লোডশেডিং!
ভয়াবহ একটি শব্দ। এই গরমে লোডশেডিং হলে জীবন যেনো থেমে যায়। শুধু যে স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় সমস্যা হয় তা-না। সামগ্রীকভাবে বিদ্যুতের লোডশেডিং আমাদের ক্ষতি করে। রাতে এক ঘন্টা বিদ্যুতের অনুপস্থিতি যেমন বাসায় থাকা অসহ্য করে তোলে, ঠিক তেমনি ওয়ার্কিং আওয়ারে এক ঘন্টা বিদ্যুতের অভাব বয়ে আনে কোটি কোটি টাকার ক্ষতি।

বিষয়টা আমরা সকলেই কম-বেশী বুঝি। কিন্তু আমার মনেহয় যাদের বোঝা দরকার তারাই বোঝেনা। শুধু রেডিও, টেলিভিশন, পত্রিকায় লম্বা চ্যাওড়া ভাষন দিতে জানে আমাদের দেশের পরিচালকরা। বলে বিদ্যুতের না-কি উৎপাদনে ঘাটতি হচ্ছে। তাহলে আমরা ঘাটতি’র (!) কিছু নমুনা দেখি।


আজকে সকালে বের হয়েছিলাম এক বন্ধুর সাথে দেখা করতে, তখন বাজে ৯:২০। রাস্তায় নেমে দেখি রাস্তার সমস্থ স্ট্রিট লাইট জ্বলছে। আমি বন্ধুর বাসা থেকে ফিরি ১২’র দিকে, তখনো লাইট জ্বলছে।

বিকেল বেলা বাথরুমে মুখ হাত ধুতে গিয়ে ভেন্টিলেটার দিয়ে দেখি লাইট জ্বলছে। তখন বাজে বিকেল ৫:৪০।

আমরা সবাই যেখানে বিদ্যুৎ সমস্যার জন্য ভুগছি, সেখানে দেশের পরিচলকেরা শখের বসে রাস্তার লাইট জ্বালিয়ে রেখেছেন। উনারা মনেহয় সেই কবিতাটি পড়েননি যেটা আমরা স্কুলে পড়ে ভাব সম্প্রসারণ করেছিলাম…

যে জন দিবসে মনের হরসে জ্বালায় মোমের বাতি
আসু গৃহে তার দেখিবে না আর নিশিতে প্রদীপ ভাতি