Reality Bites

~ by Omi Azad

  • নীড়
  • আমার সম্পর্কে
  • আমার দেখা সিনেমা
  • English
  • বাংলা

Tag Archives: microsoft

মাইক্রোসফটের কাছে পাওয়া শেষ চেক্!

29 শনিবার Mar 2014

Posted by Omi Azad in ব্যক্তিগত, মাইক্রোসফট

≈ 1 Comment

Tags

microsoft

গত ২০১২ সালের জুন মাসে মাইক্রোসফট ছেড়েছি, সবার ক্ষেত্রে যা হয় আমার ক্ষেত্রেও তাই হলো, ছাড়ার সময় কিছু দেনা পাওনা থেকেই গেলো। আমি অনেক ভাগ্যবান যে গত ২৫ তারিখে শেষ পাওনা চেক্‌টি হাতে পেয়েছি। শেয়ার করার মতো একটি বিষয় বলে শেয়ার না করে পারলাম না।

এখান থেকে একটি বিষয় শিক্ষা নেয়া যায়, সহসা কিছু হচ্ছেনা বলে আমরা অনেকসময় নিরাশ হয়ে যাই, অনেক সময় নিজের উপরে নিয়ন্ত্রন হারিয়ে ফেলি, একটু ধৈর্য্য ধরলেই কিন্তু আমরা যা চাই, তা পেয়ে যাই। 🙂

শেয়ার করুন:

  • Tweet
  • Email

Fix – Windows 8 “Change PC Settings” Not working

28 রবিবার Apr 2013

Posted by Omi Azad in Microsoft, Tutorials

≈ 17 Comments

Tags

microsoft, windows

While facing the same problem I Googled about it and found I’m not the only one. Well, let me explain the problem for you. When I open the Windows 8 Charms Bar and click on Settings gear icon and then click on the Change PC Settings link on the bottom of the page, nothing happens!!

I went to this Microsoft Answers page and found an experienced Microsoft MVP gave a funny suggestion, which is to restore your Windows to previous condition. Dude, seriously! We just cannot roll our system back to some old stage.

So I used my head and tried to remember what I did wrong and how I can correct this. For me, it’s not possible to roll back to anywhere. Maybe my MVP friend have plenty of time, but unfortunately I don’t.

Then I remember that while playing with my start menu items, I have deleted the PC settings shortcut. This also happens if someone installs a 3rd party start menu and customizes that.

PC Settings

So I went to C:\ProgramData\Microsoft\Windows\Start Menu\Programs on a friend’s PC. Took the PC settings shortcut and put it in the same location on my PC.

Yahoo! it’s fixed!!

Well if you are suffering from the same problem and thinking where to get the shortcut from as you may not have any friend running Windows 8. Well, don’t worry, lit me help you in few easy steps-

  • Download the zip file from here.
  • Extract it and you’ll get the PC settings shortcut in there.
  • Put the shortcut in C:\ProgramData\Microsoft\Windows\Start Menu\Programs (You cannot move the shortcut to that place. You have to copy paste)

And you are good to go. Let me know how it went with you.

শেয়ার করুন:

  • Tweet
  • Email

মাইক্রোসফট উইন্ডোজ এইটের চমক

20 শনিবার Oct 2012

Posted by Omi Azad in মাইক্রোসফট, সফটওয়্যার রিভিউ

≈ 2 Comments

Tags

8, microsoft, windows

অপারেটিং সিস্টেমে একক অধিপতি মাইক্রোসফট এখন বড় ধরনের প্রতিযোগীতার মুখে। সফটওয়্যার জায়ান্টকে বড় চ্যালেঞ্জটি ছুঁড়ে দিয়েছে অ্যাপলের আইওএস এবং গুগলের অ্যান্ড্রয়েড। ডেস্কটপের বাজার দখলকারী স্মার্ট ডিভাইসে চলছে অ্যান্ড্রয়েড রাজত্ব। তবে ট্যাবলেট কম্পিউটার কিংবা স্মার্টফোনেও যে উইন্ডোজ কার্যকর তা প্রমাণে নতুন চমক নিয়ে এসেছে মাইক্রোসফট। আর এই বিস্ময়ের নামই উইন্ডোজ এইট। বহুল প্রত্যাশিত উইন্ডোজ এইটকে বলা হচ্ছে মাইক্রোসফটের জন্য এক নতুন মাইলফলক। ইতিমধ্যে উইন্ডোজ পৌঁছে গেছে ডিভাইস প্রস্তুতকারক (OEM partner), ডেভেলপার এবং কর্পোরেট ব্যবহারকারীদের কাছে। ব্যবহার করে দেখেছেন সাংবাদিকসহ অন্য বিশেষজ্ঞরাও। ব্যবহারকারীর দৃষ্টিভঙ্গি থেকে উইন্ডোজ এইট এর সুবিধা-অসুবিধাগুলো নিয়ে নানারকম মতামত দিয়েছেন অনেকেই।

নতুন চেহারা

চীরচেনা উইন্ডোজ ব্যবহার করতে গিয়ে এবার ব্যবহারকারীদের অনেকটাই ওয়েবপেজে ভ্রমণ করার মতো অভিজ্ঞতা হবে। চমৎকার হালকা এবং নতুন সজ্জিত মেন্যু দিচ্ছে কোনো অ্যাপ্লিকেশনে প্রবেশ না করেই আপডেট দেখার সুবিধা। যেমন: আবহাওয়ার অ্যাপ্লিকেশনে প্রবেশ না করেই দেখা যাবে বর্তমান আবহাওয়ার অবস্থা, বা দেখা যাবে টুইটার/ফেসবুকে বন্ধুর শেষ স্ট্যাটাস।

একই সঙ্গে ট্যাবলেট ও ডেস্কটপে

একই উইন্ডোজ ব্যবহার করা যাবে x86 প্রসেসরভিত্তিক ডেস্কটপ ও ARM প্রসেসরভিত্তিক ট্যাবলেট কম্পিউটারে। Touch Sensitive উইজার ইন্টারফেস হওয়ায় ডেস্কটপের পাশাপাশি ট্যাবলেটে ব্যবহার করেও অনেক স্বাচ্ছন্দ্য পাওয়া যাবে।

অসাধারণ গতি

বিশ্বাস করুন আর নাই করুন, সর্বনিম্ন প্রয়োজনীয় হার্ডওয়্যার সংবলিত একটি কম্পিউটার একেবারে বন্ধ অবস্থা থেকে উইন্ডোজ এইট ডেস্কটপে আসা পর্যন্ত সর্বোচ্চ সময় লাগবে ১০ সেকেন্ড। উইন্ডোজ এইট এই গতির ভেলকি দেখাবে নতুন করে ডিজাইনকৃত কার্নেল থেকে। এই গতিই সম্ভবত উইন্ডোজকেই উইন্ডোজের প্রতিদ্বন্দ্বী করে তুলবে।

ডেস্কটপ চার্ম মেন্যু

ডেস্কটপের ডান পাশে প্রথমবারের মতো সংযোজিত হয়েছে এই মেন্যু। এটি একটি অ্যাপ্লিকেশনের বিভিন্ন সেটিং, বিভিন্ন বিষয় শেয়ার করাসহ নানা সুবিধা দিচ্ছে। এতে করে উইন্ডোজে কাজ করা অনেক সহজ হয়েছে। যেমন: আপনি একটি ছবি দেখছেন, চট করে তা সরাসরি ফেসবুক শেয়ার দিতে পারবেন মেন্যুটির সাহায্যে।

স্ন্যাপ মাল্টিটাস্কিং

এটি সম্ভবত উইন্ডোজ এইট এর অন্যতম সেরা ফিচার। এত দিন আমরা অনেক অ্যাপ্লিকেশন চালিয়ে রেখে কাজ করতে পারতাম। মাল্টিটাস্কিং সুবিধা থাকায় এখন আমরা পাশাপাশি দুটি উইন্ডোতে কাজ করতে পারবো এই বৈশিষ্ঠ্য ব্যবহার করে।

দুর্দান্ত ফাইল কপির গতি

হার্ডওয়্যারের সম্পূর্ণ ব্যবহার করছে উইন্ডোজ এইট। তার ফল ফাইল কপির গতিতে ঠিকই টের পাওয়া যাবে। ইউএসবি ২.০ বি ৩.০ এর যে গতি পাওয়ার কথা, ঠিক সেটাই পাওয়া যাচ্ছে উইন্ডোজ এইটে। এই বৈশিষ্ট্যটি ব্যবহারকারীদের জন্য নতুন অভিজ্ঞতা হবে।

উইন্ডোজ স্টোর

ম্যাক ওএস বা উবুন্টু’র পরে স্টোর থেকে এপ্লিকেশন নিয়ে ব্যবহার করার সুবিধা যোগ হলো উইন্ডোজে। এতে ব্যবহারকারীরা নির্ভরযোগ্য জায়গা থেকে প্রয়োজনীয় সব অ্যাপ্লিকেশন নিয়ে ব্যবহার করতে পারবেন।

তবে ভালো কিছু করতে গিয়ে মাইক্রোসফট নিরাশ করেছে অনেক পুরনো ব্যবহারকারীকে। এর মধ্যে প্রথম সমস্যা হচ্ছে নতুন স্টার্ট মেন্যু। পুরনো উইন্ডোজ ব্যবহারকারীরা এতে একটু হতাশই হবেন বলে মনে হয়। বহুল ব্যবহৃত স্টার্ট মেন্যু উধাও হয়ে গেছে উইন্ডোজ এইট এ! সেই উইন্ডোজ ৯৫ থেকে ব্যবহারকারীরা স্টার্ট মেন্যুর মাধ্যমে প্রোগ্রামগুলো ব্যবহার করে আসছিলেন। হঠাৎ সেটা চলে যাওয়ায় এবং নতুন মেন্যু (যাকে স্টার্ট স্ক্রিন বলা হচ্ছে) অনেকের কাছে বাড়তি ঝামেলার মনে হতে পারে।

পাশাপাশি অনেক পুরনো অ্যাপ্লিকেশন বা গেম চলছে না ঠিকমতো। সঙ্গে রয়েছে একাধিক মনিটরের সমস্যা। যেমন, আপনার যদি একাধিক মনিটর ব্যবহারকারী থাকে, আর প্রাথমিক মনিটরটি যদি টাচস্ক্রিন না হয়, তাহলে বেশ ঝামেলায় পড়তে হবে আপনাকে। মাউসটি ঠিক কোথায় রাখলে চার্ম মেন্যু আসবে, সেটাকে নিয়ন্ত্রণ করা বেশ ঝক্কির। জেডিনেট বা সিনেটের রিপোর্টাররা এটি পরখ করে এখন পর্যন্ত ভালো কিছু বলেননি। এ ছাড়া উইন্ডোজ এইট দিয়ে মাইক্রোসফট নিজেই ‘সারফেস’ নামের ট্যাবলেট আনছে দেখে অন্য ট্যাবলেট নির্মাতারা অখুশি। বিশেষ করে যাদের উইন্ডোজ এইট এর প্রতি আগ্রহ ছিল।

দাম-দর

বাজারে আসার আগেই অ্যাসার, ডেল, এইচপি, স্যামসাং এবং সনির মতো নির্মাতাদের নতুন পিসিতে চলে এসেছে উইন্ডোজ এইট। উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের সর্বশেষ সংস্করণ উইন্ডোজ এইট এর দাম ঘোষণা করেছে নির্মাতা মাইক্রোসফট। গত শুক্রবার থেকে বহুল আলোচিত অপারেটিং সিস্টেম উইন্ডোজ এইট আগাম বিক্রি শুরু হয়েছে। লাইসেন্সসহ পূর্ণাঙ্গ সংস্করণের দাম ৭০ ডলার। আগামী ২৬ অক্টোবর থেকে অনলাইনেও পাওয়া যাবে উইন্ডোজ এইট। এক বছর মেয়াদে উইন্ডোজ ডাউনলোড গুনতে হবে ৪০ ডলার। মাইক্রোসফটের নিজস্ব অনলাইন স্টোর ছাড়াও ওয়েব বিকিকিনি প্রতিষ্ঠান অ্যামাজন ডটকম এবং বেস্ট-বাই, স্ট্যাপলস থেকেও নতুন উইন্ডোজ কেনা যাবে। চাইলে ব্যবহারকারীরা ইন্টারনেট থেকে ১৫ ডলার খরচায় বদল করে এক বছরের জন্য উইন্ডোজ এইট নিতে পারবেন।

তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ব্যবহারকারীদের অ্যাপল বা অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস কেনার গতি দেখে মাইক্রোসফট কিছুটা হলেও শঙ্কিত। তাই দেরি না করে উইন্ডোজকে ঢেলে সাজিয়েছে, যা একই সঙ্গে ডেস্কটপ এবং ট্যাবলেটে ব্যবহার করা যায়। তবে যুদ্ধে কী হবে, তা আপাতত বোঝা যাচ্ছে না। বছরের শেষে বিভিন্ন ছুটিতে পশ্চিমা গ্রাহকরা নিজে ব্যবহার করার জন্য বা উপহার দিতে অনেক নতুন গ্যাজেট কেনেন। ফলে উইন্ডোজ এইট এর সাফল্যের খতিয়ান দেখতে নতুন বছরের শুরু পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকতে হবে।

পুনশ্চ: লেখাটি আজকের দৈনিক সমকালে প্রকাশিত হয়েছে।

শেয়ার করুন:

  • Tweet
  • Email

কমিউনিটির জন্যই কাজ করে যেতে চাই

07 বৃহস্পতিবার Jun 2012

Posted by Omi Azad in ব্যক্তিগত, মাইক্রোসফট

≈ 15 Comments

Tags

Bangladesh, career, community, Job, microsoft, Sri Lanka

গতকাল ছিলো ইবানের জন্মদিন, আর মাইক্রোসফট বাংলাদেশের সাথে কাজ না করার সিদ্ধান্তটাও বাস্তবায়ন করলাম গতকালকে। বেশ কিছু পত্রিকা/অনলাইন মাধ্যমের বদৌলতে এই খবর এখন পুরাতন, কিন্তু অনেকেই প্রশ্ন করছে কেন এই সিদ্ধান্ত আর ভবিষ্যত পরিকল্পনা কি।

মাইক্রোসফটের সাথে কাজ করে আসছি সেই ২০০২ সাল থেকে, মাইক্রোসফটের তৈরী করা ছোট বড় প্রায় ১২০টি পণ্য ইন্ডাস্ট্রিতে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। ২০০৯ সালে যখন সুযোগ হয়, তখন  এক্সপ্লোর করার সুযোগটা হাতছাড়া হতে দেইনি। কাছে থেকে গত আড়াই বছরে বহু কিছু দেখেছি এবং শিখেছি। সে এক অসাধারণ অভিজ্ঞতা। আমার পরিচিত অনেক ডেভলপার আছে, যারা কি করবে, কিভাবে করবে বুঝতে পারছেনা। অথচ মাইক্রোসফটের একটি প্রযুক্তির উপরে অভিজ্ঞতা অর্জন করলেই ভবিষ্যত নিয়ে আর চিন্তা করতে হয়না। গত জানুয়ারি মাসের একটা ছোট্ট জরিপে দেখানো হয়েছে যে উন্নতবিশ্বে প্রায় দেড়লাখ ডায়নামিক্স ন্যাভ ডেভলপার দরকার ছিলো ২০১১ সালে এবং তিনগুন ডেভলপার দরকার ২০১২ সালে, একই জরিপে শেয়ারপয়েন্টের কথাও এরকম বলা হয়েছে; তবে শেয়ারপয়েন্টের ডেভলপার দরকার আরও বেশী। এদের পারিশ্রমিকও কিন্তু কম না, নবীনদেরই প্রতি মাসের বেতন হতে পারে দুই হাজার থেকে শুরু করে পাঁচ হাজার ডলার পর্যন্ত! সাথে পারিবারিক স্বাস্থ্য বীমা, ভিসা স্পন্সার সহ থাকে নানান সুবিধা। আমার জানা মতে বাংলাদেশ থেকে ৩/৪ জনের বেশী এই সুবিধাগুলি নিতে পারেনি। শুধু বাংলাদেশেই ১০জন মানুষ দরকার যারা মাইক্রোসফটের লাইসেন্স এক্সপার্ট, কিন্তু এরকম মানুষ পাওয়া কঠিন।

যেজন্য এই কথাগুলি বললাম, আমার লক্ষ্য ছিলো এই জিনিসগুলি আমাদের দেশের নব্য-ডেভলপারদের সামনে তুলে ধরা, যাতে তারা অনায়াসে একটা ভালো ক্যারিয়ার গঠন করতে পারে। আমার শক্তি আমাদের দেশের ডেভলপাররা। আমাদের কিন্তু বিশাল একটা ডেভলপার কমিউনিটি আছে যাদের মন মানসিকতা অত্যন্ত খোলামেলা। একজন প্রতিষ্ঠিত ডেভলপারের কাছে একজন নবীন ডেভলপার কোনো সাহায্য চেয়েছে, কিন্তু পায়নি এমনটা হয়না। শুধু এদের এক ছাদের নিচে নেয়ার প্রয়োজন ছিলো। আমাদের খুবই পরিচিত গ্রুপ পিএইচপিএক্সপার্টস, সারা বিশ্বের ওয়েব ডেভলপাররা সেখানে কোলাবরেট করছে এবং উপকৃত হচ্ছে। পিএইচপিএক্সপার্টসের যাত্রা কিন্তু ভারত বা আমেরিকা থেকে শুরু হয়নি, হয়েছে এই বাংলাদেশ থেকে। ছোট ছোট এরকম আরও উদাহরণ আছে যা প্রমাণ করে আমরা কত শক্তিশালী এবং একটু সাহায্য পেলেই আমরা অসম্ভবকে সম্ভব করে তুলতে পারি।

এই চিন্তা মাথায় রেখেই শুরুকরেছিলাম যাত্রা মাইক্রোসফটের সাথে। যাত্রার অভিজ্ঞতা অসাধারণ; চমৎকার একটা দল ছিলো মাইক্রোসফট বাংলাদেশে আর এর বাহিরে মাইক্রোসফট স্টুডেন্ট পার্টনারদের নিয়ে আমার দলটা ছিলো আরও শক্তিশালী। অনেক চড়াই উৎরই-এর মধ্যেও আমরা কাজ করে গিয়েছি স্বাভাবিকভাবে এবং জয়ের মুখ দেখেছি। কিন্তু হঠাৎ করেই আমাদের দলটিতে ভাঙ্গে যেতে শুরু করলো! এই বছর জানুয়ারী মাসে আমাদের কান্ট্রি ম্যানেজার ফিরোজ মাহমুদ আমাদের অনেকটা চমকে দিয়েই পদত্যাগ করলেন, সাথে সাথে মাইক্রোসফট শ্রীলঙ্কার কান্ট্রি ম্যানেজার আমাদের দেখাশোনার দ্বায়িত্ব নিলেন কিন্তু আমার কাছে মনে হয়েছিলো যে মাইক্রোসফটের এই সিদ্ধান্তটা সঠিক না। শ্রীলঙ্কার কান্ট্রি ম্যানেজারের নিজেরই অনেক বড় দ্বায়িত্ব, সে নিজের কাজের পাশাপাশি কিভাবে আমাদের সহায়তা করবে সেটা ছিলো সবার প্রশ্ন। বিভিন্ন দিক থেকে আমাদের চ্যালেঞ্জ বেড়ে যেতে লাগলো। সবকিছু কেমন যেনো এলোমেলো হয়ে যেতে লাগলো এবং দলের লোকেরা একে একে বিভিন্ন দিকে চলে যেতে থাকলেন।

লোক কমে যাওয়ায়, শেষে আমার কাজের বাহিরে অনেক কাজ বেড়ে গেলো! একটা কিছু করতে হলে সেটার কোটেশন নেয়া থেকে শুরু করে পেমেন্টের ভ্যাট/ট্যাক্স হিসাবও আমাকে করতে হচ্ছিলো, এবং হাঁপিয়ে গিয়ে গত মার্চ মাসে আমার কান্ট্রি ম্যানেজারকে এসব কথা বললে উনি আমার কাছে সময় চান। গত ৫ তারিখে আমাকে নতুন কিছু অফার করেন, কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো- টাকা পয়সা বেশী হয়তো পেতে পারি, কিন্তু সেটা দিয়েতো আর দু’টা হাত আর একটা মাথা কিনতে পারবোনা, তাই না? তাই আমি অনুরোধ করলাম আমাদের চুক্তির ইতি ঘটাতে এবং উনি কথা না বাড়িয়ে আমার অনুরোধ রাখেন।

আমি চাইলে মার্চেই ছেড়ে দিতে পারতাম, কিন্তু কমিউনিটির কাছে আমার যে প্রতিশ্রুতি আছে সেটা নষ্ট হয়ে যেতো। তাই ইমাজিন কাপ শেষ করে, তাদের সকল দ্বায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়ে শেষ করলাম মাইক্রোসফটের সাথে আমার যাত্রা।

আমি শুরু থেকেই কমিউনিটির কাছে প্রতিশ্রতিবদ্ধ এবং ভবিষ্যতে যাই করি, চেষ্টা করবো তা হবে কমিউনিটির জন্যই কাজ করে যেতে। আশা করবো আমার বন্ধু এবং শুভাকাঙ্খীরা আমার জন্য তাই দোয়া করবেন; আর পক্ষান্তরে আমিও মাইক্রোসফট বাংলাদেশের শুভকামনা করি, আশাকরি সকল জটিলতা পার করে আগামীতে তারা অনেক বড় হয়ে উঠবে এবং বাংলাদেশের অর্থনীতিতে দৃষ্টান্তমূলক ভুমিকা পালন করবে।

শেয়ার করুন:

  • Tweet
  • Email

হাত ধরে কাজ করলে আরও উন্নত হতে পারে আমাদের আইটি!

27 মঙ্গলবার Dec 2011

Posted by Omi Azad in মন্তব্য

≈ 10 Comments

Tags

Bangladesh, Linux, microsoft, Software

বহুবছর থেকে একটা জিনিস লক্ষ্য করে আসছি, আজকে ভাবলাম এটা নিয়ে লেখা দরকার। ২০০১ থেকে একটা চেষ্টার মধ্যে আছি, কমিউনিটির জন্য কিছু করার। বিভিন্ন কাজ করার চেষ্টা করেছি যাতে অন্যদের কাজে লাগে, বিভিন্ন গ্রুপের সাথে মিশেছি, অনেকে এক হয়ে কাজ করার চেষ্টা করেছি। আমার মনে হয় যা কিছু করেছি কারও ক্ষতি হয়নি তাতে বরং লাভ হয়েছে। যত কাজ করেছি, তত নতুন জিনিস শিখেছি, নেটওয়ার্ক বড় হয়েছে, সর্বোপরি অভিজ্ঞতা বেড়েছে।

কমিউনিটির জন্য প্রথম কাজ করি লোকালাইজেশন নিয়ে। নিজের ভাষায় সবকিছু হবে, সবাই নিজের ভাষায় সব ব্যবহার করতে পারবো। ভাবতেই ভালো লাগতো। ছোট্ট একটা আইএসপি চালাতাম আর বসে বসে অনুবাদের কাজ করতাম, ফন্ট তৈরীর কাজ করতাম। এই কাজ করতে পরিচিত হয়েছি অসাধারণ কিছু মানুষের সাথে। ম্যাক ভাই, জামিল ভাই, সুজন, আলমগীর সহ অনেকে; ভারতেরও দুই একজনের সাথে কাজ করা হতো, চমৎকার সিংক্রোনাইজেশন ছিলো আমাদের মধ্যে। কেউ সরাসরি হয়তো কাজ করতনা, কিন্তু পাশে থেকে ব্যপক সহযোগীতা দিয়েছে, যেমন ইরু ভাই, মোজাহেদুল ভাই, রাসেল ভাই, মুনির ভাই, সহ অনেক অনেক মানুষের। আর কাজের পথেই বন্ধু হিসেবে পেয়েছি হাসিন হায়দারের মতন মানুষকে।

প্রথম থেকে ওপেনসোর্সের প্রতি একটা ঝোঁক ছিলো, ধারণা ছিলো সব কিছু নিজের মতন করে ঢেলে সাজানো যাবে, আর তাই লিনাক্সের এডভোকেসি করেছি প্রচুর। সঙ্গে থেকেছি অঙ্কুর, বিডিলাগ ও বিডিলুয়ার মত সংগঠনের, প্রতিষ্ঠায় উৎসাহ দিয়েছি বিডিওএসএন-এর।

কিন্তু সেই শুরু থেকে একটা জিনিস লক্ষ করেছি যে আমাদের কমিউনিটিতে কিছু মানুষ আছে যারা সাহায্য করার নাম করে আসে, অনেক উঁচা লম্বা কথা বলে এবং পরে কুলশিত করে ফেলে কমিউনিটিকে। ক্ষতিগ্রস্থ হয় ফ্রেশাররা, হরিয়ে ফেলে দিক নির্দেশনা। একসময় লিনাক্সের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ফোরামগুলিতে কথা হতো, এখন কি হয়েছে জানিনা! চমৎকার অনেকগুলি ফোরম এখন মৃত, এখন আলোচনা কোথায় হয় আমার জানা নাই! আবার আরেক ধরণের মানুষ আছে, যারা “কমিউনিটির জন্য কিছু করছি” বলে কিছু মেনে নিতে পারেনা। একটা ফোরাম করলে সেটার মালিক হয়ে থাকতে চায়; পরে মালিক হিসেবে স্বিকৃতী না দিলে, রাগ করে সব বন্ধ করে দেয়। আরও একদল মানুষ আছে যারা সবসময় উশখুশ করতে থাকে, ও না জানি কি বললো, এ নাজানি কি বলবে এবং না বুঝে মন্তব্য করে, এরকম কথা বলে ফেলে যেটা আরেকজনের বিরুদ্ধে যায় এবং কমিউনিটিতে ঝামেলা লেগে যায়!

এগুলি ছিলো শুরু থেকে, এখন দেখাযায় অনলাইন/অফলাইন মিডিয়াতে কাদা ছেটানো, কে কাকে কত কাদা ছেটাতে পারে। মোস্তফা জব্বার এবং অভ্র’র ঝগড়াটা মনে থাকবে অনেকদিন। অযথা একটা ঝামেলা এতদূর গিয়েছিলো। প্রথমেই যদি মোস্তফা জব্বার রাগ না করে বিষয়টা মেটানোর চেষ্টা করতেন আমার মনেহয় বেশী ঝামেলা হতোনা। এখন অনলাইন মাধ্যমগুলিতে বিভিন্ন বিষয়নিয়ে অনেক নোংরা নোংরা কথা হচ্ছে, কেউ কাজ করছে কমাউনিটি ডেভলাপ করার, কারও গা জ্বলছে অকারণে; শুরু হচ্ছে কাদা ছোঁড়া ছুঁড়ি! কেউ কারও বিরুদ্ধে কথা বললেই যেনো বীর আর কেউ গালি দিয়ে বীর!

একটা ছোট্ট উদাহরণ দি, আমরা শত শত শব্দ অনুবাদ করেছি লিনাক্স, মোজিলা, গুগল্-এর জন্য। এখন গুগল্ ওয়েবদুনিয়া নামের একটি প্রতিষ্ঠানকে টাকা দিয়ে অনুবাদের কাজগুলি করায়!  আমরা যারা প্রথমদিকে গুগল্-এর বিভিন্ন সেবার অনুবাদ করেছি, তারা কি আজকে গুগল্-কে গিয়ে প্রশ্ন করছি যে আমাদের কাজের টাকা না দিয়ে কেন এখন টাকা দিয়ে ওয়েবদুনিয়ার কাছ থেকে অনুবাদ করাচ্ছে! ঠান্ডা মাথায় বসে বসে অনেক কিছু বিলুপ্ত হয়ে যেতে দেখেছি। ভুল করেছি, বকা খেয়েছি, তবে কমিউনিটির ক্ষতি হয়ে এরকম কিছু করিনি।

আমি আরেকটা জিনিস লক্ষ্য করি যে টোট্‌কা ফোট্‌কা আইটি প্রফেশনালরা একে অন্য প্ল্যাটফর্মের বিরুদ্ধে কথা বলছে। ওপেনসোর্স নিয়ে যারা কাজ করছে তারা ক্লোজ্‌ড সোর্স প্ল্যাটফর্মের বিরুদ্ধে কথা বলে যাচ্ছে কোনো কারণ ছাড়া; আবার উল্টোটাও হচ্ছে। আবারও কনফিউজ হচ্ছে ফ্রেশাররা। আমি যদি ওপেনসোর্সের সাকসেস নিয়ে কথা বলি, এক হাজারটা কথা বলতে পারবো, আবার ক্লোজ্‌ড সোর্স প্ল্যাটফর্মে নিয়ে বলতে পারবো হয়তো তারও বেশী। ফায়ারফক্স দিয়ে যেমন কনজিউমার ওয়েব ব্রাউজিং ভালো হয়, সেরকম এন্টারপ্রাইজ এপ্লিকেশন দিনের পর দিন চালাতে ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার লাগে। কিন্তু দরকার টা কি এভাবে একটা, আরেকটার সাথে তুলনা করার? যে যার স্থানে শ্রেষ্ঠ!

আইটি নিয়ে আমাদের দেশে ব্যপক সম্ভাবনা, এটা নতুন কিছু না। আমাদের উচিৎ হবে আমারা যে যেখানে আছি, সেই পরিধীর মধ্যে থেকে আমাদের অভিজ্ঞতা নতুনদের সাথে শেয়ার করা, তাদের উৎসাহিত করা। উৎসাহিত করা সবকিছু এক্সপ্লোর করে দেখার জন্য। আমাদের কখনই উচিৎ হবেনা নিজেদের মধ্যে কে কি করলো, কে কি বললো এসব বিষয় নিয়ে মাথা ঘামানো। আমরা যারা কমিউনিটির উন্নয়ন করার চেষ্টা করি বা করছি, তারা একটু পরচর্চায় কান না দিলে কিন্তু অনেক প্রডাক্টিভ হতে পারি। আর যারা কিছু করতে পরিনা, তারা পরনিন্দা বা পরচর্চাটা উপেক্ষা করে সেই সময়টা কিছু শেখার জন্য কাজে লাগাতে পারি। সেদিন কাকে যেনো বলছিলাম যে দু’লক্ষ টাকা প্রতিমাসে বেতন দিতে চায়, এরকম কোম্পানী ঘুরে বেড়াচ্ছে কিন্তু লোক পাচ্ছে না শেয়ারপয়েন্টের। কারণ আমরা কখনো এটা নিয়ে আলাপ করিনি, কেউ জানেনা এরকম একটা বাজার আছে। ভাই যেমনই হোক, একটা কর্মশালা বা আলোচনা সভা করলে মানুষ নামটাতো জানতে পারবে; উপস্থিত ২০০ জনের মধ্য থেকে ২০ জন তো এক্সপ্লোর করবে। ২০ জনের মধ্যে থেকে ২ জন এই প্ল্যাটফর্মকে ক্যারিয়ার হিসেবে নেবে। এটাইতো আমাদের লক্ষ্য হওয়া উচিৎ; আর উপস্থিতদের মধ্যে একটা দল নানারকম মন্তব্য করবে, কিছু মন্তব্য থেকে অনেক কিছু শেখা যায়; সেগুলিকে পজেটিভ ভাবে নিলেই কিন্তু পরেরবার ঝামেলা হয়না। আর আমরা এই চেষ্টাগুলি করি নতুনদের জন্য। যারা জানে, তাদের জন্য এই আয়োজনগুলি হয়না, তাই চেষ্টা করা উচিৎ নতুনদের ফিডব্যাক নেয়ার।

আমি মনে করি আইটি প্রফেশনে যারা আছে, সে একটা কম্পিউটারের দোকানের বিক্রতা হতে পারে আবার গ্রামীণফোনের সিইও হতে পারে, এদের বুদ্ধিমত্তা সাধারণ মানুষের থেকে অনেক বেশী। আমরা কেন আমাদের বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার না করে বোকার মতন নোঙরা কাজ করবো! কেনো আমরা কারও কথা না ভেবে, কিছু চিন্তা না করে একটা পদক্ষেপ নেবো বা একটা মন্তব্য করবো!

শেষে একটা কথা বলতে চাই নতুনদের জন্য। পৃথিবীতে অপশন সবসময় থাকবে, এসকিউএল সার্ভার জেনেছি দেখে ওরাকল জানা যাবেনা, এই ধারণা রাখা ঠিক না। নিজের জ্ঞানের পরিধী যত থাকবে কর্মক্ষেত্রে অপশন তত বেশী হবে। পিএইচপি শিখলে যে উইন্ডোসে কাজ করা যাবেনা এরকম ধারণা নিয়ে বেশীদূরে যাওয়া যায়না। নিজেকে সবসময় ওপেন রাখতে হবে অপশনের জন্য আর হাতের কাছে যা পাওয়া যায় একটু ঘাঁটাঘাঁটি করলেই অনেক কিছু শেখা যায়। তথ্য-প্রযুক্তিকে ক্যরিয়ার হিসেবে নিতে যে পিএইচডি ডিগ্রি নিতে হবে, এমন কথা নেই। আশে পাশে দেখা শীর্ষ তথ্য-প্রযুক্তিবিদরা বেশীরভাগই কম্পিউটার বিজ্ঞান নিয়ে লেখাপাড় করেননি। আর যেহেতু আমরা রাজনীতিবিদ নই, আসুননা একে অপরের হাত ধরে, এক কমিউনিটি অন্য কমিউনিটির সাথে মিশে একত্রিত হয়ে নিজেদের উন্নত করি!

🙂

শেয়ার করুন:

  • Tweet
  • Email
← Older posts

লেখার তালিকা

  • অ্যানড্রোয়েড
  • আইটি বিশ্ব
  • ই-কমার্স
  • উদ্ভট
  • ওপেন সোর্স
  • গল্প টল্প
  • গান বাজনা
  • গুগল্
  • গ্যাজেট
  • টিউটোরিয়াল
  • টেলিকম
  • বাংলা কম্পিউটিং
  • বাংলাদেশ
  • ব্যক্তিগত
  • মন্তব্য
  • মাইক্রোসফট
  • রিভিউ
  • সফটওয়্যার রিভিউ

সদ্য লেখা

  • ডাক্তার শায়লা শামিম ও মনোয়ারা হাসপাতালের অভিজ্ঞতা
  • ই-কমার্স – বাংলাদেশ পরিস্থিতি এবং ভবিষ্যৎ!
  • Install Google Apps and Play Store on Nokia X, X+ and XL
  • মাইক্রোসফটের কাছে পাওয়া শেষ চেক্!
  • Root Walton Walpad 8b, Walpad 8w, Walpad 8 and Walpad 7
  • স্টার সিনেপ্লেক্স – যাত্রার প্রায় ১০ বছর!
  • রিভিউ: বেলিসমো প্রিমিয়াম আইসক্রিম
  • পোস্টপেইড মোবাইল! না ছাগলের তিন নম্বর বাচ্চা!!
  • ই-কমার্স সপ্তাহ
  • পুরুষদের জন্য দেশী পণ্য – কুল
  • মাইক্রোসফট সার্ফেস (আরটি) নিয়ে চারদিন!
  • মাইক্রোসফট উইন্ডোজ এইটের চমক
  • Always on My Mind অসাধারণ একটি গান!
  • সরাসরি ডেস্কটপ আর থাকছেনা উইন্ডোজ ৮-এ
  • নতুন গ্যাজেট “আই-ফাই” মেমরি কার্ড

আমার পছন্দ

Ekushey


Create Your Badge


Unicode Encoded


Proudly powered by WordPress Theme: Chateau by Ignacio Ricci.

loading Cancel
Post was not sent - check your email addresses!
Email check failed, please try again
Sorry, your blog cannot share posts by email.