ডান দিকে যেই ল্যাপটপটা দেখা যাচ্ছে সেটা হচ্ছে আমার ডাউনলোড সার্ভার। কাজের জন্যই হোক আর শখের বসেই হোক, আমার তুলনামূলকভাবে প্রচুর ডাউনলোড করতে হয়। আমার ডেস্কটপ মেশিনটাও আমি এই কাজে ব্যবহার করতে পারি, কিন্তু ঝামেলা হচ্ছে বিদ্যুৎ খরচ এবং আমার পিচ্চিটা।
ল্যাপটপ ব্যবহার করলে যেমন বিদ্যুৎ খরচ কমে, তেমনি পিচ্চির নাগালের বাহিরে থাকে এবং আমার ডাউনলোড থাকে সুরক্ষিত।
আমি আগে থেকেই ল্যাপটপ ব্যবহার করে ডাউনলোড করা, এই কাজের জন্য আগে আমি আমার থিঙ্কপ্যাডটা ব্যবহার করতাম, কিন্তু সেটা ২৪ ঘন্টা চালু থাকলে আমার মনেহয় ওটার আয়ু কমে যাবে। আর তাই আমি বিকল্প হিসেবে এটাকে দাঁড় করিয়েছি।
এই ল্যাপটপটা আমার বড়ভাই প্রায় এক বছর আগে কিনেছিলো (নতুন না, সেকেন্ড হ্যান্ড)। কেনার পর থেকেই বিভিন্ন ঝামেলায় জর্জরিত এটা, সেকেন্ড হ্যান্ড মালের যেটা হয়। প্রথমে নষ্ট হলো সিডিরম, তারপরে হার্ডডিস্ক, তারপরে ব্যাটারী ইত্যাদী ইত্যাদী।
শেষে সেটা আমার হাতে দেয় ঠিক করার জন্য। একবার ঠিক করে পাঠিয়ে দেই। ওটার হার্ডডিস্ক কন্ট্রোলারটা নষ্ট হয়ে গিয়েছিলো। সেটা ঠিক করে দেবার পরে চালু করলে ডিস্প্লেতে ছবি আসতো না, তবে এক্সটার্নাল মনিটরে ছবি আসতো। সেটা ধরা গেলো যে মনিটরের সাথে যে সুইচ আছে সেটা নষ্ট। সেটা ঠিক করার পরে উইন্ডোজ ইনস্টল করতে গেলেই ওভার হিট ওয়ার্নিং দিয়ে বন্ধ হয়ে যেতো।
এর মধ্যে বার বার খোলাখুলি করাতে নাট বোল্ট সব নষ্ট হয়ে গিয়েছে এটার। ভেঙ্গে গ্যাছে মনিটরের একটি কব্জা। এক পর্যায়ে আমি হাল ছেড়ে দিয়ে ল্যাপটপটাতে উইন্ডোজ মিলিনিয়াম এডিশন লোড করে দিয়ে আমার পিচ্চিটার জন্য কিছু ছড়ার ভিডিও লোড করে ওর সামনে ছেড়ে রাখতাম। সেগুলিও চলতে না চলতে প্রসেসর গরম হয়ে বন্ধ হয়ে যেতে শুরু করলো। এবার আমি এটার পেছনে উঠে পড়ে লাগলে, এটাকে ঠিক করেই ছাড়বো।
প্রথমে যেটা দেখলাম যে প্রসেসরের হিট সিঙ্কের সাথে আরেকটা হিট সিঙ্কের যোগাযোগ আছে, এবং সেটা চারটি স্ক্রু দিয়ে লাগানো থাকার কথা। সেই ফুটাগুলোতে স্ক্রু থাকলেও সেগুলি ফাঁকি দেবার জন্য লাগানো হয়েছে। সেগুলি তাদের কাজ করছে না। আমি সঠিক স্ক্রু লাগাতেই প্রসেসরের তাপ ছড়িয়ে পড়তে লাগলো এবং কম্পিউটার স্বাভাবিকভাবে চলতে শুরু করলো। কিন্তু ঝামেলা রয়েই গেলো। এতদিন ওভারহিট হওয়ার কারনে থার্মাল সেন্সরটা নষ্ট হয়ে গ্যাছে এবং ভেতরের কুলিং ফ্যানটি কাজ করছেনা। এবার বাহিরে একটা ফ্যান বসিয়ে দিলাম।
নাট বোল্ট ঠিক না থাকায় লিকোপ্লাস্ট দিয়ে বডি ঠিক করে রাখলাম। স্ক্রিনের প্যানেলের কব্জা ভাঙ্গা থাকায় লোহা দিয়ে সেখানে ব্যালেন্স করে দিলাম। লোহা যাতে খুলে না যায় সেটার জন্য তার দিয়ে দু’দিক দিয়ে টান দিয়ে বেঁধে দিলাম। কাজ ভালই হলো।
যেহেতু এর নিজের ফ্যান কাজ করছেনা। আমি এর মধ্যে আরও দু’টি ফ্যান লাগিয়ে দিলাম। এবং সম্পুর্ন জিনিসটিকে একটি শোলার স্টেন্ডের উপরে মাউন্ট করলাম। আপাতত এটা ভালই কাজ করছে আমার জন্য। তবে আমি জানিনা যে আর কতদিন এটা চলবে এভাবে।
দারুন !
you are a genius
অমি আজাদ দেখি হার্ডওয়ার ইঞ্জিনিয়ার হইয়া গেল
আমি সবসময়ই হার্ডওয়্যারে ভালো। আর কম্পিউটারের আগে ইলেকট্রনিক্সই ছিলো আমার হবি…
দারুন জিনস 🙂
জটিল। আমার ল্যাপটপ পুরান হলে আপনার কাছে সেল করুম 😀 আপনে সেটা দিয়া একটা উয়েব সার্ভার ডিজাইন কইরেন ।
hahahah…great great really great….
এটা সত্যি জাদুঘরে রাখার মত হয়েছে।
বেচারার বোধ হয় মরারও সময় হবে না!
Pingback: Reality Bites » সিà¦à¦¿à¦¸à§à¦² নিà§à§ à¦à¦²à§ à¦à§à§à¦¯à¦¾à¦°à¦²à§à¦¸ à¦à¦¨à§à¦à¦¾à¦°à¦¨à§à¦ সà¦à¦¯à§à
আমার এখন আর গ্রামীণের লাইন ব্যবহার করিনা, তবে এই সার্ভার এখনো আমার কাজ করে যাচ্ছে সুন্দরভাবে। গতকালকে বিদ্যুৎ চলে যাবার আগ পর্যন্ত পাওয়া আপটাইমের একটি ছবি এখানে দিলাম।

এতদিন কারও উইন্ডোজ চলেছে আমার জানা নেই। 🙂
WOW 17 days! Amazing!! Ami to amar laptop 8hrs er beshi chalatei voy pai! LOL
Unbelievable.. 😀
ami jei pc use kori sheita diye e 24/7 download kori.. and amar record uptime hocche 28days!! 😀
damn.. aro beshi hoito jodi na amar dvd drive ta noshto na hoito.. dvd drive ta noshto hoyay warrenty er jono newa lagsilo.. oishomoy pc turn off kora lagsilo..
and amar per day ~3.5GB download hoy..
হে হে হে হে ! ! !
কাজের কাজের কাজ করেছেন। কিন্তু এটা দিয়ে কি হয়?
বোকার মতো প্রশ্ন হলো নাকি?
এটা সম্পর্কে কোন তথ্য থাকলে একটা লিংক দিয়ে দিয়েন। ধন্যবাদ।
এটা দিয়ে আমি শুধু ডাউনলোড করি 🙂
এতক্ষন আপনাদের দেওয়া পোষ্ট ও এর উত্তর দেখে আমার পিসিটার শেষ পরিনতি কল্পনা করলাম। হয়তো বুড়ো বয়সে এটারও একই অবস্থা হবে। বেচারা ইলেকট্রনিক্স চিপ এর বান্ডিল! মানুষ হলে না হয় বুড়ো বয়সে একটু আরাম হত! কিন্তু এদের কপাল এত খারাপ বুড়ো বয়সে একটু বেশীই পরিশ্রম করে কেউই খাতির করে না।