Reality Bites

~ by Omi Azad

  • Home
  • About Me!
  • My Movies
  • English

Category Archives: সফটওয়্যার রিভিউ

Software Review

মাইক্রোসফট উইন্ডোজ এইটের চমক

20 শনিবার অক্টো. 2012

Posted by Omi Azad in মাইক্রোসফট, সফটওয়্যার রিভিউ

≈ 2 Comments

Tags

8, microsoft, windows

অপারেটিং সিস্টেমে একক অধিপতি মাইক্রোসফট এখন বড় ধরনের প্রতিযোগীতার মুখে। সফটওয়্যার জায়ান্টকে বড় চ্যালেঞ্জটি ছুঁড়ে দিয়েছে অ্যাপলের আইওএস এবং গুগলের অ্যান্ড্রয়েড। ডেস্কটপের বাজার দখলকারী স্মার্ট ডিভাইসে চলছে অ্যান্ড্রয়েড রাজত্ব। তবে ট্যাবলেট কম্পিউটার কিংবা স্মার্টফোনেও যে উইন্ডোজ কার্যকর তা প্রমাণে নতুন চমক নিয়ে এসেছে মাইক্রোসফট। আর এই বিস্ময়ের নামই উইন্ডোজ এইট। বহুল প্রত্যাশিত উইন্ডোজ এইটকে বলা হচ্ছে মাইক্রোসফটের জন্য এক নতুন মাইলফলক। ইতিমধ্যে উইন্ডোজ পৌঁছে গেছে ডিভাইস প্রস্তুতকারক (OEM partner), ডেভেলপার এবং কর্পোরেট ব্যবহারকারীদের কাছে। ব্যবহার করে দেখেছেন সাংবাদিকসহ অন্য বিশেষজ্ঞরাও। ব্যবহারকারীর দৃষ্টিভঙ্গি থেকে উইন্ডোজ এইট এর সুবিধা-অসুবিধাগুলো নিয়ে নানারকম মতামত দিয়েছেন অনেকেই।

নতুন চেহারা

চীরচেনা উইন্ডোজ ব্যবহার করতে গিয়ে এবার ব্যবহারকারীদের অনেকটাই ওয়েবপেজে ভ্রমণ করার মতো অভিজ্ঞতা হবে। চমৎকার হালকা এবং নতুন সজ্জিত মেন্যু দিচ্ছে কোনো অ্যাপ্লিকেশনে প্রবেশ না করেই আপডেট দেখার সুবিধা। যেমন: আবহাওয়ার অ্যাপ্লিকেশনে প্রবেশ না করেই দেখা যাবে বর্তমান আবহাওয়ার অবস্থা, বা দেখা যাবে টুইটার/ফেসবুকে বন্ধুর শেষ স্ট্যাটাস।

একই সঙ্গে ট্যাবলেট ও ডেস্কটপে

একই উইন্ডোজ ব্যবহার করা যাবে x86 প্রসেসরভিত্তিক ডেস্কটপ ও ARM প্রসেসরভিত্তিক ট্যাবলেট কম্পিউটারে। Touch Sensitive উইজার ইন্টারফেস হওয়ায় ডেস্কটপের পাশাপাশি ট্যাবলেটে ব্যবহার করেও অনেক স্বাচ্ছন্দ্য পাওয়া যাবে।

অসাধারণ গতি

বিশ্বাস করুন আর নাই করুন, সর্বনিম্ন প্রয়োজনীয় হার্ডওয়্যার সংবলিত একটি কম্পিউটার একেবারে বন্ধ অবস্থা থেকে উইন্ডোজ এইট ডেস্কটপে আসা পর্যন্ত সর্বোচ্চ সময় লাগবে ১০ সেকেন্ড। উইন্ডোজ এইট এই গতির ভেলকি দেখাবে নতুন করে ডিজাইনকৃত কার্নেল থেকে। এই গতিই সম্ভবত উইন্ডোজকেই উইন্ডোজের প্রতিদ্বন্দ্বী করে তুলবে।

ডেস্কটপ চার্ম মেন্যু

ডেস্কটপের ডান পাশে প্রথমবারের মতো সংযোজিত হয়েছে এই মেন্যু। এটি একটি অ্যাপ্লিকেশনের বিভিন্ন সেটিং, বিভিন্ন বিষয় শেয়ার করাসহ নানা সুবিধা দিচ্ছে। এতে করে উইন্ডোজে কাজ করা অনেক সহজ হয়েছে। যেমন: আপনি একটি ছবি দেখছেন, চট করে তা সরাসরি ফেসবুক শেয়ার দিতে পারবেন মেন্যুটির সাহায্যে।

স্ন্যাপ মাল্টিটাস্কিং

এটি সম্ভবত উইন্ডোজ এইট এর অন্যতম সেরা ফিচার। এত দিন আমরা অনেক অ্যাপ্লিকেশন চালিয়ে রেখে কাজ করতে পারতাম। মাল্টিটাস্কিং সুবিধা থাকায় এখন আমরা পাশাপাশি দুটি উইন্ডোতে কাজ করতে পারবো এই বৈশিষ্ঠ্য ব্যবহার করে।

দুর্দান্ত ফাইল কপির গতি

হার্ডওয়্যারের সম্পূর্ণ ব্যবহার করছে উইন্ডোজ এইট। তার ফল ফাইল কপির গতিতে ঠিকই টের পাওয়া যাবে। ইউএসবি ২.০ বি ৩.০ এর যে গতি পাওয়ার কথা, ঠিক সেটাই পাওয়া যাচ্ছে উইন্ডোজ এইটে। এই বৈশিষ্ট্যটি ব্যবহারকারীদের জন্য নতুন অভিজ্ঞতা হবে।

উইন্ডোজ স্টোর

ম্যাক ওএস বা উবুন্টু’র পরে স্টোর থেকে এপ্লিকেশন নিয়ে ব্যবহার করার সুবিধা যোগ হলো উইন্ডোজে। এতে ব্যবহারকারীরা নির্ভরযোগ্য জায়গা থেকে প্রয়োজনীয় সব অ্যাপ্লিকেশন নিয়ে ব্যবহার করতে পারবেন।

তবে ভালো কিছু করতে গিয়ে মাইক্রোসফট নিরাশ করেছে অনেক পুরনো ব্যবহারকারীকে। এর মধ্যে প্রথম সমস্যা হচ্ছে নতুন স্টার্ট মেন্যু। পুরনো উইন্ডোজ ব্যবহারকারীরা এতে একটু হতাশই হবেন বলে মনে হয়। বহুল ব্যবহৃত স্টার্ট মেন্যু উধাও হয়ে গেছে উইন্ডোজ এইট এ! সেই উইন্ডোজ ৯৫ থেকে ব্যবহারকারীরা স্টার্ট মেন্যুর মাধ্যমে প্রোগ্রামগুলো ব্যবহার করে আসছিলেন। হঠাৎ সেটা চলে যাওয়ায় এবং নতুন মেন্যু (যাকে স্টার্ট স্ক্রিন বলা হচ্ছে) অনেকের কাছে বাড়তি ঝামেলার মনে হতে পারে।

পাশাপাশি অনেক পুরনো অ্যাপ্লিকেশন বা গেম চলছে না ঠিকমতো। সঙ্গে রয়েছে একাধিক মনিটরের সমস্যা। যেমন, আপনার যদি একাধিক মনিটর ব্যবহারকারী থাকে, আর প্রাথমিক মনিটরটি যদি টাচস্ক্রিন না হয়, তাহলে বেশ ঝামেলায় পড়তে হবে আপনাকে। মাউসটি ঠিক কোথায় রাখলে চার্ম মেন্যু আসবে, সেটাকে নিয়ন্ত্রণ করা বেশ ঝক্কির। জেডিনেট বা সিনেটের রিপোর্টাররা এটি পরখ করে এখন পর্যন্ত ভালো কিছু বলেননি। এ ছাড়া উইন্ডোজ এইট দিয়ে মাইক্রোসফট নিজেই ‘সারফেস’ নামের ট্যাবলেট আনছে দেখে অন্য ট্যাবলেট নির্মাতারা অখুশি। বিশেষ করে যাদের উইন্ডোজ এইট এর প্রতি আগ্রহ ছিল।

দাম-দর

বাজারে আসার আগেই অ্যাসার, ডেল, এইচপি, স্যামসাং এবং সনির মতো নির্মাতাদের নতুন পিসিতে চলে এসেছে উইন্ডোজ এইট। উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের সর্বশেষ সংস্করণ উইন্ডোজ এইট এর দাম ঘোষণা করেছে নির্মাতা মাইক্রোসফট। গত শুক্রবার থেকে বহুল আলোচিত অপারেটিং সিস্টেম উইন্ডোজ এইট আগাম বিক্রি শুরু হয়েছে। লাইসেন্সসহ পূর্ণাঙ্গ সংস্করণের দাম ৭০ ডলার। আগামী ২৬ অক্টোবর থেকে অনলাইনেও পাওয়া যাবে উইন্ডোজ এইট। এক বছর মেয়াদে উইন্ডোজ ডাউনলোড গুনতে হবে ৪০ ডলার। মাইক্রোসফটের নিজস্ব অনলাইন স্টোর ছাড়াও ওয়েব বিকিকিনি প্রতিষ্ঠান অ্যামাজন ডটকম এবং বেস্ট-বাই, স্ট্যাপলস থেকেও নতুন উইন্ডোজ কেনা যাবে। চাইলে ব্যবহারকারীরা ইন্টারনেট থেকে ১৫ ডলার খরচায় বদল করে এক বছরের জন্য উইন্ডোজ এইট নিতে পারবেন।

তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ব্যবহারকারীদের অ্যাপল বা অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস কেনার গতি দেখে মাইক্রোসফট কিছুটা হলেও শঙ্কিত। তাই দেরি না করে উইন্ডোজকে ঢেলে সাজিয়েছে, যা একই সঙ্গে ডেস্কটপ এবং ট্যাবলেটে ব্যবহার করা যায়। তবে যুদ্ধে কী হবে, তা আপাতত বোঝা যাচ্ছে না। বছরের শেষে বিভিন্ন ছুটিতে পশ্চিমা গ্রাহকরা নিজে ব্যবহার করার জন্য বা উপহার দিতে অনেক নতুন গ্যাজেট কেনেন। ফলে উইন্ডোজ এইট এর সাফল্যের খতিয়ান দেখতে নতুন বছরের শুরু পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকতে হবে।

পুনশ্চ: লেখাটি আজকের দৈনিক সমকালে প্রকাশিত হয়েছে।

সরাসরি ডেস্কটপ আর থাকছেনা উইন্ডোজ ৮-এ

09 বৃহস্পতিবার আগস্ট 2012

Posted by Omi Azad in মাইক্রোসফট, সফটওয়্যার রিভিউ

≈ 10 Comments

অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে মাইক্রোসফটের উইন্ডোজ ৮ এরই মধ্যে বহুল আলোচিত। এই অপারেটিং সিস্টেমে মাইক্রোসফট অনেক কিছু ভালো করেছে আবার অনেক কিছুতে হতাশ করেছে ব্যবহারকারীদের। চীরচেনা ডেস্কটপ ইন্টারফেস বাদ দিয়ে চলে এসেছে মাইক্রোসফট ইউআই-তে (যা মেট্রো নামে বেশী পরিচিত), যেটা অনেক ব্যবহারকারী সহজভাবে নিচ্ছেনা। অনেকে বলছে, “দেখতে সুন্দর হতে পারে, রঙ বেশী হতে পারে, কিন্তু উইন্ডোজ ৩.১ এরকমই ছিলো!” ১৯৯৫ সাল থেকে চীরচেনা ডেস্কটপ বাদ দিয়ে ট্যাবলেটের বাজারে পাল্লা দিতেই এই পরিবর্তন বলে ধরে নেয়ে হয়েছিলো।

সত্যি কথা বলতে, এখন লিনাক্স সহ অনেক আধুনিক অপারেটিং সিস্টেম বাজারে এসেছে যাদের ইন্টারফেইস অনেক উদ্ভাবনী এবং ব্যবহারে সুবিধা। যেমন নোম ৩, একসাথে একাধিক ডেস্কটপে অনেকগুলি কাজ করার (মাল্টিটাস্কিং) জন্য এই ডেস্কটপের জুড়ি নাই! আবার নোমের ধারাবাহিকতার সাথে মিল রেখে এবং একটু ম্যাকের ফিল নিয়ে উবুন্টু এনেছে উইনিটি। সবগুলি একটা আরেকটার সাথে পাল্লা দিয়ে যাচ্ছে। সেই তুলনায় সত্যই ১৯৯৫ সালের ডেস্কটপ ও স্টার্ট মেন্যু এখন পুরাতন, আর তাই হয়তো এই পরিবর্তন!

গতবছর যখন প্রথম উইন্ডোজ ৮ উপস্থাপন করা হলো বিল্ড কনফারেন্সে, তখন বলা হয়েছিলো যে বর্তমান বাজারে উপলব্ধ ট্যবলেটগুলি শুধু কন্টেন্ট উপভোগ (consume) করতে দেয়, সেখানে কন্টেন্ট তৈরী (create) করা যায়না। উইন্ডোজ ৮ এমন একটা অপারেটিং সিস্টেম হবে যা একই সাথে ট্যাবলেট ও ডেস্কটপে চলবে, যেখানে কন্টেন্ট তৈরী ও উপভোগ দু’টি একইসাথে করা যাবে। যারা বিল্ডের কী-নোট দেখেছেন, তারা বলতে পারবেন, আর কেউ আগ্রহী হলে আগের লিঙ্ক থেকে দেখে নিতে পারেন। মাইক্রোসফট অনেক জোর দিয়ে বলেছিলো যে একই অপারেটিং সিস্টেম x86,x64 এবং ARM প্রোসেসরে চলবে! সাথে কিছু ডেমো দেখিয়েছিলো। যদিও আমরা যাচাই করিনি আর তারাও দেখায়নি পেছনে প্রসেসরের আর্কিটেকচার কি ছিলো!!

যাই হোক, শেষ পর্যন্ত কিন্তু মাইক্রোসফট সেই কথা আর রাখতে পারেনি, ট্যবলেট ও ডেস্কটপের জন্য তৈরী করতে হয়েছে আলাদা আলাদা উইন্ডোজ ৮। সেই সাথে ডেভলপারদের আগ্রহী করে তোলা হচ্ছে উইন্ডোজ ৮-এর এপ্লিকেশন তৈরী করার জন্য।

কিন্তু যেখানে লক্ষাধিক সফটওয়্যার আছে উইন্ডোজ প্ল্যাটফর্মের জন্য, সেখানে ডেস্কটপ বা স্টার্ট মেন্যু না থাকাটা ব্যবহারকারীদের কাছে হতাশার। কিছুদিন আগেও বাজারে বেশ কিছু এপ্লিকেশন ছিলো যা উইন্ডোজ ৮-কে সরাসরি ডেস্কটপে বুট করতে দিতো বা পুরাতন স্টার্ট মেন্যু ফিরে পেতে সাহায্য করতো। কিন্তু নতুন নতুন পরীক্ষামূলক সংস্করণে মাইক্রোসফট এই ফিচারগুলি বন্ধ করে দিয়েছে।

এখন জানা গিয়েছে উইন্ডোজ ৮ আরটিএম (সর্বশেষ সংষ্করণ যা ব্যবহারকারীদের কাছে বিক্রি করার জন্য ছাড়া হবে)-এ আর সরাসরি ডেস্কটপ ব্যবহার করার উপায় থাকছেনা। আগে উইন্ডোজ ৮ স্টার্ট মেন্যুতে ডেস্কটপের একটা সর্টকাট থাকলেও সেটা আর থাকবে না। সেইসাথে গ্রুপ পলেসি সম্পাদন করে সরাসরি ডেস্কটপে যাওয়ার ব্যবস্থা করে নিতে পারতেন ডোমেইন এডমিনিস্ট্রেটর এবং ব্যবহারকারীরা, সেটাও আর করতে দেবেনা মাইক্রোসফট। যদি কারও ডেস্কটপ দেখতে ইচ্ছা হয়, তাহলে কী-বোর্ডে Windows Key+D চাপ দিয়ে ডেস্কটপে যেতে হবে, বা কোনো এপ্লিকেশন যদি ডেস্কটপ ভিত্তিক হয়, তাহলে সেটাও ডেস্কটপে গিয়ে আরম্ভ হবে।

এই মুহূর্তে বিষয়টি আমি ব্যবহার করিনি, তাই সরাসরি মন্তব্য করছিনা, তবে আমি একটু হলেও ভয় পাচ্ছি মাইক্রোসফটের এই পরিবর্তনের সিদ্ধান্তে। তারা নিজেরই অফিস ২০১৩ ডেস্কটপের জন্য বের করছে, আবার হাজার হাজার এপ্লিকেশন আছে যেগুলি ডেস্কটপে চলে। এবং নতুন প্ল্যাটফর্মে আনতে হলে ১-৪ বছর সময় লেগে যেতে পারে। সেই সাথে আছে কর্পোরেট এপ্লিকেশন, যেগুলি এত সহজে পরিবর্তন করা সম্ভব না। এতদিন হয়ে গেলো, গ্রামীণফোন তাদের এপ্লিকেশন কম্পেটিবিলিটি ইস্যুর জন্য এখনো এক্সপি ব্যবহার করে বলে আমি জানি।

বিগত কয়েকবছর মাইক্রোসফট উদ্ভাবনী কিছু করার চেষ্টা করেছে এবং ব্যবপক প্রচারও করেছে কিন্তু শুরু থেকেই মনে হয়েছিলো, পাবলিক এগুলি খাবেনা। যেমন: সিলভারলাইট, সিলভারলাইট ভিত্তিক উইন্ডোজ ফোন ৭। এখন উইন্ডোজ ৮ নিয়েও অনেকটা চিন্তিত বলে মনে হচ্ছে মাইক্রোসফট।

যারা উইন্ডোজ ৮-এ স্টার্ট মেন্যু পেতে চান, তারা স্টার্ট ৮ এপ্লিকেশনটি ব্যবহার করতে পারেন। অনেকে বলছে এটা আগামী প্রকাশনার সাথেও কাজ করবে।

“ডেলইউজ” আমার দেখা সবচাইতে ভালো বিট্‌টরেন্ট এপ্লিকেশন

27 শুক্রবার জুলাই 2012

Posted by Omi Azad in ওপেন সোর্স, সফটওয়্যার রিভিউ

≈ 18 Comments

বড় ফাইল ডাউনলোডের জন্য বিট্‌টরেন্ট প্রযুক্তির বিকল্প নাই, আর উইন্ডোজের সবচাইতে জনপ্রিয় বিট্‌টরেন্ট এপ্লিকেশন ইউটরেন্ট, ২০০৫ সালে শুরু হওয়া ছোট্ট একটা প্রকল্প এবং এখন সবচাইতে শক্তিশালী নেটওয়ার্কে পরিণত হয়েছে। শুরুতে ম্যাকের জগতে এর উপস্থিতি না থাকলেও এখন সেটা আছে, কিন্তু লিনাক্সের জন্য স্টেবল কিছু রিলিজ হয়নি, শুধু পরীক্ষামূলক কয়েকটি সংষ্করণ বের করেছে এই পর্যন্ত।

বেশ কিছুদিন ধরে লিনাক্সের জন্য একটা ভালো বিট্‌টরেন্ট এপ্লিকেশন খুঁজতে থাকি এবং অনেকগুলি সফটওয়্যার পরীক্ষা করে দেখি। উবুন্টুর সাথেই ট্রান্সমিশন নামের একটি এপ্লিকেশন ইনস্টল হয়ে আসে, কিন্তু সেটা সুবিধার কিছু মনেহয়না। কারণ যারা ইউটরেন্টের ফিচারগুলি একবার ব্যবহার করেছে, সেগুলি ছাড়া অন্যকিছু ব্যবহার করে ভালোলাগার কথা না। লিনাক্সের জন্য বা ক্রস্ প্ল্যাটফর্ম সবচেয়ে পুরাতন এবং ফিচার সম্বলিত এপ্লিকেশন ভুজ, কিন্তু এত বেশী ফিচার যে একটু পরেই বিরক্তি চলে আসে। আর শেষবার যখন ব্যবহার করেছিলাম, সেটা জাভা ভিত্তিক ছিলো, তাই রিসোর্স লেগে যেতো প্রচুর!

শেষে খুঁজতে খুঁজতে পেয়ে গেলাম ডেলইউজ। অসাধারণ এক বিট্‌টরেন্ট এপ্লিকেশন। ইউটরেন্টের সমস্থ ফিচার তো আছেই, সেই সাথে আছে ক্রস প্ল্যাটফর্মে চলার সুবিধা। মানে ম্যাক, লিনাক্স ও উইন্ডোজে চলবে এই ডেলউইজ। যারা বিট্‌টরেন্ট ব্যবহার করেন, তাদের এপ্লিকেশনটি একবার ব্যবহার করে দেখতে বললাম।

ওহ্ বলতে ভুলে গিয়েছিলাম, এটা কিন্তু একটা ওপেনসোর্স প্রকল্প।

Rufus দিয়ে তৈরী করা যাবে বুটেবল ফ্ল্যাশ ডিস্ক

14 শনিবার জুলাই 2012

Posted by Omi Azad in ওপেন সোর্স, টিউটোরিয়াল, সফটওয়্যার রিভিউ

≈ 17 Comments

ফ্ল্যাশ ডিস্ক দিয়ে অপারেটিং সিস্টেম ইনস্টল করার মজাই আলাদা। একটা সময় ছিলো, যখন সিডি/ডিভিডি দিয়ে অপারেটিং সিস্টেম ইনস্টল করতে হতো এবং অনেক সময় লেগে যেতো। এমনো ঘটনা মনে আছে যে ডিভিডিতে একটু দাগ লেগেছে, ৯৫% ইনস্টল হয়ে আর কাজ হয়না, সাথে ব্যাকআপ ডিস্ক নেই যে সেটা দিয়ে ইনস্টল করা যাবে, কত রকমই না পেইন ছিলো!

উইন্ডোস ভিস্তা থেকেই ফ্ল্যাশ ডিস্কে করে ইনস্টল করার একটা সহজ উপায় চলে এসেছিলো। কমান্ড প্রম্পটে বহু কিচ্ছা কাহিনী করে ফ্ল্যাশ ডিস্ককে বুটেবল বানানো যেতো।

লিনাক্সের জন্য বিষয়টা সহজ ছিলো, UNetbootin ও Universal USB Installer নামের দু’টি টুল ও যে-কোনো লিনাক্সের লাইভ সিডি/ডিভিডি দিয়ে অনায়াসে লিনাক্সের বুটেবল লাইভ ডিস্ক তৈরী করা যেতো। কিন্তু উইন্ডোসের জন্য অনেকগুলি টুল বরাদ্দ থাকলেও বেশীরভাগ সময় দেখাযায় সেগুলি কাজ করেনা। যেমন WinToFlash, কাজ করবে কি করবেনা বলা মুশকিল!

আজকে Rufus নামের একটি টুল দেখলাম এবং কিছুক্ষণ সেটা নিয়ে নাড়াচাড়া করে বেশ ভালোই লাগলো। একই টুল দিয়ে লিনাক্স, উইন্ডোসের বুটেবল ফ্ল্যাশ ডিস্ক তৈরী করা যাচ্ছে।

ছোট্ট একটি টুল, কিন্তু বেশ কাজের। যারা ইনস্টলার নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করেন, তাদের একবার এই লিঙ্ক থেকে ডাউনলোড করে ব্যবহার করে দেখতে বলছি।

Soft2Base – বিনামূল্যে সফটওয়্যার ইনস্টল ও আপডেট!

21 বৃহস্পতিবার জুন 2012

Posted by Omi Azad in ওপেন সোর্স, সফটওয়্যার রিভিউ

≈ Leave a Comment

এখন বিনামূ্ল্যে এত সফটওয়্যার পাওয়া যায় যে নিত্য প্রয়োজনীয় কাজ করার জন্য টাকা দিয়ে সফটওয়্যার কেনার প্রয়োজন পড়েনা। যেমন: ওপেনঅফিস স্যুট, ফাইলজিলা, পেইন্ট ডটনেট ইত্যাদী।

আমি বরাবরই সফটওয়্যারের সর্বশেষ সংস্করণ ব্যবহার করতে চাই। যত নামকরা সফটওয়্যারই হোক, খুঁটিনাটি সুবিধা বাড়িয়ে বা সমস্যা সমাধান করে আপডেট সবসময়ই বের হয়। উইন্ডোজ বা অফিস সেন্ট্রাল আপডেটের মাধ্যমে নিজে নিজে আপডেট হলেও ফায়ারফক্স, ফাইলজিলা আলাদা আলাদা আপডেট হয় এবং এই প্রক্রিয়াটি অনেকেরই ভালো লাগেনা।

সেদিন ইন্টারনেট ঘাঁটতে ঘাঁটতে Soft2Base নামের চমৎকার একটি সফটওয়্যার পেলাম। সফটওয়্যার বললে ভুল হবে, এটাকে এপ্লিকেশন ম্যানেজার বলা উচিৎ হবে। সাইবার ওয়ার্ল্ডে বিনামূল্যে উপলব্ধ প্রায় সব সফটওয়্যারের তালিকা আছে এর মধ্যে, যদিও আমি তালিকায় ৬১টা নাম পেলাম, এটাইবা কম কি!

এপ্লিকেশনটি চালালে সার্ভারের ডাটাবেইজে থাকা তথ্যের সাথে কম্পউটারের তথ্য মিলিয়ে মূল উইন্ডোতে একটি তালিকা প্রদর্শন করে, তালিকার মধ্যে সফটওয়্যারের নামের পাশে সবুজ, নীল এবং বেগুনী রঙের বোতাম দেখা যায়, সবুজ মানে এই সফটওয়্যারটি ইনস্টল আছে এবং আমি সর্বশেষ সংস্করণ ব্যবহার করছি, নীল মানে এই সফটওয়্যারটি আমার কম্পিউটারে ইনস্টল নেই এবং আমি চাইলে ইনস্টল করতে পারি, আর বেগুনী রঙের বোতামের অর্থ হচ্ছে এই সফটওয়্যারের একটি পুরাতন সংস্করণ আমার কম্পিউটারে ইনস্টল আছে এবং আমি চাইলে আপডেট করতে পারি।

ইনস্টলের জন্যও রয়েছে বেশ কিছু অপশন। Silent Install ব্যবহার করলে আমাদের বিরক্ত না করেই সফটওয়্যার ইনস্টল হয়ে যাবে।

আমার ধারণা সফটওয়্যার ইনস্টলে এক নতুন মাত্রা যোগ করবে এই এপ্লিকেশন ম্যানেজারটি, কিন্তু এখনো অনেক কিছু ঠিক করতে হবে। যেমন আমার কম্পিউটারে VLC x64 ইনস্টল করা আছে, কিন্তু সে চিনতে পারেনি। Waterfox ইনস্টল করা আছে, কিন্তু সেটাও চিনতে পারেনি। বেটা বা অসম্পুর্ণ সংস্করণ ইনস্টল করবো কি-না, সেটা নির্বাচন করার উপায় নাই।

আশাকরা যায় ভবিষ্যতে ছোটখাট এই সমস্যাগুলি আর থাকবেনা…

← Older posts

Categories

  • অ্যানড্রোয়েড
  • আইটি বিশ্ব
  • ই-কমার্স
  • উদ্ভট
  • ওপেন সোর্স
  • গল্প টল্প
  • গান বাজনা
  • গুগল্
  • গ্যাজেট
  • টিউটোরিয়াল
  • টেলিকম
  • বাংলা কম্পিউটিং
  • বাংলাদেশ
  • ব্যক্তিগত
  • মন্তব্য
  • মাইক্রোসফট
  • রিভিউ
  • সফটওয়্যার রিভিউ

Recent Posts

  • ডাক্তার শায়লা শামিম ও মনোয়ারা হাসপাতালের অভিজ্ঞতা
  • ই-কমার্স – বাংলাদেশ পরিস্থিতি এবং ভবিষ্যৎ!
  • Install Google Apps and Play Store on Nokia X, X+ and XL
  • মাইক্রোসফটের কাছে পাওয়া শেষ চেক্!
  • Root Walton Walpad 8b, Walpad 8w, Walpad 8 and Walpad 7

Proudly powered by WordPress Theme: Chateau by Ignacio Ricci.