্তের মতন আমি বলবনা যে সবই ভালো কাজ, ভালো মন্দ মিলিয়ে কাজ করেছে সে। শেষ এলবাম শুনেছিলাম এথনিসিটি; খুব একটা ভালো লাগেনি আমার কাছে। মিউজিক টেলিভিশনের দর্শক না হবার জন্য হয়তো জানতামনা যে ইয়ানি যে এর মধ্যে আরও তিনটা এলবাম বের করেছে। এই বছর সে বের করেছে ট্রুথ অফ টাচ্, বাংলায় বলা যায় স্পর্শের সত্যতা। নামের মধ্যেই একটা ভাব আছে 🙂
তার কম্পোজিশনের টেস্ট বোঝানোর জন্য কয়েকটা গান শেয়ার করলাম এলবাম থেকে- Continue reading »
সুইডেনের ব্যান্ড রক্সেট্ আর ব্যান্ডের মূল দুইজন হচ্ছে পার গিসলি ও মেরী ফ্রেডরিকসন। সম্ভবত ৭০-এর দশকের শেষের দিকে এই ব্যান্ডের জন্ম এবং ৮০-এর দশকের শুরুতে প্রথম এলবাম বের হয়।
আমি তখন সপ্তম/অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র যখন একটা মিক্সড্ ক্যাসেটে শুনি তাদের গান প্রথম শুনি। তখন গানের তেমন কিছু বুঝিনা, ইংরেজীও ঠিক মতন বুঝি না, সুর-তাল ভালো লাগলে শুনতে খাকি। এই গান দিয়েই “রক্সেট্” এই নামের সাথে আমার পরিচয়।
এর পরে সম্ভবত এসএসসি পরীক্ষার সময়/পরে পেলাম ক্রাশ্ বুম ব্যাঙ এলবামটি। অসাধারণ! রক্ পপের একটা সুন্দর কম্বিনেশন ওদের গানগুলিতে। গতকাল হঠাৎ করেই ৩০টা গন সহ ওদের একটা এলবাম পেয়ে গেলাম। এত ভালো লাগছে গানগুলি শুনতে। আমি জানিনা এখন এরকম গান আর হয়না কেনো! ৭০/৮০/৯০-এর দশকে যে গানগুলি হতো সেগুলিকোনো বিকল্প হয়না। লেটেস্ট দু’টো শিল্পী আমার ভালো লেগেছে, লেডি গাগা ও জাস্টিন বিবার। ওদের নিয়েও কিছু লিখবো ভাবছি!
একটা জটিল রবীন্দ্রসঙ্গীত শেয়ার না করে পারলাম না। গ্যারি চিমেন নতুন এই সুর দিয়েছেন আর “প্রাণ” শির্ষক গানটিতে কন্ঠ দিয়েছেন আমেরিকায় বসবাসরত বাংলাদেশী মেয়ে পলবাসা সিদ্দিক আর গানটি কিনতে পাওয়া যাচ্ছে আমাজনে। আসুন আগে গানটা শুনি।
[audio: http://omi.net.bd/files/media/GarrySchyman-Praan.mp3]
গানটির কথা:
ভুলবো না আর সহজেতে
সেই প্রাণে মন উঠবে মেতে
মৃত্যু মাঝে ঢাকা আছে
যে অন্তহীন প্রাণ
বজ্রে তোমার বাজে বাঁশি
সেকি সহজ গান
সেই সুরেতে জাগবো আমি
সেই ঝড় যেন সই আনন্দে
চিত্তবীণার তারে
সপ্তসিন্ধু দশ দিগন্ত
নাচাও যে ঝঙ্কারে
বজ্রে তোমার বাজে বাঁশি
সেকি সহজ গান
সেই সুরেতে জাগবো আমি
গানটির একটা ভিডিও আছে, যেটা দিয়ে আমি এই গানটির সাথে পরিচাত হয়েছিলাম, আপনারা ভিডিওটিও একবার দেখুন:
ম্যাট হারডিং, ৩৩ বছর বয়সী মার্কিন নাগরিক। ২০০৩ সালে অস্টেলিয়ায় একজন ভিডিও গেম ডিজাইনার হিসাবে কাজ করছিলেন। হঠাৎ চাকরী ছেড়ে দিয়ে নিজের জমানো টাকা নিয়ে এশিয়া ভ্রমনের জন্য বেড়িয়ে পরেন। পরিবারের এবং বন্ধুদের কাছে নিজের বর্তমান অবস্থান জানানোর জন্য নিজের ওয়েব সাইটে দিতে থাকেন ভ্রমনের সকল আপডেট তথ্য এবং ঘুরতে থাকেন এশিয়ার বিভিন্ন দেশে। ভিয়েতনাম গিয়ে নিজের সাইটে আপলোড করেন, নিজের হাত-পা ছোড়াছুড়ি করা এক মজার নৃত্যের ভিডিও। ওয়েবে সেই অদ্ভুত মজার ভিডিও এক হাত, দুই হাত করে ছড়িয়ে পরে অনেক অনেক হাতে। এক সময় তা Stride gum এর নজর কাড়ে। বিজ্ঞাপনের কথা চিন্তা করে Stride gum থেকে তাকে সারা পৃথিবী ভ্রমন করে নুতন আরো ভিডিও তৈরীর প্রস্তাব দেয়া হয়। এই লোভনীয় প্রস্তাব ম্যাট গ্রহন করেন এবং শুরু করেন তার নুতন কাজ। ২০০৬ সালে ম্যাট ছয় মাসে সকল মহাদেশের ৩৯টি দেশ ভ্রমন করেন এবং তৈরী করেন Where The Hell Is Matt? নামের দুইটি ভিডিও। এই ভিডিওগুলোতে সে পৃথিবীর বিভিন্ন লোকেশনে একাই নেচেছেন। এগুলো ইউটিউবে প্রকাশিত হলে সে মোটামুটি খ্যাতি অর্জন করেন। এরপরে, ম্যাট আবার নুতন প্রস্তাব নিয়ে Stride gum এর কাছে যান। নুতন ভিডিওতে তিনি স্থানীয় জনগনকেও সম্পৃক্ত করতে চান। তার প্রস্তাবে সাড়াও মিলে যায়। এরপর আবার বেরিয়ে পরেন। ১৪ মাসে ৪২ টি দেশের স্থানীয় জনগনের সাথে নেচে তৈরী করেন Where The Hell Is Matt? (2008)। এটা ইউটিউবে প্রকাশিত প্রবল জনপ্রিয় একটি ভিডিও। আজ পর্যন্ত প্রায় পৌনে দুই কোটি বার এই ভিডিও দেখা হয়েছে। এই ভিডিওটি তারই সিকুয়্যাল।
আমার মতো অনেকেই আছে যারা সেই বাচ্চাকাল থেকে স্করপিঅনস্-এর ফ্যান। এবার আমাদের সবাইকে হতাশ করে দিয়ে চীরদানের জন্য অবসর নিতে যাচ্ছে জার্মানির এই ব্যান্ডদল। গতমাসে তাদের সর্বশেষ স্টুডিও এলবাম “স্টিঙ ইন দ্যা টেইল” মুক্তির সময় এরকমই ঘোষণা দিয়েছেন তারা। প্রথমদিকে এই এলবামটির নাম ঠিক করা হয়েছিলো “হিউম্যানিটি – আওয়ার ওয়ান” কিন্তু পরে সেটাকে আর গ্রহণ না করে “স্টিঙ ইন দ্যা টেইল” নামটি এলবামের টাইটেল দেয়া হয়।
“দ্যা গুড ডাই ইয়াঙ” গানটিকে ধরে নেয়া হচ্ছে তাদের বিদায়ি গান। আমি সবার সাথে শেয়ার করার জন্য গানটি এখানে দিয়ে দিলাম-
[audio:http://omi.net.bd/files/media/The%20Good%20Die%20Young.mp3]