Reality Bites

~ by Omi Azad

  • নীড়
  • আমার সম্পর্কে
  • আমার দেখা সিনেমা
  • English
  • বাংলা

Tag Archives: মোবাইল অপারেটর

দেশের ভেতর আভ্যন্তরীণ রোমিং সুবিধা হতে পারে মোবাইল অপারেটরদের জন্য নতুন ব্যবসার ও গ্রাহকদের জন্য নতুন সেবার সম্ভাবনা

15 বুধবার Jul 2009

Posted by Omi Azad in টেলিকম, মন্তব্য

≈ 14 Comments

Tags

একটেল, ওয়ারিদ টেলিকম, গ্রামীণফোন, টেলিটক, বাংলাদেশ, বাংলালিঙ্ক, মোবাইল অপারেটর, রোমিং, সিটিসেল

আমাদের দেশে এখন ছয়টি মোবাইল অপারেটর সফলভাবে কার্যক্রকম চালিয়ে যাচ্ছে। প্যাসিফিক বাংলাদেশ টেলিকম লিঃ, গ্রামীণফোন লিঃ, টিএম ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ লিঃ, ওরাসকম টেলিকম বাংলাদেশ লিঃ, টেলিটক বাংলাদেশ লিঃ এবং ওয়ারিদ টেলিকম ইন্টারন্যাশনাল লিঃ। এদের মধ্যে কারও কারও দেশব্যাপি শক্তিশালী নেটওয়ার্ক কাভারেজ রয়েছে আবার এখনো কারও কারও নেটওয়ার্ক দুর্বল। আবার এখনো এমন দেখা যায় যে অনেক স্থানে কোনো কোম্পানীর নেটওয়ার্ক কাভারেজ আছে আবার অনেক স্থানে নেই। শুধু দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলেই না, খোদ ঢাকার অনেক বহুতল ভবনে ঢুকলে দেখা যায় এই মোবাইল অপারেটরের গ্রাহকরা নেটওয়ার্ক পাচ্ছে আবার ঐ অপারেটরের গ্রাহকরা নেটওয়ার্ক পাচ্ছেন না। কারণ অনেক অপারেটররা ঐ ভবনগুলিতে ইনডোর মাইক্রো বিটিএস লাগিয়ে গ্রাহকদের সেবা দিচ্ছে।

পৃথিবীর অন্যান্য দেশে কিন্তু দেশের ভেতরে বিভিন্ন মোবাইল অপারেটর অন্য অপারেটরের নেটওয়ার্ক ব্যবহারের সুবিধা দিয়ে থাকে। ভারতের কথা ধরা যাক, সেখানে আইডিয়া নামের অপারেটর শুধু দুই থেকে তিনটা রাজ্যে সেবা প্রদান করে থাকে। এর অর্থ এই না যে আপনা আইডিয়ার গ্রাহক হলে আইডিয়ার প্রদেশগুলির বাহিরে অন্য প্রদেশে গিয়ে নেটওয়ার্ক পাবেন না। অন্য প্রদেশের অপারেটরের নেটওয়ার্কে আপনি রোমিং করতে পারবেন এবং এরজন্য হয়তো মূল কল চার্জের সাথে সামান্য কিছু পয়সা বেশী দিতে হবে আপনাকে।

ঠিক সেভাবেই ধরা যাক আমি টেলিটকের গ্রাহক, দিলকুশার জীবন বীমা ভবনে অবস্থিত বোর্ড অফ ইনভেস্টমেন্ট অফিসে একটা কাজে গিয়েছি, সেখানে দেখি আমার মোবাইলে নেটওয়ার্ক নাই। কিন্তু ওয়ারিদ বা বাংলালিঙ্ক গ্রাহকরা দিব্বি মোবাইল ব্যবহার করছেন। খোঁজ নিয়ে জানলাম একটেল, ওয়ারিদ ও বাংলালিঙ্ক ঐ ভবনের ভেতরে ইনডোর মাইক্রো বিটিএস স্থাপন করেছে সেবা প্রদানের জন্য।

এখন যদি আমাদের দেশে আভ্যন্তরীণ রোমিং সুবিধা থাকতো, তাহলে আমি দিব্বি ঐ তিনটি অপারেটরের একটিকে নির্বাচন করে নিয়ে আমার মোবাইল ব্যবহার করতে পারতাম সেই সাময়িক সময়ের জন্য। অন্য অপারেটরের নেটওয়ার্ক ব্যবহারের জন্য আমাক হয়তো ইনকামিং বা আউডগোইং উভয় ক্ষেত্রে মিনিট প্রতি অতিরিক্ত ০.০৫ টাকা বিল দিতে হতো। আর আমি যেই অপারেটরকে নির্বাচন করেছি রোমিং কারার জন্য, এই ০.০৫ টাকা ঐ অপারেটর পেতো।

এভাবেই ধরুণ আমি একটা গ্রামে গেলাম, যেখানে টেলিটকের নেটওয়ার্ক নেই, কিন্তু গ্রামীণফোনের আছে। আভ্যন্তরীণ রোমিং সুবিধা থাকলে আমি ঐ নেটওয়ার্ক নির্বাচন করে আমার মোবাইল ব্যবহার করতে পারতাম। এই ক্ষেত্রে হয়তো কল করার জন্য আমার কল চার্জের সাথে মিনিটপ্রতি ০.০৫ টাকা অতিরিক্ত এবং কল গ্রহণ করার জন্য মিনিটপ্রতি ০.০৫ টাকা হারে চার্জ দিতে হতো। এই অতিরিক্ত চার্জটা কিন্তু পেতো গ্রামীণফোন।

এই যে গ্রামীণফোন কত রকমের প্রচার করছে যে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে তাদের নেটওয়ার্ক আছে ইত্যাদি ইত্যাদি, কিন্তু বিল বেশী হওয়ায় অনেকেই ওদের সেবা নিতে আগ্রহী না। কিন্তু যদি আজকে আভ্যন্তরীণ রোমিং সুবিধা থাকতো, তাহলে গ্রামীণফোন খুব সুন্দর রোমিং নেটওয়ার্ক ভাড়া বাবদ অনেক টাকা উপার্জন করতে পারতো।

যাই হোক, আমাদের আশা ভালো সেবা পাওয়া। আমার কাছে মনে হয়েছে এই সুবিধা থাকলে আমাদের উপকার হতো এবং সেই সাথে মোবাইল অপারেটরদেরও একটা নতুন ব্যবসার দুয়ার উন্মোচিত হতো। এখন দেখা যাক কি হয়। দেশ যতই ছোটো হোক, ১০০% নেটওয়ার্ক কাভারেজ কিন্তু এখনো কোনো অপারেটর দিতে পারেনি।

শেয়ার করুন:

  • Tweet
  • Email

ভাওতাবাজির চরমে সিটিসেল (ShittyCell)

26 মঙ্গলবার May 2009

Posted by Omi Azad in টেলিকম, মন্তব্য

≈ 50 Comments

Tags

মোবাইল অপারেটর, সিটিসেল, স্যামসং, Citycell, Mobile, Samsung

একটা কোম্পানি কত বাটপার হতে পারে তা সিটিসেলকে দেখলে বোঝা যায়। এই সপ্তাহে ওরা একটা নতুন হ্যান্ডসেট বাজারে ছেড়েছে যার নাম স্যামসং এবসোলিউট। সেটটির বর্তমান মূল্য ১০,৪৫০ টাকা আর ব্লুটুথ হেডফোন সহ এর দাম ১১,৮৫০ টাকা। ফকির মিসকিন ছাড়া ভালো মানুষের কথাও মনেহয় এরা এখন নতুন করে ভাবতে শুরু করেছে! কারণ কিছুদিন আগে আমার বৌকে সিটিসেলের ZTE C332 সেটটা দিতে চাইলে আমাকে বলে, ইবানের স্কুলের সামনে এক মহিলা পুঁথির মালা বিক্রি করতে আসে, সে এই সেট চালায় আমি কিভাবে এটা চালাবো।” এই তো সিটিসেলের অবস্থা!

যে কারণে এই পোস্টটি লিখছি সেটাতে আসি। আমার ধারণা সিটিসেল এই সেটটা তাদের অফিসে বসে বানিয়েছে বা দেশের কোথাও কারখানা ভাড়া করে সেখানে বানাচ্ছে। কারণ সেটটা সম্পর্কে অনেক ধরণের কীওয়ার্ড ব্যবহার করে গুগলে খোঁজাখুঁজি করলাম, কিন্তু কোনো লাভ হলো না। গুগল্ এটা চেনে না। ভাবলাম এক্কেবারে নতুন সেট তাই গুগল্ এটা চেনে না। তাই এই সেটের পেছনে দেয়া ইউআরএল samsungmobile.com-এ গিয়ে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও আমি এই সেটের কোনো হদিস পেলাম না। তার পরেও আমি ভারতের CDMA সেবা প্রদানকারী কোম্পানিদের ওয়েব সাইটে গিয়ে এই ফোন বের করার চেষ্টা করলাম, কোনো লাভ হলো না। সুতরাং আসলেই এই নামে পৃথিবীতে কোনো সেট নাই।

এরপরে লক্ষ্য করলাম এক আজিব জিনিস সেটটার হেডফোনের কন্ট্রোলে মিরর ইমেজে Samsung লেখা এবং হেডফোনের জ্যাকেও Made in China মিরর ইমেজে লেখা। নিজের চোখে দেখার জন্য এখানে ক্লিক্ করুন।

ব্যাস আমার ধারণাই সত্য হয়ে গেলো। প্যাসিফিক বাংলাদেশ টেলিকম লিমিটেড স্যামসং এবসোলিউট নামে যে মোবাইলটি বাজারে বিক্রি করছে সেটার সাথে স্যামসং কোম্পানির আদৌ কোনো সম্পর্ক নাই। এরা কোনো চাইনিজ কোম্পানিকে দিয়ে এটা বানিয়ে নিয়ে ঐ নামে গ্রাহকদের কাছে বিক্রি করে প্রতারণা করছে যার সম্পর্কে আমরা অনেকেই অবগত না।

এরকম ব্যবসা আজ থেকে ৫/১০ বছর আগে করলে একটা কথা ছিলো, কিন্তু এখন আমরা অনেক সচেতন। যোগাযোগ আজকে উন্মুক্ত চাইলেই এই বাটপারদের ধাপ্পাবাজী থেকে আমরা অবগত
থাকতে পারি।

সুতরাং আপনার যতই প্রয়োজন থাক, আগে সত্যতা যাচাই করুণ এবং তারপরে এই তৃতীয় শ্রেণীর সেটটি কিনবেন কি-না ভাবুন।

শেয়ার করুন:

  • Tweet
  • Email

একটা ১৬ গিগা স্যামসং ওমনিয়া নিলাম

21 রবিবার Dec 2008

Posted by Omi Azad in গ্যাজেট, ব্যক্তিগত, রিভিউ

≈ 19 Comments

Tags

উইন্ডোজ, ওমনিয়া, মোবাইল অপারেটর, স্যামসং

সবার মুখে মুখে এই মোবাইলের কথা। এত্ত ভালো মোবাইল না-কি আর হয়না। আমার ব্লগ যারা পড়ে, তারা ইতিমধ্যেই জানে যে আমি বেশ কিছু ভালো মোবাইল ফোন ইতিম্যধের ব্যবহার করেছি। যেমন: এইচটিসি টাচ্, এপল আইফোন, মোটোরোলা রকার ইত্যাদি।

কিন্তু শান্তিতে মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে চাইলে আমার মতে একটা সাধারণ মোবাইল ব্যবহার করা উচিৎ। সেজন্য কিছুদিন আগে একটা নোকিয়া ৫৩২০ কিনে ব্যবহার করছিলাম।

এর মধ্যে সবাই স্যামসং ওমনিয়ার কথা বলছিলো, ভাবলাম এটা একটু চালিয়ে দেখা দরকার। ১৬ গিগা বিল্ট-ইন মেমরী সহ একটা কিনে ফেললাম, আর আমেরিকা থেকে আসতে বেশ সময় লাগলো ওখানকার খারাপ আবহাওয়ার জন্য।

যাই হোক, আমার মোবাইলা বেশ পছন্দ হয়েছে। ওজনে আইফোন থেকে অ-নে-ক হালকা। টাচ্ স্ক্রিনটা ব্যবহার করা অনেক মজার। আইফোনের চাইতেও হালকা ছোঁয়ায় কাজ করে।

একবার জেনে নেই এর ফিচার গুলি।

  • উইন্ডোজ মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম দিয়ে চলে এই মোবাইল
  • ৮ গিগা এবং ১৬ গিগা মেমরির দু’টি আলাদা সংস্করণ উপলব্ধ আছে
  • এক্সেলেরোমিটার দেয়া আছে, যাতে সিনেমা দেখার সময় কাৎ করলে স্ক্রিন ঘুরে যায়
  • টিভি আউট দেয়া আছে, ছবি বা ভিডিও টিভিতে দেখার জন্য
  • এডজ, ওয়াইফাই আছে নেটওয়ার্ক ব্যবহার করার জন্য
  • ডিআইভিএক্স মোবাইল দেয়া আছে
  • ভেতরেই জিপিএস ডিভাইস দেয়া আছে, যেটা গুগল ম্যাপ-এর সাথে কাজ করে
  • ব্লুটুথ, A2DP সবই আছে এর সাথে
  • এর সাথের ক্যামেরাটি ৫ মেগা পিক্সেল

ক্যমেরাটা সত্যই জটিল। হেডফোনটাও যা-তা। কিন্তু আমার ভালো না লাগার মধ্যে ভালো লাগেনি এর কানেক্টরটা। বাদবাকী সবই সুন্দর।

আর ভালো একটা বিষয় হলো এর ব্যাটারী বদল করা যায় এবং আরও বেশী মেমরি দরকার হলে এর মধ্যে মেমরি কার্ড লাগানো যায়।

ওমনিয়ার ক্যামেরা দিয়ে একটা ছবি তুলিয়েছিলাম আমার, বিটিআরসির দেয়া কল সেন্টারের লাইসেন্স হাতে নিয়ে..

শেয়ার করুন:

  • Tweet
  • Email

অর্ণবকে ফোন করেছিলাম

29 বুধবার Oct 2008

Posted by Omi Azad in উদ্ভট, ব্যক্তিগত

≈ 7 Comments

Tags

অর্ণব, গান, মোবাইল অপারেটর, সঙ্গীত

আজকে কি মনে হলো মোবাইলের ফোনবুক দেখতে দেখতে দেখি অর্ণবের নাম্বার। আমাদের অর্ণব যার গান আমাদের অনেকেরই চরম ভালো লাগে।

মাথায় একটা দুষ্টুমি খেলে গেলো, মনে হলো একটা কল দেই। আমাকে নম্বরটা দিয়েছিলো এক ছোটোভাই বর্ণ, দিলাম ফোন, ওদিক থেকে মাল খাওয়া এক মাতালের মতন একজন হ্যালো বললো। আমি বেশ জোরেই বললাম “অর্ণবদা” বলে অর্ণব দেশে নাই, আমি বললাম, ভাই আপনি কে। বলে আমি অর্ণবের বাবা। আমি বললাম কাকু দাদা কৈ? বলে দেশের বাইরে, আমি বললাম সেটাতো বললেনই, কোথায় গ্যাছে। বলে জানিনা। আমি বললাম কবে আসবে, বলে সেটাও জানিনা। আমি বললাম দাদার না-কি নতুন একটা এলবাম বেরিয়েছে, জানেন কিছু, বলে জানিনা। আমি গুডনাইট বলে রেখে দিলাম।

আমার ধারণা নম্বরটা ভুল। কারন, অর্ণব এমন গরীব না যে বাহিরে গিয়েছে আর মোবাইল বাবাকে দিয়ে গ্যাছে। আর বাবাও এমন আহাম্মক হবেন না যে ছেলে কৈ সেটাও জানেন না। যদি ছেলের সাথে যোগাযোগ না থাকতো তাহলে কথা ছিলো, ছেলের মোবাইল যখন চালাচ্ছে, তখন নিশ্চয়ই জানা দরকার ছিলো কোন দেশে গিয়েছে আর কবে আসবে।

যাই হোক, জিনিসটা তেমন ভালো লাগলো না। 🙁

শেয়ার করুন:

  • Tweet
  • Email

সিটিসেলের গ্রাহক নেই সেটা দেখানোর কি দরকার ছিলো!

08 শুক্রবার Aug 2008

Posted by Omi Azad in টেলিকম, মন্তব্য

≈ 21 Comments

Tags

মোবাইল অপারেটর, সিটিসেল, Citycell, Mobile

সিটিসেল বিজ্ঞাপন

সিটিসেলের এই নতুন বিজ্ঞাপণটা আমরা বেশ কিছুদিন থেকেই দেখছি। আমি একটা জিনিস লক্ষ্য করলাম যে ওরা বিজ্ঞাপণের মধ্যে নিজেদের অজান্তে একটা সত্য দেখিয়ে ফেলেছে। আর সেটা হলো, ওদের গ্রাহক নাই।

বিজ্ঞাপনে দেখা যায় দু’টো স্কুল ফেরা ছেলে খেলনা মোবাইল দিয়ে কথা বলে এবং এর মধ্যে একটি ছেলে সিটিসেলের গ্রাহক সেবা কেন্দ্রে যায় এবং সেবাদাতা ভদ্রলোক তাকে মোবাইল দেখায়; ভালো থিম। কিন্তু এই থিমের মধ্যেই সেই সত্যটি লুকিয়ে আছে। ছেলেটি ঐ গ্রাহকসেবা কেন্দ্রে ঢোকা থেকে বের হয়ে যাওয়া পর্যন্ত ঐ কেন্দ্রে ৩য় কোনো প্রাণী নেই। অর্থাৎ তাদের কেন্দ্রের লোকেরা সারাদিন মাছি মারছে, যেহেতু তাদের কোনো কাজ নেই এবং যে বা যারা আসছে তাদেরকেই সময় দিচ্ছে।

উপরে যেই ছবিটি আমি দিয়েছি, সেটা ওদের ওয়েব সাইট থেকে নেয়া। সেখানেও একটা ভুল আছে। ওরা লিখেছে “No customer’s need is too small for us…” না আমরা কেউই ভুল পড়ছি না। আমরা যখন মোবাই/ইন্টারনেট ইত্যাদির গ্রাহক হই, তখন কিন্তু আমরা ক্রেতা না, গ্রাহক। তাহলে Customer এবং Subscriber দু’টো শব্দের মধ্যে পার্থক্য আছে। সেটা কি তারা বুঝতে পারেনি! আমার ভুল হতে পারে, তবে কথাটা এরকম হতে পারতো, “No subscriber’s need is too small for us… Even those who are not our subscriber yet.” এছাড়াও আরেকটা খটকা লাগছে এই TOO শব্দটা। No customer’s need is too small for us, which means some needs are small for them. অনেক শিক্ষিত লোক নিয়ে এরা কাজ করে, কিন্তু এরকম কথা লিখে কেনো যেটার অর্থ বিপরীত হয়।

এর আগেও একটা বিজ্ঞাপণে বলছিলো পাহাড়ের গায়ের সব কথা না-কি বসে বসে শুনবে। তাহলে কি আর কেউ তাদের সেবা নিতে চাইবে? কে যেচে ব্যক্তিগত কথা আরকজনকে শুনতে দিতে চাইবে বলুন।

মোদ্যা কথা সিটিসেলের অবস্থা ১৯৯৫ সালে যা ছিলো আজও তাই আছে। আর এর জন্য দায়ী হচ্ছে তাদের ওভার স্মার্ট ম্যানেজমেন্ট, যারা মানুষকে মানুষ মনে করেনা। ওদের ধারণা মানুষ তাদের সেবা নেবেই! আরে ভাই, তোর এমন কি আহামরি সুবিধা আছে যে তোর সেবা মানুষ গ্রহণ করবেই? আমি নিজে অনেকদিন ওদের গ্রাহক ছিলাম, শেষে কিছু ফালতু সমস্যার জন্য সেবা বাদ দিয়ে দিলাম। বিদেশে এসএমএস পাঠালে সেটা যায় ইউকে’র নম্বর হয়ে আর তার ভেতরে আমার নম্বর দেয়া থাকে। এমনকি বেশিরভাগ বিদেশী অপারেটর থেকেই কোনো এসএমএস সিটিসেলে আসেনা। ইন্টারন্যাশনাল কল ঠিকমতো আসে না। আমি নিজে স্কাইপি দিয়ে পরীক্ষা করে দেখেছি। তারপরে ফেলে দিয়ে অন্য অপারেটরে সুইচ করেছি এবং ভালো আছি।

এখন বিষয় হলো ওদের এই উপলব্ধিটা হওয়া উচিৎ যে ১৭ বছর ব্যবসা করেও যাদের গ্রাহকের পরিমান যাদের ব্যবসার ২য় বছর চলছে তাদের থেকে কম হয়, তাহলে তাদের সেবা কি নেয়া ঠিক হবে? যে কোম্পানী ঐ ১৭ বছরে ৪ বার নাম পরিবর্তন করেছে (সূত্র) এই কোম্পানিতো ভাই যে-কোনো সময় বন্ধ হয়ে যেতে পারে।

শেয়ার করুন:

  • Tweet
  • Email
← Older posts

লেখার তালিকা

  • অ্যানড্রোয়েড
  • আইটি বিশ্ব
  • ই-কমার্স
  • উদ্ভট
  • ওপেন সোর্স
  • গল্প টল্প
  • গান বাজনা
  • গুগল্
  • গ্যাজেট
  • টিউটোরিয়াল
  • টেলিকম
  • বাংলা কম্পিউটিং
  • বাংলাদেশ
  • ব্যক্তিগত
  • মন্তব্য
  • মাইক্রোসফট
  • রিভিউ
  • সফটওয়্যার রিভিউ

সদ্য লেখা

  • ডাক্তার শায়লা শামিম ও মনোয়ারা হাসপাতালের অভিজ্ঞতা
  • ই-কমার্স – বাংলাদেশ পরিস্থিতি এবং ভবিষ্যৎ!
  • Install Google Apps and Play Store on Nokia X, X+ and XL
  • মাইক্রোসফটের কাছে পাওয়া শেষ চেক্!
  • Root Walton Walpad 8b, Walpad 8w, Walpad 8 and Walpad 7
  • স্টার সিনেপ্লেক্স – যাত্রার প্রায় ১০ বছর!
  • রিভিউ: বেলিসমো প্রিমিয়াম আইসক্রিম
  • পোস্টপেইড মোবাইল! না ছাগলের তিন নম্বর বাচ্চা!!
  • ই-কমার্স সপ্তাহ
  • পুরুষদের জন্য দেশী পণ্য – কুল
  • মাইক্রোসফট সার্ফেস (আরটি) নিয়ে চারদিন!
  • মাইক্রোসফট উইন্ডোজ এইটের চমক
  • Always on My Mind অসাধারণ একটি গান!
  • সরাসরি ডেস্কটপ আর থাকছেনা উইন্ডোজ ৮-এ
  • নতুন গ্যাজেট “আই-ফাই” মেমরি কার্ড

আমার পছন্দ

Ekushey


Create Your Badge


Unicode Encoded


Proudly powered by WordPress Theme: Chateau by Ignacio Ricci.

loading Cancel
Post was not sent - check your email addresses!
Email check failed, please try again
Sorry, your blog cannot share posts by email.