“ডেলইউজ” আমার দেখা সবচাইতে ভালো বিট্‌টরেন্ট এপ্লিকেশন

বড় ফাইল ডাউনলোডের জন্য বিট্‌টরেন্ট প্রযুক্তির বিকল্প নাই, আর উইন্ডোজের সবচাইতে জনপ্রিয় বিট্‌টরেন্ট এপ্লিকেশন ইউটরেন্ট, ২০০৫ সালে শুরু হওয়া ছোট্ট একটা প্রকল্প এবং এখন সবচাইতে শক্তিশালী নেটওয়ার্কে পরিণত হয়েছে। শুরুতে ম্যাকের জগতে এর উপস্থিতি না থাকলেও এখন সেটা আছে, কিন্তু লিনাক্সের জন্য স্টেবল কিছু রিলিজ হয়নি, শুধু পরীক্ষামূলক কয়েকটি সংষ্করণ বের করেছে এই পর্যন্ত।

বেশ কিছুদিন ধরে লিনাক্সের জন্য একটা ভালো বিট্‌টরেন্ট এপ্লিকেশন খুঁজতে থাকি এবং অনেকগুলি সফটওয়্যার পরীক্ষা করে দেখি। উবুন্টুর সাথেই ট্রান্সমিশন নামের একটি এপ্লিকেশন ইনস্টল হয়ে আসে, কিন্তু সেটা সুবিধার কিছু মনেহয়না। কারণ যারা ইউটরেন্টের ফিচারগুলি একবার ব্যবহার করেছে, সেগুলি ছাড়া অন্যকিছু ব্যবহার করে ভালোলাগার কথা না। লিনাক্সের জন্য বা ক্রস্ প্ল্যাটফর্ম সবচেয়ে পুরাতন এবং ফিচার সম্বলিত এপ্লিকেশন ভুজ, কিন্তু এত বেশী ফিচার যে একটু পরেই বিরক্তি চলে আসে। আর শেষবার যখন ব্যবহার করেছিলাম, সেটা জাভা ভিত্তিক ছিলো, তাই রিসোর্স লেগে যেতো প্রচুর!

শেষে খুঁজতে খুঁজতে পেয়ে গেলাম ডেলইউজ। অসাধারণ এক বিট্‌টরেন্ট এপ্লিকেশন। ইউটরেন্টের সমস্থ ফিচার তো আছেই, সেই সাথে আছে ক্রস প্ল্যাটফর্মে চলার সুবিধা। মানে ম্যাক, লিনাক্স ও উইন্ডোজে চলবে এই ডেলউইজ। যারা বিট্‌টরেন্ট ব্যবহার করেন, তাদের এপ্লিকেশনটি একবার ব্যবহার করে দেখতে বললাম।

ওহ্ বলতে ভুলে গিয়েছিলাম, এটা কিন্তু একটা ওপেনসোর্স প্রকল্প।

Rufus দিয়ে তৈরী করা যাবে বুটেবল ফ্ল্যাশ ডিস্ক

ফ্ল্যাশ ডিস্ক দিয়ে অপারেটিং সিস্টেম ইনস্টল করার মজাই আলাদা। একটা সময় ছিলো, যখন সিডি/ডিভিডি দিয়ে অপারেটিং সিস্টেম ইনস্টল করতে হতো এবং অনেক সময় লেগে যেতো। এমনো ঘটনা মনে আছে যে ডিভিডিতে একটু দাগ লেগেছে, ৯৫% ইনস্টল হয়ে আর কাজ হয়না, সাথে ব্যাকআপ ডিস্ক নেই যে সেটা দিয়ে ইনস্টল করা যাবে, কত রকমই না পেইন ছিলো!

উইন্ডোস ভিস্তা থেকেই ফ্ল্যাশ ডিস্কে করে ইনস্টল করার একটা সহজ উপায় চলে এসেছিলো। কমান্ড প্রম্পটে বহু কিচ্ছা কাহিনী করে ফ্ল্যাশ ডিস্ককে বুটেবল বানানো যেতো।

লিনাক্সের জন্য বিষয়টা সহজ ছিলো, UNetbootinUniversal USB Installer নামের দু’টি টুল ও যে-কোনো লিনাক্সের লাইভ সিডি/ডিভিডি দিয়ে অনায়াসে লিনাক্সের বুটেবল লাইভ ডিস্ক তৈরী করা যেতো। কিন্তু উইন্ডোসের জন্য অনেকগুলি টুল বরাদ্দ থাকলেও বেশীরভাগ সময় দেখাযায় সেগুলি কাজ করেনা। যেমন WinToFlash, কাজ করবে কি করবেনা বলা মুশকিল!

আজকে Rufus নামের একটি টুল দেখলাম এবং কিছুক্ষণ সেটা নিয়ে নাড়াচাড়া করে বেশ ভালোই লাগলো। একই টুল দিয়ে লিনাক্স, উইন্ডোসের বুটেবল ফ্ল্যাশ ডিস্ক তৈরী করা যাচ্ছে।

ছোট্ট একটি টুল, কিন্তু বেশ কাজের। যারা ইনস্টলার নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করেন, তাদের একবার এই লিঙ্ক থেকে ডাউনলোড করে ব্যবহার করে দেখতে বলছি।

Soft2Base – বিনামূল্যে সফটওয়্যার ইনস্টল ও আপডেট!

এখন বিনামূ্ল্যে এত সফটওয়্যার পাওয়া যায় যে নিত্য প্রয়োজনীয় কাজ করার জন্য টাকা দিয়ে সফটওয়্যার কেনার প্রয়োজন পড়েনা। যেমন: ওপেনঅফিস স্যুট, ফাইলজিলা, পেইন্ট ডটনেট ইত্যাদী।

আমি বরাবরই সফটওয়্যারের সর্বশেষ সংস্করণ ব্যবহার করতে চাই। যত নামকরা সফটওয়্যারই হোক, খুঁটিনাটি সুবিধা বাড়িয়ে বা সমস্যা সমাধান করে আপডেট সবসময়ই বের হয়। উইন্ডোজ বা অফিস সেন্ট্রাল আপডেটের মাধ্যমে নিজে নিজে আপডেট হলেও ফায়ারফক্স, ফাইলজিলা আলাদা আলাদা আপডেট হয় এবং এই প্রক্রিয়াটি অনেকেরই ভালো লাগেনা।

সেদিন ইন্টারনেট ঘাঁটতে ঘাঁটতে Soft2Base নামের চমৎকার একটি সফটওয়্যার পেলাম। সফটওয়্যার বললে ভুল হবে, এটাকে এপ্লিকেশন ম্যানেজার বলা উচিৎ হবে। সাইবার ওয়ার্ল্ডে বিনামূল্যে উপলব্ধ প্রায় সব সফটওয়্যারের তালিকা আছে এর মধ্যে, যদিও আমি তালিকায় ৬১টা নাম পেলাম, এটাইবা কম কি!

এপ্লিকেশনটি চালালে সার্ভারের ডাটাবেইজে থাকা তথ্যের সাথে কম্পউটারের তথ্য মিলিয়ে মূল উইন্ডোতে একটি তালিকা প্রদর্শন করে, তালিকার মধ্যে সফটওয়্যারের নামের পাশে সবুজ, নীল এবং বেগুনী রঙের বোতাম দেখা যায়, সবুজ মানে এই সফটওয়্যারটি ইনস্টল আছে এবং আমি সর্বশেষ সংস্করণ ব্যবহার করছি, নীল মানে এই সফটওয়্যারটি আমার কম্পিউটারে ইনস্টল নেই এবং আমি চাইলে ইনস্টল করতে পারি, আর বেগুনী রঙের বোতামের অর্থ হচ্ছে এই সফটওয়্যারের একটি পুরাতন সংস্করণ আমার কম্পিউটারে ইনস্টল আছে এবং আমি চাইলে আপডেট করতে পারি।

ইনস্টলের জন্যও রয়েছে বেশ কিছু অপশন। Silent Install ব্যবহার করলে আমাদের বিরক্ত না করেই সফটওয়্যার ইনস্টল হয়ে যাবে।

আমার ধারণা সফটওয়্যার ইনস্টলে এক নতুন মাত্রা যোগ করবে এই এপ্লিকেশন ম্যানেজারটি, কিন্তু এখনো অনেক কিছু ঠিক করতে হবে। যেমন আমার কম্পিউটারে VLC x64 ইনস্টল করা আছে, কিন্তু সে চিনতে পারেনি। Waterfox ইনস্টল করা আছে, কিন্তু সেটাও চিনতে পারেনি। বেটা বা অসম্পুর্ণ সংস্করণ ইনস্টল করবো কি-না, সেটা নির্বাচন করার উপায় নাই।

আশাকরা যায় ভবিষ্যতে ছোটখাট এই সমস্যাগুলি আর থাকবেনা…

সীমিত করি মোজিলা ফায়ারফক্সের মেমরি ব্যবহার

অতিরিক্ত মেমরি (RAM) ব্যবহার করার জন্য মোজিলা ফায়ারফক্সের জনপ্রিয়তা দিন দিন কমে যাচ্ছে। বিগত দিনে খুব দ্রুত গতিতে ফায়ারফক্স অনেকগুলি নতুন সংস্করণ ছেড়েছে কিন্তু কোনো ভাবেই তাদের এই পুরাতন ব্যধি নিরাময় করতে পারেনি। কম্পিউটারে যদি অগাধ মেমরি থাকে, তাহলে অবশ্য অন্য বিষয়! কিন্তু একটি এপ্লিকেশন যখন বেশী মেমরি ব্যবহার করবে, তখন স্বাভাবিকভাবেই অনেক ঝামেলা হবে, যেমন অন্য এপ্লিকেশন ধীরে চলবে, ব্যাটারী চালিত ল্যাপটপের চার্জ স্বাভাবিকের চাইতে দ্রুত গতিতে শেষ হবে ইত্যাদী। এরপরও ফায়ারফক্সের ওয়েবসাইট উপস্থাপনা অদ্বিতীয় আর তাই বেশীরভাগ ব্যবহারকারী এই ব্রাউজারের মায়াজাল থেকে বেরহতে পারেনা।

সম্প্রতি আমি Firemin নামের একটি এপ্লিকেশনের সন্ধান পেলাম এবং এর কার্যকরিতা দেখে আমি মুগ্ধ।

এই এপ্লিকেশনটি ব্যবহার করে ফায়ারফক্সের মেমরি ব্যবহার সীমিত করে ফেলা যায়। Firemin মূলত EmptyWorkingSet এপিআই ইন্সট্রাকশন ব্যবহার করে কাজ করে।

এপ্লিকেশনটি ব্যবহার করে ফায়াফক্সের মেমরি ব্যবহার বহুগুনে কমিয়ে ফেলা যায়। নীচে একটি উদাহরণ দেয়া হলো-

Firemin ব্যবহারের আগে:

এবং ব্যবহারের পরে:

তবে মেমরী যত কমবে, প্রসেসরের ব্যবহার তত বেড়ে যাবে মেমরি কমানোর জন্য, এই বিষয়টাও মাথায় রাখতে হবে। তথ্যটি শেয়ার করার জন্য রেমন্ডকে ধন্যবাদ।

Firemin হোম পেইজ

ভুয়া ডাউনলোড লিঙ্ক চেনার সহজ উপায়

নিজেদের হোস্টিং-এর স্পেস বাঁচাতে এখন অনেকেই ফাইল বিতরণের জন্য ফ্রি ফাইল হোস্টিং সেবা (ড়্যাপিড শেয়ার, ফাইলফ্যাক্ট্রি, টারবোবিট ইত্যাদি) ব্যবহার করে থাকে। কিন্তু আমরা যারা ফাইল ডাউনলোড করতে যাই, তাদের পড়তে হয় বিপাকে। ডাউলোডের পাতায় একাধিক ডাউলোড বাটন দেখে অনেকসময় বোঝাই যায়না যে কোনটা ক্লিক্ করে ডাউনলোড করতে হবে!

উপরে আমি টারবোবিট ফাইল হোস্টিং সাইটের একটা উদাহরণ ব্যবহার করলাম, এই পেজের একাধিক ভুয়া ডাউনলোড বাটন যেকোনো ব্যবহারকারীকেই বিভ্রান্ত করবে। এই বাটনগুলি আসলে বিজ্ঞাপণ, যেখানে ব্যবহারকারীরা ক্লিক্ করলে বিজ্ঞাপণদাতার মুনাফা হবে।

তবে আমরা যদি Mipony বা jDownloader, ব্যবহার করি, তাহলেই ঐ বাটনগুলির ঝামেলা পোহাতে হয়না। আবার যদি Adfender বা Adblock ব্যবহার করি, তাহলেও এই ঝামেলা থেকে রেহাই পাওয়া যায়।

কোনো কিছু ব্যবহার করা ছাড়াও এই ভুয়া ডাউনলোড বাটন সনাক্ত করার আরেকটি উপায় আছে, আমরা যদি ঐ ডাউনলোড বাটনের উপর মাউস নিয়ে গিয়ে ডান বোতামে ক্লিক্ করি, তাহলেই দেখতে পাবো এগুলি সাধারণ বাটন বা লিঙ্ক না, এগুলি ফ্ল্যাশে তৈরী করা বিজ্ঞাপণ।

🙂