Reality Bites

~ by Omi Azad

  • নীড়
  • আমার সম্পর্কে
  • আমার দেখা সিনেমা
  • English
  • বাংলা

Category Archives: বাংলাদেশ

ডাক্তার শায়লা শামিম ও মনোয়ারা হাসপাতালের অভিজ্ঞতা

10 বুধবার Jun 2015

Posted by Omi Azad in মন্তব্য, বাংলাদেশ

≈ 2 Comments

Tags

বাংলাদেশ, ঢাকা

পৃথিবীতে মা হওয়া একই সাথে বিশাল একটা সুখের এবং কষ্টের কাজ। আমরা ছেলেরা এই বিষয়টা বাহির থেকে দেখি। আনন্দ পাই, কিন্তু মেয়েরা যে পরিমান কষ্ট সহ্য করে একটা বাচ্চা এই পৃথিবীতে আনে যা কখনই বুঝতে পারবো না। আমার বন্ধু তালিকার সবাই প্রায় তরুণ। অনেকেই নতুন বিয়ে করছে, সামনেই তাদের ঘর আলো করে বাচ্চা আসবে। আমাদের সবার এই কথাটা মনে রাখা উচিৎ যে আমাদের অর্ধাঙ্গিনীরা এই ৯টা মাস অনেক কষ্ট করে পার করবে। আমরা হয়ত শরীরের কষ্ট কমাইতে পারবো না কিন্তু তাদের মন আনন্দে ভরিয়ে দিতে পারবো। একই সাথে আমাদের ভবিষ্যৎকরনীয় বিষয়গুলো নিয়েও সচেতন থাকতে হবে। বাংলাদেশ যেহেতু, সবার প্রথম যথেষ্ট পরিমান টাকা জমিয়ে রাখতে হবে হাতে। নিয়মিত ডাক্তার এর চেকআপ করাতে হবে। ঠিক মত খাওয়াদাওয়া করাতে হবে। কোন রকম ভারী কাজ করতে দেয়া যাবে না। কোথায় ডেলিভারি করাবেন, সেখানে কিভাবে নিয়ে যাবেন সেগুলো আগে থেকেই ঠিক করিয়ে রাখতে হবে।

অপদার্থের মত সব কিছু ডাক্তার এর হাতে ছেড়ে দিবেন না। কি হচ্ছে না হচ্ছে এই বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে। আমাদের প্রথম বাচ্চার জন্মের সময় আমরা অনেক কেয়ারফুল ছিলাম। কিন্তু তারপরও অনেক ভুল করে ফেলেছিলাম যার জন্য আমরা তাকে হারিয়েছি। এই কষ্ট সারাজীবনের। আপনারা ভুল করবেন না। বাংলাদেশ অনেক খারাপ একটা জায়গা। এখানে স্বাস্থ্য সেবা নয় ব্যবসা। এখানকার ক্লিনিক + ডাক্তারদের একটা বড় চেষ্টা থাকে প্রিম্যাচিউর বেবি জন্ম দেয়ার। এখানকার ডাক্তাররা কখনই আপনাকে নরমাল ডেলিভারির কথা বলবে না। নানা রকম ভয় দেখাবে যাতে সিজার করতে রাজি হন। কারন নরমাল ডেলিভারিতে তাদের ইনকাম কম। সিজার করলে ইনকাম বেশি হওয়ার একটা বিশাল সুযোগ থাকে।

আমার টাকার অভাব ছিল না, অভাব ছিল জ্ঞানের। বাসার কাছেই বলে নিয়ে গিয়েছিলাম সিদ্ধেশ্বরীর “মনোয়ারা হাসপাতাল” এ। ওখানকার ডিউটি ডাক্তার (যতদূর সম্ভব ইন্টার্ন) ঠিক ভাবে চেকআপ না করেই বলেছিল যে আমার স্ত্রীর ডেলিভারি পেইন উঠেছে। অথচ আমার স্ত্রীর সেই রকম ব্যাথাও ছিল না, পানিও ভেঙ্গে যায় নাই। সিজার করার জন্য ডাক্তার শায়লা শামিম (MBBS, FCPS (Obs & Gynae) Assitant Professor, Gynae & Obs. Bangabandhu Sheikh Mujib Medical University) যে কোন রাস্তা দিয়ে অপারেশন থিয়েটার এ গেলো তা আমি জানিই না। একবার আমার সাথে কথাও বলে নাই অপারেশন শুরুর আগে। অতীতে চেকাপের সময় উনাকে একবার জিজ্ঞাসা করেছিলাম ম্যাডাম নরমাল ডেলিভারি ভালো নাকি সি-সেকশন ভালো। উনার ভদ্রতার মুখোশ খুলে উনি আমাকে বিশাল একটা ঝাড়ি দিয়েছিলেন যে আর কিছু বলি নাই।

যাই হোক আমার অজ্ঞতা আর উনাদের লোভ একটা বাচ্চার জীবন অনিশ্চিত করেই এই পৃথিবীতে নিয়ে এসেছিল। ইবাদত (আমার প্রথম ছেলের নাম) এর জন্মের পর যখন আমাকে দেখানো হল তখন নার্সরা বললো বাচ্চা ভালো আছে, সব ঠিক আছে। আমিও আনন্দে খুশিতে উনাদের বখশিশ দিলাম। একটু পড়ে শিশু ডাক্তার তাহমিনা যিনি অপারেশন এর সময় উপস্থিত ছিলেন, উনি বের হচ্ছিলেন। আমি তাকে জিজ্ঞাসা করলাম যে বাচ্চা আর মাকে কখন বাসায় নিতে পারবো। উনি অনেক রুডলি আমাকে বললেন, বাসায় নিবেন ? আপনার বাচ্চা বাঁচে কিনা সেইটা আগে দেখেন। উনার কথায় আমি হতভম্ব। মনে হলো সেকেন্ড এর মধ্যে জান্নাত থেকে জাহান্নামে এসে পড়লাম। উনি নিজে গজর গজর করতে করতে বের হয়ে গেলেন। একজন ডাক্তারকে মনে হয় শিক্ষা দেয়া হয় যে কিভাবে রোগীর স্বজনদের সাথে কথা বলা উচিৎ। বাংলাদেশ জন্য উনারা এই শিক্ষাটা ভুলে গেছেন।

বাচ্চাকে নিয়ে গেলো এনআইসিইউ তে। যেখানে আমাদের যেতে দেয়া হয় না, কথা বলার মত, কিছু জিজ্ঞাসা করার মতও কেউ নাই। আমি একবার এনআইসিইউ এর সামনে দৌড়াই আরেকবার পোস্ট অপারেটিভ রুমের সামনে। একই সাথে কেবিন পাওয়ার জন্য এডমিনিস্ট্রেসন এ। বাচ্চার কি সমস্যা হইছে কিছুই জানি না। পুরো দিনটা এভাবে গেলো। রাতে শিশু ডাক্তার তাহমিনা আবার আসলেন। জানা গেলো আমার বাচ্চা সময়ের আগেই জন্ম নেয়ার কারনে তার ফুসফুস কাজ করছে না। তাকে আপাতত ইনকিউবেটর এ রাখা হয়েছে অক্সিজেন দিয়ে। তার অবস্থা ভালো না। কি বলবো মনের ভিতর যে কি যাচ্ছিল। কেবিন এ ফিরে জেরিনকে বললাম বাবু ভালো আছে। সব ঠিক আছে। এনআইসিইউ এর ঠিক সামনের কেবিনটা নিয়েছি যাতে বাচ্চার খোজখবর নেয়া যায়। রাতে চোখটা একটু বন্ধ করেছি ঠিক এই সময় নার্সরা ডাক দিল। এনআইসিইউ এর ভিতরে গিয়ে ডিউটি ডক্টর এর কাছে জানতে পারলাম, আমার বাচ্চার অবস্থা ভালো না, তাকে ইমিডিয়েট লাইফ সাপোর্ট এ দিতে হবে যে মেশিন তাদের এখানে নাই। জিজ্ঞাসা করলাম কোথায় আছে। বললো ধানমন্ডির পেডিহোপ হাসপাতাল এ। (পরবর্তিতে জানতে পেরেছিলাম যে পেডিহোপ এর সাথে তাদের একটা লিয়াজো আছে)। বললাম বাচ্চাটাকে একটু দেখতে পারি। ছোট্ট একটা বাচ্চা, বুকটা উঠানামা করছে, মনে হচ্ছে একেবারে ভেঙ্গে যাবে। ওদেরকে বললাম এম্বুলেন্স রেডি করতে। আম্মুকে ফোন দিয়ে বললাম হাসপাতাল এ আসতে। বন্ধু শাওন আনোয়ারকেও ফোন দিয়ে আসতে বললাম। জেরিনকে বললাম শক্ত হইতে তোমার বাবুকে আমি অন্য হাসপাতাল এ নিয়ে যাচ্ছি। ১০ মিনিট এর মধ্যেই বাচ্চাকে নিয়ে রওনা দিলাম। রাস্তা ফাকা ছিল অনেক দ্রুতই পৌঁছে গেলাম পেডিহোপ নামের জঘন্য হাসপাতাল এ। ওরা ওরাই সবকিছু করে বাচ্চাকে লাইফ সাপোর্ট মেশিন এ দিয়ে দিল। আমাকে অফিস এ নিয়ে জানানো হইলো তাদের এইখানে প্রতিদিনের খরচ কি রকম এই সেই। হাসপাতাল এর অবস্থা দেখেই আমার মন চুপসায় গেছে। হাসপাতাল কম বস্তি বলাই বেটার।

সকাল বিকাল ডাক্তার আসে। একটা কথাই শুধু শুনি আপনার বাচ্চার অবস্থা ভালো না। কাচের জানালা দিয়ে দেখি আমার বাবুর বুক উঠানামা করছে। যতক্ষণ পারি তাকিয়ে থাকি। একটু গবেষণা করে জানা গেলো এই সমস্যার নাম RDS (Respiratory Distress Syndrome) এবং প্রথম চিকিৎসাই হল Surfactant therapy. দৌড়ে যাই ডিউটি ডাক্তার এর কাছে। তাকে বলি আমার বাচ্চাকে কি এইটা দেয়া হয়েছে কিনা। তার কাছ থেকে নাম্বার নিয়ে কথা বলি মেইন ডক্টর এর সাথে। সে বলে জন্মের ছয় থেকে বারো ঘণ্টার মধ্যেই দিতে হয়। এইটা দেয়ার দায়িত্ব মনোয়ারা হসপিটাল এর শিশু ডাক্তার তাহমিনার ছিল। ডাঃ তাহমিনাকে ফোন দিলে সে বলে মনোয়ারা হাসপাতালে নাকি সেই সুযোগ সুবিধা ছিল না। মনোয়ারা হাসপাতালে ব্যবস্থা না থাকলে জন্মের প্রথম ১২ ঘণ্টা বাচ্চাটাকে শুধু ইনকিউবেটর এ রেখে ওরা টেস্ট করতেছিল। তারপর ডাক্তারকে বলি বাচ্চার অবস্থা যখন এতোই খারাপ এখনও আমি সারফ্যাক্টান্ট থেরাপি দিতে চাই। যদি কিছু উন্নতি হয়। ডিউটি ডক্টর একটা ছোট কাগজের টুকরায় ওষুধের নাম লিখে দেয়। বলে ওষুধের দাম ২০-২৫ হাজার টাকা। এইজন্য তারা নাকি সবাইকে বলে না। তার কথা আর কাগজের হাতের লেখা দেখে আমি হতভম্ব। আর যাই হোক কোন প্রফেশনাল ডাক্তার এর হাতের লেখা সেইটা ছিল না।

ধানমন্ডির রাস্তায় রাস্তায় দৌড়াই ওষুধের খজে আমি আর মাসুদ। অনেক খোজাখুজির পর পেয়ে যাই। বুকের মধ্যে একটু আশা বাড়ে, হয়ত আমার বাচ্চাটা সুস্থ হয়ে যাবে। ওষুধ নিয়ে এসে ডাক্তারকে বলি যে ওষুধ দেয়ার সময় আমি থাকতে চাই। এদের স্বভাব চরিত্র সম্পর্কে ততক্ষণে ধারনা হয়ে গেছে। দামি ওষুধ যদি না দিয়েই বলে যে দিয়েছি। ওষুধ দেয়া হলো, আমার বুকে আর কোন সাহস অবশিষ্ট নাই। বন্ধু আনোয়ারকে আগে বারবার বলছিলাম অন্য কোন ভালো হাসপাতাল এ নেয়ার ব্যবস্থা করা যায় কিনা সেটা দেখতে। কিন্তু ওষুধ দেয়ার সময় বুঝতে পারলাম যে লাইফ সাপোর্ট থেকে খুললে বাচ্চার শ্বাসপ্রসাস পুরো থেমে যায়। এই বাচ্চাকে নিয়ে আর কোথাও যাওয়ার সুযোগ নাই। এক মিনিট নিঃশ্বাস নিতে না পারলে আমাদের কত কষ্ট হয়। তিনটা দিন আমার বাচ্চাটা এতো কষ্ট সহ্য করলো, আমি বাবা হয়ে ওর জন্য কিছু করতে পারলাম না। অবশেষে ডাক্তার জানালো তাদের আর কিছু করার নাই। আমি চাইলে শেষ বারের মত আমার ছেলেকে দেখতে পারি।

এপ্রোন পড়ে আইসিইউতে গেলাম। আমার বাবা চোখ বন্ধ করে ছিল। ওর কপালে একটু হাত রাখলাম। ও চোখ মেলে তাকালো। ওর চোখ দিয়ে দুই ফোটা জল গড়িয়ে পড়লো। এতোটুকু বাচ্চা ওই কি বুঝতে পেরেছিল যে বেঁচে থাকতে ওই কোনদিন ওর মায়ের বুকের আদর পাবে না। আমি আর কিছু দেখিনাই চোখে। সব কিছু ঘোলা হয়ে গেলো। বের হয়ে বললাম জেরিনকে যে করে হোক রিলিজ করিয়ে নিয়ে আসতে। জন্মের পর থেকে ও ওর বাচ্চাটাকে দেখতে পারে নাই। বন্ধুরা জেরিনকে এ্যাম্বুলেন্স এ করে নিয়ে আসলো জানিনা তখন আমার বাবা এই পৃথিবীতে আর ছিল কিনা। জেরিন আর আম্মু কাচের ফাঁক দিয়ে বাবুকে দেখে বাসায় চলে গেলো। তার কিছুক্ষণ পর সাদা কাপড়ে মুড়িয়ে আমার সোনামনিটাকে আমার বুকে দিল। এতো সুন্দর হাসি মুখ নিয়ে ছিল। মনে হচ্ছিল পৃথিবীর এই সব কষ্ট থেকে ওই মুক্তি পেয়ে গেছে। বাপের কোলে তিনদিনের বাচ্চার দেহ যে কতটা ভারী হতে পারে তা আমি টের পাইলাম। বাসায় কেউ জানতো না। আমি আমার বাবাকে নিয়ে বাসায় আসলাম। জেরিন তো সাথে সাথেই পড়ে গেলো। বাচ্চার জন্য কাদবো না জেরিনকে সামলাবো বুঝতে পারছিলাম না। জেরিন এর বুকে ওর এতো কষ্টের ধন নিথর দেহটা দিলাম। আমি পারি নাই ওরা বাচ্চাটাকে বাচাইতে। আমি অনেক কিছুই জানতাম না। জানতাম না মনোয়ারা হাসপাতাল এতো খারাপ। জানতাম না পেডিহোপ হাসপাতাল এতো খারাপ। পরে কাউসার ভাইয়ের কাছে শুনি প্রায় একই ঘটনা। তিনিও মনোয়ারা – পেডিহোপ হাসপাতালের এই চক্রান্তে পড়তে ধরেছিলেন। কিন্তু তাদের জানা থাকায় তারা পেডিহোপ এ না নিয়ে নিজ দায়িত্তে স্কয়ার হাসপাতাল এ নিয়ে গিয়েছিলেন।

আমাদের এই দেশে মানুষের জীবনের দাম নাই। ডাক্তাররা রোগীর কথা চিন্তা করে না। তারা চিন্তা করে বাচ্চা প্রিম্যাচিউর হলেই ব্যবসা। আইসিইউতে ঢুকাইতেই পারলেই লাখ লাখ টাকা ইনকাম। তাতে বাচ্চা বাচুক আর মরুক। তাদের মনের ভিতর একটা ফুটফুটে বাচ্চার জন্য এক ফোটা মায়া হয় না। অনেক হাসপাতাল এ তো শুনেছি ইঞ্জেকশন দিয়ে ডেলিভারী পেইন তুলে দেয় বাচ্চা প্রিমাচিউর করার জন্য।

অনেক হয় দেখে শেখে না হইলে নিজের জীবন দিয়ে শেখে। আমি আমার জীবন দিয়ে শিখেছি। পুরো লেখাটা লিখতে আমার চোখ দিয়ে অনবরত পানি পড়েছে। আমার এই লেখা পড়ে যদি তোমরা কিছু শিখতে পারো তাহলেই আমার লেখা সার্থক হবে। নিজের বাচ্চার জন্মের সময় অনেক সতর্ক থাকা প্রয়োজন, সবকিছুর জন্য প্রস্তুত থাকা প্রয়োজন। সবাই পারলে এই পেডিহোপ হাসপাতাল, মনোয়ারা হাসপাতাল, ডাক্তার শায়লা শামিম, তার সাথের শিশু বিশেষজ্ঞ ডাঃ তাহমিনা এবং এদের মত সব ডাক্তারদের কাছে থেকে দূরে থাকবেন। এইসব বিষয়ে ইন্টারনেট এ অনেক লেখা আছে। এই লেখাগুলো পড়বেন। ডাক্তাররা বেশিরভাগ সময়ই ২ সপ্তাহ আগে অপারেশন করতে চায়। এই বিষয়েও সতর্ক থাকা দরকার। অনেক সময় বলে আপনার বাচ্চার ওজন বেশি তাই তারাতারি অপারেশন করতে হবে। জন্মের পর বলবে ওজন কম এইজন্য লাইফসাপোর্ট এ রাখতে হবে। এতো কিছু লাগে না। নরমাল ডেলিভারি সবচাইতে ভালো। বাচ্চা হওয়ার পরপরই মায়ের বুকে দেয়া উচিৎ এবং শালদুধ খাওয়াতে হবে। অনেক সময় মায়ের বুকে দুধ আসতে দেরি হয়। এইসময় দুধ না আসলেও বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়ানোর চেষ্টা করতে হবে, বাচ্চা চুষলেই দুধ আসবে। এছাড়াও এই বিষয়ে সাহায্য প্রদান করে এমন একটি সংস্থা হচ্ছে বাংলাদশ ব্রেস্টফিডিং ফাউন্ডেশন যা মহাখালিতে অবস্থিত। এদের প্রশিক্ষিত নার্সরা খুব সামান্য ফি এর বিনিময়ে আপনার বাসায় গিয়ে দুধ খাওয়ানোর বিষয়ে সাহায্য করবে। অনেক সময় দুধ এর শিরায় ব্লক থাকে, এইজন্য বাচ্চা দুধ পায় নাই। এইসব বিষয়ে BBF সবচাইতে ভালো সাহায্য করতে পারে। ভুলেও বাচ্চাকে ফর্মুলা বা পাউডার দুধ খাওয়াবেন না। এইটা বাচ্চার শরীরের জন্য অনেক ক্ষতিকর। মায়ের বুকের দুধই শ্রেষ্ঠ খাবার। সবাই ভালো থাকবেন।

Original Post: http://on.fb.me/1B5kWLN

ই-কমার্স – বাংলাদেশ পরিস্থিতি এবং ভবিষ্যৎ!

08 বৃহস্পতিবার May 2014

Posted by Omi Azad in আইটি বিশ্ব, ই-কমার্স, বাংলাদেশ

≈ Leave a Comment

Tags

বাংলাদেশ

তথ্য প্রযুক্তি এখন মানব জীবনের একটি আবিছেদ্য অংশ। বিশ্বায়নের কল্যাণে উন্নত দেশের খোঁজখবর ঘরে বসেই পাওয়া সম্ভব। উন্নত বিশ্বের সাথে তাল মেলাতে গিয়ে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্যেও প্রযুক্তির ছোঁয়া লেগেছে। তবে এই ক্ষেত্রে বাইরের বিশ্ব যেখানে অনেক অগ্রসর, বাংলাদেশ সেখানে অনেকটা পিছিয়ে আছে। ইন্টারনেট প্রযুক্তির ব্যবহারের কারনে এখন যোগাযোগ ব্যবস্থা হয়ে উঠেছে অনেক সহজ এবং দ্রুততর। ফলশ্রুতিতে ব্যবসা-বানিজ্যের প্রচার ও প্রসার ঘটছে দ্রুত। বর্তমানে বাংলাদেশে যে ডিজিটাল যুগের সূচনা হয়েছে তারই পথ ধরে ই-কমার্স বা ইন্টারনেট ভিত্তিক ব্যবসা বাণিজ্য আরো জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।

আমাদের দেশে ই-কমার্সের সূচনা নব্বইয়ের দশকের শেষের দিকে যখন ইন্টারনেট জনসাধারণের হাতে পৌঁছে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে ই-কমার্স বলতে আমরা কি বুঝি? সহজ ভাষায় এর অর্থ হচ্ছে ইলেকট্রনিক কমার্স। ইন্টারনেটের মাধ্যমে যখন ব্যবসা করা হয় তখন সেটা ই-কমার্স নামে পরিচিত হয়। এটা বিভিন্ন ভাবে গড়ে উঠতে পারে, যেমন: দু’টি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে (বি-টু-বি), বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান এবং সরকারী প্রতিষ্ঠানের মধ্যে (বি-টু-জি), বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান এবং ক্রেতার মাঝে (বি-টু-সি), এমনকি ক্রেতা এবং ক্রেতার মাঝেও (সি-টু-সি) এই বাণিজ্যিক সম্পর্ক হতে পারে।

বাংলাদেশে বি-টু-বি এর প্রচলন সবচেয়ে বেশি। এর কারন হচ্ছে আমাদের গার্মেন্টস সেক্টর। তৈরি পোশাক শিল্পের ক্রেতাগণ সাধারণত ইন্টারনেটের মাধ্যমেই বিক্রেতার সাথে যোগাযোগ স্থাপন করে এবং কোম্পানির ওয়েবসাইট থেকে স্যাম্পল সংগ্রহ করে থাকে। উন্নতবিশ্বে বি-টু-সি এবং সি-টু-সি খুবই জনপ্রিয় এবং সহজলভ্য হলেও বাংলাদেশ এই ক্ষেত্রে অনেক পিছিয়ে আছে। বর্তমানে কিছু ওয়েবসাইট ইন্টারনেটের মাধ্যমে কেনাবেচার সুবিধাগুলো প্রদান করছে তবে তার পরিসর স্বল্প। এই অনগ্রসরতার কারণ হিসেবে মনে করা হয় আমাদের দুর্বল প্রযুক্তি ব্যবস্থা এবং ইন্টারনেট ব্যবহারে অনগ্রসরতা। এছাড়াও বাংলাদেশের ধীর গতির ইন্টারনেট সার্ভিস এবং আন্তর্জাতিক মানের পেমেন্ট গেটওয়ে না থাকার কারনেও উপরক্ত দুটি সেক্টর প্রসার লাভ করছেনা। কিন্তু এত প্রতিবন্ধকতা সত্তেও আশার আলো হিসেবে ইন্টারনেটে কেনাকাটা বা প্রয়োজনীয় জিনিসের তথ্য খুঁজে বের করা এখন অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

যেসব ক্ষেত্রে আমরা এখন ইন্টারনেটের শরণাপন্ন হচ্ছি তার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে বিল পরিশোধ, হোটেল বুকিং, বিমানের টিকেট বুকিং, অনলাইন ব্যাংকিং, নতুন-পুরাতন দ্রব্যাদি ক্রয়-বিক্রয়, রিয়াল এস্টেট ব্যবসা, গাড়ি বা অন্যান্য যানবাহন ক্রয়-বিক্রয় ইত্যাদি। ঘরে বসেই মানুষ এখন বিভিন্ন সেবার যেমন: গ্যাস, পানি, বিদ্যুৎ, টেলিফোন ইত্যাদির বিল পরিশোধ করতে পারে। এগুলো সম্ভব হয়েছে মোবাইল ব্যংকিং এর কারনে। এছাড়া সম্প্রতি মোবাইল ব্যংকিং এর মাধ্যমে টাকা পাঠানো জনপ্রিয়তা লাভ করেছে সব শ্রেণী পেশার মানুষের কাছে। বিভিন্ন শপিংমলে এখন ইলেকট্রনিকালি বিল পরিশোধের ব্যবস্থা আছে। সুপারমার্কেটগুলোতে কার্ড পেমেন্টের ব্যবস্থা থাকায় ক্রেতারা অনেকটা নিশ্চিন্ত মনে বাজার করতে পারেন। উন্নত বিশ্বে মানুষ ঘরে বসেই তাদের নিত্য দিনের বাজার করছে অনায়াসে। ইবে, আমাজন ছাড়াও অনেক প্লাটফর্ম আছে যারা এই সুবিধা গুল প্রদান করে থাকে। আমাদের দেশে অনলাইনে কেনাবেচার জন্য বর্তমানে অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে যেমন: বিপনি, ইবিপনন, আইফেরি, রকমারী, প্রিয়শপ, লামুদি, ক্লিকবিডি, এখনি, উপহারবিডি, কারমুদি, গিফটবিডি, সামগ্রি, বিডিহাট, ইত্যাদি। এই ওয়েবসাইটগুলো থেকে মানুষ তাদের প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি বা উপহার সামগ্রী ঘরে বসেই ক্রয় করতে পারে।

উপরে যেসব ওয়েবসাইট গুলো উল্লেখ করা হয়েছে এগুলোর বাইরেও অনেক ওয়েবসাইট আছে যেগুলো একই সুবিধা প্রদান করে থাকে। তবে তুলনামূলক ভাবে এই সেক্টরটি এখনো বিভিন্ন প্রতিকূল পরিস্থিতির শিকার হচ্ছে। আমাদের দেশের ব্যংকিং ব্যবস্থা এখনো আশানুরূপ ভাবে নিরাপদ না। অনেক ব্যংক এখনো অনলাইন ব্যবস্থা চালু করতে পারেনি। সাধারণ মানুষের মাঝে কার্ড ব্যবহারের প্রচলন ও কম। এখানে একটা বিষয় উল্লেখ না করলেই নয় যে, অনলাইনে কেনাকাটা যেমন সুবিধাজনক, এর কিছু খারাপ দিক ও আছে। অনেক ক্ষেত্রে পণ্যের গুনাগুণ ঠিক থাকেনা, আবার গ্রাহকের প্রতারিত হওয়ার আশংকাও থাকে। তবে আশার কথা এই যে, নানাবিধ প্রতিকূলতা সত্ত্বেও অনলাইন কেনাকাটা বাংলাদেশে জনপ্রিয়তা লাভ করছে। মোবাইল ইন্টারনেট এবং ওয়াই ফাই ইন্টারনেটের প্রসারের কারনে সর্বসাধারণের হাতের নাগালে ইন্টারনেট পৌঁছেছে। এখন প্রয়োজন মানুষের মাঝে সচেতনতা তৈরি এবং বিক্রিত দ্রব্যাদির মান নিশ্চিতকরণ।  এটা যদি খুব দ্রুত করা সম্ভব হয় তাহলে ই-কমার্সের দুই সেক্টর খুব দ্রুত বিকাশ লাভ করবে বলে আশা করা যায়।

মূল লেখা: বুলবুল আনোয়ার

শুভ জন্মদিন বাংলাদেশ

26 সোমবার Mar 2012

Posted by Omi Azad in মন্তব্য, বাংলাদেশ

≈ 10 Comments

Tags

সম্ভাবনা, বাংলাদেশ, জন্মদিন

আজ বাংলাদেশ নামটির ৪১তম জন্মদিন। আমরা কম বেশী সকলেই এই ইতিহাস জানি এবং ইতিহাসের পাশাপাশি আরও একটা কথা আমরা শুনে আসছি, আর সেটা হচ্ছে, “বিপুল সম্ভাবনার দেশ, বাংলাদেশ।”

৪১ বছরে এসে কারও কি জানতে ইচ্ছে হয়না যে কিসের এই সম্ভাবনা? আর কারজন্য এই সম্ভাবনা?

আমরা সম্ভাবনাময় যেই কথাগুলি শুনে আসছি, সেগুলি কিছুটা এরকম-

  • তৈরী পোষাক শিল্পে আমারদের ব্যপক সম্ভাবনা,
  • আইটি সেক্টরে আমাদের ব্যপক সম্ভবনা,
  • টেলিকম খাতে আমাদের সম্ভাবনা অস্থির,
  • সফটওয়্যার রপ্তানী দেশের জিডিপি বৃদ্ধিতে ব্যপক ভূমিকা পালন করবে,
  • আউটসোর্সিং-এ আমাদের ব্যপক সম্ভাবনা, ইত্যাদি।

শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষে বসে এক শ্রেণীর মানুষ সম্ভাবনার কথা বলছে আর সেই কথা শুনে গ্রাম-গঞ্জ থেকে হাজার হাজার কর্মী শহরে এসে পরিশ্রম করছে দিনের পর দিন। বিনিময়ে সত্যই কি সেই পারিশ্রমিক পাচ্ছে?

৪১তম জন্মদিনে নেতানেত্রীরা যখন ছাঁয়ায় বসে কুচকাওয়াচ দেখছেন, তখন আমার মনে কিছু প্রশ্ন জেগেছে-

  • ক’জন তৈরী পোষাক কারিগর এক গ্লাস ভালো পানি পান করতে পারে তাদের বাসস্থানে?
  • ক’জন তৈরী পোষাক কারিগর দু’বেলা সুষম আহার করতে পারে?
  • আইটি/টেলিকম খাত কি সত্যই আমাদের কৃষি খাতের পরিবর্তনে কোনো ভূমিকা রাখতে পেরেছে?
  • ক’জন দেশী সফটওয়্যার শ্রমিক তার পারিশ্রমিকের টাকায় আজ দেশের ভেতর এক টুকরো জমি কিনতে পেরেছে?
  • যারা আজকে বিভিন্ন ক্ষ্যাপে আউটসোর্সিং করছে, তাদের বয়স ৫০ হলে তারা কি করবে?

ভীষণ সাধারণ কিছু প্রশ্ন, কেউ কি এর জবাব দেবে?

২০১০ কুরবানী ঈদ যাত্রা, এক অন্যরকম অভিজ্ঞতা!

16 মঙ্গলবার Nov 2010

Posted by Omi Azad in মন্তব্য, বাংলাদেশ

≈ 5 Comments

Tags

Bus, Eid, GPS, Jam, Journey, Road, Traffic, Truck

আমার GPS অনুযায়ী আমার উত্তরার (ঢাকা) বাসা থেকে দিনাজপুরের বাড়ীর দূরত্ব ৩২৩.২ কিঃমিঃ, এবার ঈদে আসতে মোট সময় লেগেছে ৯:০৪ ঘন্টা, আমার গাড়ীর সর্বোচ্চ গতি ছিলো ১২০.০ কিঃমিঃ/ঘন্টা এবং এই যাত্রায় আমার গতি ছিলো গড়ে ৩৫.৯ কিঃমি/ঘন্টা। যদিও ঢাকা থেকে বগুড়া আসতেই লেগেছে ৬ ঘন্টার মতো আর গতি ছিলো গড়ে ২০.০ কিঃমিঃ/ঘন্টা।

এবারের যাত্রাটা একটু অন্যরকম আমার জন্য। আমি প্রথম গাড়ী নিয়ে বাড়ীতে ঈদ করতে আসলাম। তাছাড়া আমি প্রথম ঈদে যাত্রা দিনের বেলায় করলাম। মাঝখানে একদিন হরতাল হওয়ায় রাস্তায় যানবাহনের চাপ একটু বেশী হবে বলে মনে করেছিলাম কিন্তু আমি সেরকম একটা সমস্যায় পড়িনি।

দিনের বেলায় যাত্রা করার জন্য যে অভিজ্ঞতাটা হলো, সেটাই সবার সাথে শেয়ার করতে এই ব্লগ লেখা। আমরা গাজীপুর বাইপাসে ঢুকলাম প্রায় সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে। ঐ সাত সকালে রাস্তার বাম দিকে শত শত নারী, পুরুষ, শিশু অপেক্ষায় রয়েছে যদি একটা বাহন পাওয়া যায় ঈদের গন্তব্যে পৌছাবার জন্য। কিছুদূর পার হতে আমার উপলব্ধি হলো আমরা রাস্তায় তেমন কোনো বাস দেখিনি, শুধু দেখেছি ট্রাক ভর্তি মানুষ। বুঝলাম এই ট্রাকগুলি গরু নিয়ে এসেছিলো ঢাকায় এবং এখন মানুষ নিয়ে ফিরে যাচ্ছে। উপরের ছবিটা তোলা হয়েছিলো যমুনা থুক্কু বঙ্গবন্ধু সেতু পার হয়ে। আমরা সেতু পার হতেই আর চলার অবস্থা রইলো না, জ্যামের মধ্যে বিশাল ট্রাকের বহর, মানুষ ভর্তি ট্রাক আর ট্রাক।

হরতালের কারণে এক দিন যান চলাচল না করায় এই মানুষগুলি ঘরে ফেরার জন্য আর কোনো স্বাভাবিক বাহন না পেয়ে গরুর ট্রাকে ভর করেছে সম্ভবত আগেরদিন রাতে। পুরুষের পাশাপাশি আছে শিশু এবং নারী। আমি জাতের কোনো ক্যামেরা সাথে নিয়ে না যাওয়ায় ঠিক মতো ছবি তুলতে পরিনাই মানুষের দূর্ভোগের। প্রায় ৭-৮ কিঃমিঃ জুড়ে ট্রাক আর ট্রাক ভর্তি মানুষ, ট্রাকের উপরে মাল, মালের উপরে মানুষ।

আমার বিশ্বাস এসি রুমে বসে থাকা আমাদের নেত্রী-নেতারা এই সব দৃশ্য দেখতে চাননা। তাই ঈদের মতন একটা সময়ে বিরোধী দল হরতাল দিয়ে বসে থাকেন, আর সরকারী দল একটু সবুর করতে পারেননা প্রতিশোষ নেবার। আমার ভাষা নাই এদের বা এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করার!

এখন থেকে আর ঘন্টায় ঘন্টায় কারেন্ট যাবেনা!

29 সোমবার Mar 2010

Posted by Omi Azad in মন্তব্য, বাংলাদেশ

≈ 2 Comments

Tags

কারেন্ট, বিদ্যুৎ, বাংলাদেশ, ঢাকা, Bangladesh, Dhaka, Electricity

অনেকদিন আগে “বাংলাদেশের উন্নতি” নামের একটি আর্টিক্যাল লিখেছিলাম। আজকে আবার একই বিষয় নিয়ে লিখছি। অনেকে হয়তো মনে করবে একই বিষয় নিয়ে দু’বার লেখার দরকার কি। আমি এজন্যই লিখছি যাতে প্রমাণ সহ বলতে পারি আমরা কুকুরের ল্যাজের মতো একটি জাতি, আর কুকুরের ল্যাজ যেমন ঘি দিয়ে মালিশ করলেও সোজা হয়না!সেরকম যত যাই হোক আমাদের চরিত্রও কখনো ঠিক হবে না।

গত কয়েকদিন থেকে যারা এয়ারপোর্ট রোডে যাতায়াত করছেন দুপুরের পরে, নিশ্চয়ই লক্ষ্য করে থাকবেন যে সারা রাস্তার বাতিগুলি জ্বালিয়ে রাখা হচ্ছে। অনেকসময় বাতি ঠিক করার জন্য জ্বালানো হয়, কিন্তু আমার চোখে সেরকম কিছু পড়েনি।

কয়েকদিন ধরে বিশ্বরোডের এই দৃশ্য তো দেখছি, আজকে আমার এলাকায় আসতেই দেখি এলাকার লাইটগুলিও জ্বালিয়ে রাখা হয়েছে। ভাবটা এরকম মনে হলো যে রাজপথের বাতিগুলির সাথে এই বাতিগুলি পাল্লা দিচ্ছে।

ছবির আলো দেখেই বুঝতে পারছেন তখন কত বেলা! যতদূর চোখ গেলো, সব বাতি জ্বলছে রাস্তার। কিছুদিন আগে সরকারী একজন পেপারে বলেছিলেন, এখন থেকে আর আমরা বলতে পারবোনা যে ঘন্টায় ঘন্টায় কারেন্ট যায়, কারণ এখন থেকে দুই ঘন্টা করে কারেন্ট বন্ধ থাকবে। উনাকে আমার জিজ্ঞেস করতে ইচ্ছে হচ্ছে, দুই ঘন্টা কারেন্ট বন্ধ রেখে কি দিনের বেলা রাস্তার বাতি জ্বালিয়ে রাখা হবে?

← Older posts

Proudly powered by WordPress Theme: Chateau by Ignacio Ricci.