Reality Bites

~ by Omi Azad

  • Home
  • About Me!
  • My Movies
  • English

Category Archives: টেলিকম

Telecom

পোস্টপেইড মোবাইল! না ছাগলের তিন নম্বর বাচ্চা!!

22 মঙ্গলবার জানু. 2013

Posted by Omi Azad in টেলিকম, মন্তব্য

≈ 19 Comments

মোবাইল প্ল্যান

অনেকদিন থেকেই ভাবছি বিষয়টা নিয়ে লেখা দরকার, কিন্তু লেখা হয়নি। আজকে হঠাৎ ফেসবুকে আব্দুন নূর তুষারের পোষ্টটি চোখে পড়লে আবার বিষয়টি নিয়ে লেখার উৎসাহ ফিরে পাই।

আমার ধারণা আমাদের দেশের ৯০%-এর বেশী মোবাইল ফোন গ্রাহক প্রিপেইড মোবাইল সংযোগ ব্যবহার করেন, যার কারনে এই বিষয়টা নিয়ে সেরকম মাথা ব্যাথা কারও নেই। অথচ একসময় মোবাইল অপারেটাররা অনেক মুলা ঝুলিয়ে পোস্টপেইড সংযোগগুলি বিক্রি করেছে গ্রাহকদের কাছে, যার খেসারত এখনো দিতে হচ্ছে। আমি যদি তুষার ভাইর লেখাটি কোট করি, উনি লিখেছেন-

গ্রামীন ফোন ১৯৯৭ সালে পোস্টপেইড গ্রাহকদের কাছ থেকে ৫০০০ টাকা নিরাপত্তা জামানতে হিসেবে নিয়ে ফোন দিয়েছিল। ১৫ বছরে ব্যাংকে রাখলে এখন এই টাকা হবার কথা ২০ হাজার। তার মানে তারা পোস্টপেইড এর নামে আসলে আমাদের দিয়েছে প্রি পেইড ফোন। এটা একটা প্রতারণামূলক কর্ম। দেশের সবচেয়ে বড় প্রতারক প্রতিষ্ঠান ডেস্টিনি বা হলমার্ক নয়, এর নাম জিপি। … রবি শেখাতে শুরু করেছে ইংরেজী.. ফ্রিজিং কোল্ড মানে বেসম্ভব ঠান্ডা…. টেলিফোনে ডাক্তারী পরামর্শ… বেসম্ভব গাধামী…

কথাগুলি কী সত্য না? দু-একটা অপারেটর বাদে, বেশীরভাগ অপারেটরের পোস্টপেইড সংযোগে কলচার্জ বেশী। কল চার্জ কম হলে দেখা যায় অন্য সুবিধা নেই, একটা না একটা সমস্যা আছেই পোস্টপেইড সংযোগে। এটা যেমন ছাগলের তিন নম্বর বাচ্চা। ছোট্ট কিছু উদাহরণ দেখি –

  • রবি‘র পোস্টপেইড প্যাকেজে এই মুহূর্তে কলচার্জ ৳০.৯০ প্রতি মিনিটে, অথচ রবির প্রিপেইডেই ৳০.৮৪ প্রতি মিনিট প্যাকেজ আছে।
  • রবি প্রিপেইড প্যাকেজে গ্রাহক চাইলে বিভিন্ন ইন্টারনেট বান্ডেল (১ মেগা, ১০ মেগা, ১ গিগা ইত্যাদি) প্যাকেজ ব্যবহার করতে পারেন, পোস্টপেইড গ্রাহকদের সেই সুবিধা নেই।
  • বাংলালিঙ্কের তো বেহাল দশা। পোস্টপেইডের বিল ৳১.২৩ প্রতি মিনিট, অথচ প্রিপেইডে তাদের ৳০.৮৪ প্রতি মিনিট প্যাকেজ আছে। এরা অন্যদের রেকোর্ড ছাড়িয়ে গিয়েছে।
  • রবির মতো বাংলালিঙ্কেও প্রিপেইড গ্রাহকদের জন্য ইন্টারনেট বান্ডেল অপশন অনেক বেশী এবং পোস্টপেইডে অনেক সীমিত অপশন।
  • গ্রামীণফোন আবার বাংলালিঙ্কের চেয়ে কম যায়না। ৳১.২০ প্রতি মিনিট পোস্টপেইডের কল চার্জ, অথচ প্রিপেইডের কল চার্জ ৳১.০৮ প্রতি মিনিট।
  • শুধু এয়ারটেলের ক্ষেত্রেই পোস্টপেইড সংযোগের খরচ সবচাইতে কম দেখা যায়। পোস্টপেইডে ৳০.৭৭ প্রতি মিনিট এবং ৳০.৯৬ প্রতি মিনিট প্রিপেইডে।
  • তবে ঝামেলা আছে এয়ারটেলের ইন্টারনেটে। পোস্টপেইডে ৳৩৫০.০০-এ ১ গিগা ডেটা, আবার প্রিপেইডে ৳৩১৬.২৫-এ ১ গিগা। পোস্টপেইডে বান্ডেল অপশন অনেক সীমিত।
  • অসমতা দেখা যায় টেলিটকেও, পোস্টপেইডে ৳০.৯৯ প্রতি মিনিট এবং প্রিপেইডে ৳০.৯০ প্রতি মিনিট।

শুধু বিল ছাড়াও পোস্টপেইড সংযোগ চালানোর আরও কিছু ঝামেলা আছে। এদের মধ্যে সবচাইতে বিরক্তিকর কয়েকটি হলো –

  • ক্রেডিট লিমিট থাকলেও কোম্পানি ভেদে ৭০-৮০% ব্যবহার হয়ে যাবার পরে কল করতে না দেয়া,
  • ক্রেডিট লিমিট পার হওয়ায় কোনো নোটিফিকেশন না আসা,
  • নগদ টাকা জমা রেখে ক্রেডিট লিমিট বাড়ানো,
  • ব্যাংকে বিল দিলেও সেটা সময়মতো এডজাস্ট না হওয়া,
  • ক্রেডিটকার্ড দিয়ে অটোডেবিট চালু করে রাখলেও সময়মত বিল না নিয়ে লাইন বন্ধ করে দেয়া, ইত্যাদি।

বিদেশে পোস্টপেইড সংযের সুযোগ-সুবিধা অনেক বেশী। যেমন –

  • একজন পোস্টপেইড গ্রাহক অপারেটরের কাছ থেকে কিস্তিতে একটা দামী ফোন নিতে পারে, যা মাসের বিলের সাথে পরিশোধ করতে হয়।
  • প্রতি মিনিট বিল না গুনে নিজের ব্যবহারের উপর আন্দাজ করে একটা বান্ডেল কিনতে পারে, যাতে সে কল, এসএমএস, ইন্টারনেট সহ সব সুবিধা অনেক সাশ্রয়ী মূল্যে পায়।
  • বছরে নতুন নতুন উপহার সহ অনেক কিছু।

বিটিআরসি অনেক কাজ করলেও আমার ধারণা এগুলিতে সমতা আনার জন্য কিছু করেনা, বা কখনো চোখেও দেখেনি যে এরকম একটা অসম ব্যবসা করে যাচ্ছে মোবাইল অপারেটরগুলি দিনের পর দিন।

পোস্টপেইড সংযোগ কিন্তু সাধারণ ব্যবহারকারীরা ব্যবহার করেনা, যারা ব্যবহার করে, তাদের নুন্যতম কমিটমেন্ট থাকে অপারেটরের সাথে। পোস্টপেইড সিম কিনতে হয় বেশী টাকা দিয়ে, আবার সিকিউরিটি ডিপোজিট রাখতে হয়। কিন্তু তারপর কি লাভ!! ঐ টাকা ব্যাংকে ফেলে রাখলেওতো সুদ পাওয়া যাবে। তুষার ভাইর কথাইতো ঠিক।

*উপরের চার্জগুলি এক অপারেটর থেকে অন্য অপারেটরের সাথে কল করার ক্ষেত্রে অনেকগুলি অপশনের মধ্যে সর্বনিম্নটি, এবং ভ্যাট ছাড়া।

আমাদের কিউবি এবং লাগাম ছাড়া একটি প্রতিযোগীতা!

06 রবিবার নভে. 2011

Posted by Omi Azad in উদ্ভট, টেলিকম

≈ 4 Comments

কিউবি ব্র্যান্ডটি বাংলাদেশে একটা ভালো অবস্থা করে নিয়েছে। সম্প্রসারিত করেছে সারা দেশে তাদের নেটওয়ার্ক, হাজার হাজার মানুষের কাছে ইন্টারনেট সেবা সহজলভ্য করেছে। বাংলালিঙ্ক আসার পরে যেমন মোবাইলফোন জগতে একটা ভুতুড়ে পরিবর্তন হয়েছে, ঠিক সেরকম ওয়াইম্যাক্স, তথাপি কিউবি আসার পরে ইন্টারনেটের চেহারা পাল্টে গিয়েছে বলে আমি মনে করি।

ছোট ছোট কয়েকটা সমস্যা অগ্রাহ্য করলে কিউবি কিন্তু ভালোই সেবা দিয়ে যাচ্ছে। আমার আরেকটা জিনিস ভালো লাগে যে ব্যবহারকারীদের মধ্যে ইন্টারনেটের ঝোঁক বজায় রাখার জন্য এরা মাঝে বিভিন্ন প্রোগ্রাম করে। আমি সত্যই তাদের এই প্রোগ্রামগুলিকে এপ্রিশিয়েট করি।

সম্প্রতি তাদের Seen And Be Seen প্রতিযোগীতাটি আমার ভালো লাগলেও তাদের অপরিকল্পিত প্রচেষ্টা আমার ভালোলাগেনি। কিউবিতে কাজ করে এরকম এক বন্ধ আমাকে বললনে, “ইন্টানেটে যে মাজার কিছু করা যেতে পারে, সেটার একটা ধারণা দেবার জন্যই আমাদের এই আয়োজন।” এটা আমিও বুঝি যে যত বেশী ইন্টারনেটে ব্যাস্ত থাকবে, ইন্টারনেট সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলির লাভ ততবেশী। এরকম চিন্তা এর আগে কারও মাথায় আসেনি। এই প্রোগামগুলির কিন্তু ভালো দিক আছে, দুষ্টামির পাশাপাশি যে ভালো কিছু করা যায়, তা সম্পর্কে ব্যবহারকারীরা অবগত হচ্ছে, এটা ১৯৯৫ সালে করলে আজকে ইন্টারনেট ব্যবহারের চেহারাই পাল্টে যেতো দেশে!

যাই হোক, আসি আসল কথায়। প্রতিযোগীতা থাকবে এবং প্রতিযোগীতার নিয়ম-কানুন (আমরা যেটাকে Terms and Conditions বলে থাকি) থাকবে। আমি কিন্তু এই প্রতিযোগীতাটির কোনো নিয়ম-কানুন খুঁজে পেলাম না। অক্টবরের শুরুতে তারা যখন এই প্রতিযোগীতা ঘোষণা দিলো, তখন এটাও বলেনি যে ছবির সাবজেক্ট কি হবে। লঞ্চ করার প্রায় ৬ দিন পরে বলে, Two Categories of pictures are valid in the competition:

  • Unseen Bangladesh: any part of our country, a landscape, a story, an event which truely (বানান ভুল) depicts Bangladesh would be considered by the judges.
  • Candid Shots: A moment with friends, families, near ones, or an event that portrays an intriguing story will be considered in the category.

এছাড়া আর কিছু কিন্তু বলেনি। আমি যখন একটা প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহণ করবো, তখন কিছু জিনিস পরিস্কারভাবে জানতে হবে; যেমন: আমি কি কি ভুল করলে বাদ পড়ে যাবো, বা আমাকে সর্বনিম্ন কি মেইনটেইন করতে হবে, বা আমি যা নিয়ে অংশগ্রহণ করবো, সেটার কি হবে। মাইক্রসফটের একটা প্রতিযোগীতার উদাহরণ দেখা যাবে এখান থেকে। এখানে পরিস্কার বলা আছে যে কি করলে কি হবে, কি ব্যবহার করা যাবে, যারা অংশগ্রহণ করবে তাদের স্বত্ত কি হবে, সর্বনিম্ন বয়স কত হতে হবে ইত্যাদী।

এই ছবিতে পরিস্কার দেখা যাচ্ছে যে কিউবির এই প্রতিযোগীতায় বিজয়ীদের কি দিয়ে পুরস্কৃত করা হবে। কিন্তু উপরের লিঙ্কের মতন কিছুই বলছেনা। একজন ফটোগ্রাফারের ছবি কিন্তু অমূল্য, একটা ম্যাকবুক দিয়ে সেটার মূল্যায়ন করা সম্ভব বলে আমি মনে করিনা। কালকে যদি কিউবি প্রতিযোগীতায় ব্যবহৃত একটি ছবি তাদের বিজ্ঞাপনে ব্যবহার করে, তাহলে আমদের কিছুই বলার নেই।

এক জায়গায় তারা বলেছে-

In the App, register with your valid Name, Phone, Email and organization (your university, School, college or workplace),select the category of picture you are submitting, upload the link of the picture and then submit.

Do not forget to press upload and submit button for a successful registration. Without registration emailed photographs will not be considered.

কিন্তু এটা কি কোথাও বললো যে এই তথ্য তারা কোথায় ব্যবহার করবে? এটাকে আমরা বলি Privacy Policy (একটা উদাহরণ দেখা যাবে এখানে), আমরা যে তথ্য তাদেরকে দেবো, তারা সেটা কি কাজে ব্যবহার করবে সেটা পরিস্কার জানানো দরকার। তারা তো সেটা বিক্রিও করে দিতে পারে! আমি ধরে নিচ্ছি তারা ছবি বা তথ্যের অপব্যবহার করবে না, কিন্তু সেটা পরিস্কার লেখা থাকা উচিৎ বলে আমি মনে করি।

কালকে যদি ১৬ বছরের একজন প্রতিযোগী বিজয়ী হয়, আর পুরস্কার পায়, আমি চাইলেই কিউবির উপরে একটা মামলা ঠুকে দিয়ে বলতেপারি যে তারা শিশুশ্রম উৎসাহিত করছে! আমি নিশ্চিত যে এই মামলায় কিউবি হেরে যাবে। তাই এইসব বিষয়ে অতি সাবধান হওয়া দরকার।

আমি আশা করবো যে ভবিষ্যতে কিউবির মত একটি কর্পোরেট ব্র্যান্ড এরকম ভুল করবে না। প্রতিযোগীতা না হলে মেধার বিকাশ অনিশ্চিত, কিন্তু এটার যাতে অপব্যবহার না হয়, সেই বিষয়টাওতো নিশ্চিত করতে হবে।

You are FUPed! (ন্যায্য ব্যবহার নীতিমালার কথা বলছি)

14 শুক্রবার অক্টো. 2011

Posted by Omi Azad in টেলিকম, মন্তব্য

≈ 3 Comments

Tags

ISP

অনেকদিন থেকেই ভাবছি এই ইস্যুটা নিয়ে লেখা দরকার, কিন্তু সময়ের অভাবে লেখা হয়ে ওঠেনি।

বিষয়টা হলো আমাদের ইন্টারনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান বা আইএসপি-গুলিকে নিয়ে। বেশ কিছুদিন হয়ে গেলো আমাদের আইএসপি-গুলি ফেয়ার ইউজ পলেসি বা ন্যায্য ব্যবহার নীতিমালা আরম্ভ করেছে; বিশেষ করে মোবাইল ইন্টারনেট কোম্পানিগুলি। সরকারী লাইসেন্সধারী কোনো কোম্পানি কি ধুম করে একটা নীতিমালা আরম্ভ করে দিতে পারে? আমার মনেহয় তাদের পারার কথা না, লাইসেন্সে সবসময় শর্ত দেয়া থাকে, সেই শর্তে কিছু উল্লেখ করা না থাকলে সেটার জন্য লিখিত সম্মতি নিতে হয়। মোবাইল ইন্টারনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলি বা তাদেরকে যারা লাইসেন্স দিয়েছে সেই বাংলাদেশ টেলিকম রেগুলেটারি কমিশন (বিটিআরসি) কি সেভাবে কাজ করেছে?

আমার কাছে সবসময় মনে হয় সরকার চলছে সরকারের মতন আর কোম্পানি চলছে তাদের মতন। লাইসেন্স দিয়েই সরকারের কাজ শেষ!  ফেয়ার ইউজ পলেসি আরম্ভ করার পরে আমার খুব জানতে ইচ্ছে হয়, এই পলেসি বা নীতিমালায় কি বিটিআরসির অনুমোদন আছে! একটা নীতিমালা পাশ হয়ে গেলো, দেশের জনগনের উপরে  সেটা চাপিয়ে দেয়া হবে, সেটা থেকে কার কতটুকু লাভ হবে, কতটুকু ক্ষতি হবে সেটা কি অনুমোদন দেবার আগে কেউ খতিয়ে দেখেছে? অন্তত বিটিআরসির কাছ থেকে আমি এটা আশা করিনা।

আমার ধারণা বিটিআরসি আমাদের ভালো মন্দ বোঝে এবং ধরে নিচ্ছি নীতিমালার অনুমোদন তারা দিয়েছে। এবার একটু নীতিমালাগুলি জানি-

  • গ্রামীণফোন – ৫ গিগা ট্রান্সফারের পরে ন্যায্য ব্যবহার নীতিমালা প্রয়োগ করা হবে পরবর্তি বিলের তারিখ পর্যন্ত।
  • বাংলালিংক – এক সপ্তাহে ৩ গিগা ট্রান্সফারের পরে ন্যায্য ব্যবহার নীতিমালা প্রয়োগ করে “পে এজ ইউ গো” করে দেয়া হবে পরবর্তি বিলের তারিখ পর্যন্ত।
  • সিটিসেল – ৭ গিগা ট্রান্সফারের পরে ন্যায্য ব্যবহার নীতিমালা প্রয়োগ করা হবে পরবর্তি বিলের তারিখ পর্যন্ত।
  • কিউবি – ৩০ গিগা ট্রান্সফারের পরে ন্যায্য ব্যবহার নীতিমালা প্রয়োগ করা হবে পরবর্তি বিলের তারিখ পর্যন্ত।
  • এরকম অনেক নীতিমালা আছে।

নীতিমালার ধরণ দেখে কিন্তু মনে হয়না যে বিটিআরসি এরকম উদ্ভট  নীতিমালার অনুমোদন দিতে পারে। ব্যক্তিগতভাবে আমার কিন্তু এই নীতিমালা নিয়ে কোনো সমস্যা নাই, সমস্যা হলো অন্যখানে। একটা আইএসপি বলছে তারা সর্বোচ্চ XX কেবিপিএস বা YY এমবিপিএস গতির সংযোগ দেবে; তারা কিন্তু এটা বলছেনা যে সর্বনিম্ন কত গতি থাকবে। আমার ক্ষুদ্র মস্তিস্কে যা ঢুকে তাতে আমি বুঝি আমাদের সেবার মানের নিশ্চিত করার কাজ বিটিআরসির। উদ্ভট নীতিমালায় অনুমোদন বা এই প্রতিষ্ঠানগুলিকে ব্যবসা করার অনুমতি দেবার সময় তারা কি একবারও ভাবেনা যে গ্রাহকদের অবস্থানটা কোথায় থাকবে! অনেক টাকায় লাইসেন্স দিয়ে দিলেই হলো, না লাইসেন্সে উল্লেখ করতে হবে যে সেবার বিস্তৃতি কিরকম হবে, খরচ কত হবে, সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ মাপ কত ইত্যদি! একটা পাগল তার নিজের ভালো মন্দ বোঝে, বিটিআরসি যখন বিদেশী কোম্পানিগুলির কাছে লাইসেন্সের জন্য ফাটাফাটি রকমের অর্থ চার্জ করে, তখন টাকা গ্রহণ করার পাশাপাশি সুদুরপ্রসারী চিন্তা করে দেখা উচিৎ বলে আমি মনে করি।

যে কোনো সেবা গ্রহণের ক্ষেত্র নিজেকে মাঝে মাঝে এত অসহায় মনে হয়! কি করে আমাদের জন্য আমাদের সরকার!

ওল্লো – চলেন গিনিপিগ হয়ে যাই…

13 বৃহস্পতিবার অক্টো. 2011

Posted by Omi Azad in টেলিকম, মন্তব্য

≈ 34 Comments

Tags

Bangladesh, Broadband, BTRC, Internet, Telecom, Wimax, Wireless, ইন্টারনেট, ওয়াইম্যাক্স, ওয়্যারলেস

বেশ কিছু কোম্পানি নতুন করে ওয়্যারলেস ইন্টারনেট সংযোগ দেবার লাইসন্স পেয়েছে বলে জেনেছি। এদের মধ্যে পরীক্ষামূলক সেবা প্রদান করা শুরু করেছে ওল্লো ওয়্যারলেস ইন্টারনেট।

এরই মধ্যে ফেইসবুকের কিছু বন্ধু ওদের পেইজে লাইক দেয়া শুরু করায় ভাবলাম একবার দেখা দরকার এরা কি করছে; ফোন দিলাম ওদের কল সেন্টারে। প্যাকেজের কথা শুনে তো আমি ধপাস করে পড়ার অবস্থা। ওদের একটাই পণ্য, সেটাও আবার ঠিকমত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি যে কিভাবে বা কোন পরিকল্পনার মাধ্যমে বিতরণ করবে।

একটু বুঝিয়ে দেই। ওদের একটাই USB ডঙ্গল আছে ZTE AX326 এটা একটা WiMax রিসিভার সেটা ইন্টারনেটে ঘাঁটা ঘাঁটি করে বের করলাম। সংযোগ সহ এই ডঙ্গলের দাম ২৪৭৫ টাকা। আর যদি ঠিকমতন নেটওয়ার্ক না পায়, তাহলে এর সাথে একটা ZTE SX361 Wireless Cradle নামক একটা খুঁটি লাগাতে হয় যেটা ভালো সিগন্যাল গ্রহণ করতে সাহায্য করে; আর এর জন্য অতিরিক্ত ৭৫০ টাকা দিতে হবে।

এখন এটা নাহয় কিনলাম কিন্তু সাখে কি পাবো সেটা নিয়ে আলোচনা করি। মডেমের সাথে আমরা পাবো ৫১২ কেবিপিএস গতির একটি ইন্টারনেট সংযোগ যেটা দিয়ে আমরা ৩১ ডিসেম্বর ২০১১ পর্যন্ত সর্বোচ্চ ৪০ গিগাবাইট ডাটা ট্রান্সফার করতে পারবো। ৪০ গিগা শেষ হয়ে গেলে! এজেন্ট জানালেন ওল্লো’র ওয়েব সাইটে গিয়ে অনুরোধ করলে আরও ১০ গিগা বাড়িয়ে দেয়া যেতে পারে। তবে এরপরে কি হবে সেটা জানাতে পারলেননা কল সেন্টারের এক্সিকিউটিভ।

আমি এটাই বুঝলামনা যে এত টাকা পয়সা খরচ করে একটা কোম্পানি কিভাবে সুদুর পরিকল্পনা না নিয়ে ব্যবসা করতে নেমেছে। আর আমরাই বা কেনো টাকা দিয়ে গিনিপিগ হয়ে অনিশ্চিত একটা সেবা ব্যবহার করতে যাবো; তাদের সেবার মান উন্নয়নের জন্য!

বাংলাদেশের অনেক সম্ভবনা দেখে অনেকে ব্যবসা করতে আসে। শর্ত দেয়া হয় “সারা বাংলাদেশে সেবা পৌছে দিতে হবে।” স্রেফ ঢাকাতে সেবার মান বজায় রাখতেই গোপণাঙ্গ দিয়ে রশ বের হয়ে যায়, ঢাকার বাহিরে বিস্তার করার তো প্রশ্নই আসেনা। দুই বছরের বেশী হলো অন্য দু’টি ওয়াইম্যাক্স কোম্পানি ব্যবসা করছে, কিন্তু দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে এখনো যেতে পারেনি। এরা কি করে সেটা দেখার আগ্রহ আছে।

শেষ কথা হলো আমার শখ নাই টাকা দিয়ে আপাতত গিনিপিগ হওয়ার। আমার বাসায় ৮-৯টার মত ডিভাইস আছে যেগুলিতে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে হয়। এই জঙ্গল ডঙ্গল আমার জন্য না!

BTCL ADSL – কুত্তার লেজ সোজা হয়না

19 মঙ্গলবার এপ্রিল 2011

Posted by omiazad in টেলিকম, মন্তব্য

≈ 26 Comments

Tags

ADSL, Bangladesh, BTCL, এডিএসএল, বাংলাদেশ, বিটিসিএল

বেশ আগ্রহ নিয়ে গতমাসের ২৯ তারিখে বন্ধুদের জানালাম যে বিটিসিএল থেকে লোক এসে তাদের ADSL সংযোগ দেবার বিষয়ে যাবতীয় কাজ করে নিয়ে গিয়েছে। অনেকেই অনেক মন্তব্য করলো, আমি ভাবলাম একবার দেখিনা এই রাষ্ট্রীয় সেবা কেমন হয়। আমার মাথায় একটা জিনিস ছিলোনা যে কুত্তার লেজ কখনো সোজা হয়না।

কাজী মাকসুদ (মোবাইল: ০১৭১৫৩২৫৩৪৩) নামের যে ভদ্রলোক সংযোগ দিতে এসেছিলেন উনি বলে গেলেন সাত দিনের মধ্যে আমি সংযোগ পাবো। আমি এই মাসের ৭ তারিখ শনিবারে উনাকে ফোন দিলাম, ভাই সংযোগ এর খবর কি? উনি বেশ অনুরোধ করে বললেন একটা দিন দেখতে, সংযোগ হয়ে যাবে। আমি অবশ্য আর ফালতু অপেক্ষা করতে চাইছিলাম না, কারণ আমি ফেইসবুকের মন্তব্যগুলিতে বেশ বিরক্ত। তবে উনার অনুরেধের ঢেকি গিললাম এবং সত্যি সত্যি ৮ তারিখে আমার সংযোগ চালু হয়ে গেলো!

উনি আমাকে টেলিফোন করেই বলে দিলেন কি কি করতে হবে এবং কোনো সমস্যা হলে যাতে কালাম সাহেবকে ০১৯২৩৩৭০১৫৩ নম্বরে ফোন দেই। আমি সংযোগ স্থাপন করতে ব্যার্থ হলে কালাম সাহেবকে ফোন দেই, উনার নম্বর দেয়া হয়েছে বলে উনি বেশ বিরক্ত কারণ উনি জ্বরে ভুগছেন এবং কিছুদিন বিশ্রাম করে কাটাতে চান। তারপরেও উনাকে অনুরোধ করলে উনি ফোনে সাহায্য করেন এবং আমি সংযোগ স্থাপনে সক্ষম হই।

এখন হলো সবচাইতে কষ্টের বিষয়, সংযোগ নিয়েছি 1024kbps কিন্তু আমি পাচ্ছি 128kbps এর নীচে। মানে আমার ডাউনলোডে গতি সর্বোচ্চ 128Kbps থাকা উচিৎ, কিন্তু থাকছে 12-20Kbps সর্বোচ্চ। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে মাকসুদ সাহেবকে ফোন দিলাম, উনি বেশ কিছুক্ষণ আমার মাখা চাটলেন এবং কালাম সাহেবের সাথে যোগাযোগ করতে বললেন। অগত্যা জ্বরের মানুষটাকে ফোন দিতে হলো, উনি বললেন এই মুহুর্তে কিছু করা সম্ভব না উনার পক্ষে, উনি জ্বর থেকে ভালো হয়ে সব ঠিক করে দেবেন এবং আমি দুর্দান্ত গতি পাবো।

গত পরশু, অর্থাৎ ১৭ তারিখে আমি কালাম সাহেবকে আবার ফোন দিলে উনি জানান উনি লাইন ম্যান নিয়ে অনেক কিছু করেছেন এবং আমার পোল পর্যন্ত কোনো সমস্যা নাই, উনি কালকে অর্খাৎ ১৮ তারিখে সব পরীক্ষা করে আমাকে ফাইনাল জানাবেন। আমি গতকালকে উনাকে আবার ফোন দিলে উনি বলেন উনার লাইনম্যান আসেনি, আসলেই হয়ে যাবে। রাতে আমি ফোন দিলে উনি আর ফোন ধরেন না। এরকম অবস্তা দেখে আমি আবার মাকসুদ সাহেবকে ফোন দেই। মাকসুদ সাহেব আমাকে সাহায্য করার চেষ্টা করেন কিন্তু Morning shows the day, যার শুরু এরকম এটা নিয়ে ভবিষ্যতে আর কি হবে সেটা এখনি বোঝা যাচ্ছে। তাই আমি তাকে আমার মডেম ফেরৎ নেবার জন্য অনুরোধ করি।

এই তিক্ত অভিজ্ঞতার এখানেই শেষ না, আরও আছে। আমার লাইনে ADSL কেমন কাজ করবে বা আদৌ করবে কি-না সেটা দেখা BTCL এর দায়িত্ব না। আপনি টাকা দিয়ে সংযোগ নেবেন এবং তার পরে তাদের ইচ্ছা হলে পরীক্ষা করবে এবং এর পরে আপনি সংযোগ ১ দিন ব্যবহার করেন আর সংযোগ নিয়ে পরীক্ষা করেন, আপনাকে সম্পুর্ণ মাসের বিল দিতে হবে। সংযোগ হওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে আপনি মডেম ফেরৎ দিতে পারবেন, সেটা একটা ভালো বিষয়, নাই মামার চাইতে কানা মামা ভালো।

বিটিসিএল এর শেখা উচিৎ –

  • বড় কথা বলতে হয়না, কিন্তু আপনাদের মধ্যে থেকে কেউ যদি এই মুহূর্তে ফোন দেয়, ঢাকা শহরের প্রায় ৫টা আইএসপি এসে বাসার দড়জায় দাঁড়িয়ে থাকবে সংযোগ দেবার জন্য।
  • আইএসপি যত ছোটই হোক্, এক কালামের উপর নির্ভর করে চলে না।
  • প্রটোকল দেখিয়ে ব্যবসা করার দিন শেষ, লাইনম্যান, সুইচম্যান কি করলো ব্যবহারকারীর কিছু যায় আসেনা। আসলে আজকে বিটিসিএল-এর ব্যবহারকারী সবচাইতে বেশী হতো।
  • মাকসুদ তার সাধ্য মতন চেষ্ট করেছে, বিটিসিএল-এর উচিৎ অকর্মাদের বাদ দিয়ে মাকসুদের মতন লোককে কাজে লাগানো।

এখানে হয়তো অনেকেই বলবে যে এখানে শুধু বিটিসিএল একা কাজ করেনা। এখানে এমএম সিস্টেমস নামের একটা কোম্পানী রয়েছে যারা অন্যান্য কাজ করছে। আমার কথা আবারও একই, প্রটোকল দেখার সময় নাই ভাই, আমি এমন কোম্পানীর সংযোগ নেবো যারা আরেক কোম্পানীর উপরে নির্ভর করেনা।

← Older posts

Categories

  • অ্যানড্রোয়েড
  • আইটি বিশ্ব
  • ই-কমার্স
  • উদ্ভট
  • ওপেন সোর্স
  • গল্প টল্প
  • গান বাজনা
  • গুগল্
  • গ্যাজেট
  • টিউটোরিয়াল
  • টেলিকম
  • বাংলা কম্পিউটিং
  • বাংলাদেশ
  • ব্যক্তিগত
  • মন্তব্য
  • মাইক্রোসফট
  • রিভিউ
  • সফটওয়্যার রিভিউ

Recent Posts

  • ডাক্তার শায়লা শামিম ও মনোয়ারা হাসপাতালের অভিজ্ঞতা
  • ই-কমার্স – বাংলাদেশ পরিস্থিতি এবং ভবিষ্যৎ!
  • Install Google Apps and Play Store on Nokia X, X+ and XL
  • মাইক্রোসফটের কাছে পাওয়া শেষ চেক্!
  • Root Walton Walpad 8b, Walpad 8w, Walpad 8 and Walpad 7

Proudly powered by WordPress Theme: Chateau by Ignacio Ricci.