আজ সকাল থেকে মনটা একটু খারাপ কারণটা সবার সাথে শেয়ার করা দরকার, তাই ব্লগটা লিখছি।
সকালে উঠে দেখি বৃষ্টি হচ্ছে। গাড়ী যেহেতু কেনা হয়নি এখনো অফিস যেতে হয় আমার মটর সাইকেলে করে, আর বৃষ্টিতে একমাত্র ভরসা ট্যাক্সি ক্যাব। বাসা থেকে বের হয়ে রিক্সা নিয়ে ক্যাব খুঁজছি। উত্তরা থেকে গুলশান দূরত্ব কম হওয়ায় ক্যাব/সিএনজি কেউ সহজে যেতে চায়না। এক ক্যাব চালক নিজে থেকেই রাজি হলেন নিয়ে যেতে এবং সুন্দর করেই চালিয়ে নিয়ে এলেন। আমি অফিস পর্যন্ত যদি গাড়ী নিয়ে আসি তাহলে অনেকটুকু রাস্তা গিয়ে উই-টার্ন নিয়ে আসতে হয়। তাই চিন্তা করলাম রাস্তার এপাড়েই গাড়ী ছেড়ে দিয়ে পার হয়ে অফিসে যাই। ক্যাবের বিল হয়েছে প্রায় ১৩০ টাকা। আমি ২০০ টাকা দিতেই চালক বললেন উনার কাছে ভাঙতি নাই। আমার কাছেও ভাঙতি নাই, আছে ৬ টাকা, তিনটা ২ টাকার নোট 🙁
চালক আমাকে বললেন, “ভাঙতি যা আছে দিয়ে চলে যান।” আমি বললাম, “একটু অপেক্ষা করেন, আমি ব্যাংক থেকে ভাঙিয়ে আনি,” উনি বললেন, “থাক দিতে হবেনা, ১০০ টাকা দিয়েই যান।” আর আমি নির্বোধের মতন নেমে অফিসে চলে আসলাম। লিফটে উঠতে উঠতে মনে হলো আরে, আমিতো উনার মোবাইল নম্বরটা নিয়ে রাখলেও পারতাম। মোবাইলে টপ-আপ করে দিতাম টাকাটা, বা আমার বিজনেস কার্ড দিয়ে ২০০ টাকা দিয়ে আসতে পারতাম, উনি আমাকে ৭০ টাকা টপ-আপ করে দিতে পারতেন। খুব মনটা খারাপ হলো ভেবে। ভাঙতি ৬ টাকাও দেয়া হলোনা।
একটা সময় ছিলো যখন ভাড়া ছাড়া বাসে চড়তাম, টিকেট ছাড়া ট্রেনে চড়তাম, মজা করার জন্য। এখন কিন্তু ঐ সময় বা ঐ মানসিকতা নেই। আমি এখন অসম্ভব লজ্জিত ড্রাইভারকে ৩০ টাকা কম দেয়ার জন্য। ভীষণ খারাপ লাগছে নিজের কাছে, কেনো আমার মাথায় বুদ্ধি এলোনা তার মোবাইল নম্বরটা রেখে দেয়ার। যখন কোনো ট্যাক্সি/সিএনজি আসছিলোনা, তখন সে যেঁচে আমাকে নিয়ে এসেছে, অবশ্যই উপকার করেছে। আমার ৭০ টাকা বেশী দিলেও তো মহাভারত অশুদ্ধ হয়ে যেতো না 🙁
চোর পালানোর পরেই আসলে বুদ্ধি বাড়ে আমাদের!
আমার বেলায় বেশির ভাগ সময়ই উলটা টা হয়। ৫ টাকা বা ৬ টাকার ভাড়া ১০ টাকা দিতে হয় প্রায়-ই.. কারণ রিকশাওয়ালাদের কাছে ভাংতি থাকে না। তবে ধানমন্ডিতে একবার ১৫ টাকার ভাড়া ১০ টাকা নিয়েছিলো। ৫ টাকা নেয়ার জন্য দাঁড়াতে বলেছিলাম.. ২-৩ মিনিট পরেই এসে দেখি রিকশাওয়ালা উধাও…
great post omi! liked your mentality and thoughts regarding this. we frequently faced this type of situation. we should try to compensate the extra care/help we get from them. Bhalo laglo post ta pore!
গত ৫-৬ মাস ধরে সি-এন-জি অথবা ট্যাক্সি চরা বন্ধ করে দিয়েছি আহামরি সব ভাড়ার জন্য
হুম আর আমি? হা হা রিক্সা চড়াই বাদ দিলাম ওদের ডিমান্ড দেখে!!(আকাশে সাদা মেঘ ২৫ টাকা = ৪০ সেদিন মেজাজ চুড়ান্ত হয়ে গেল।)
ভালো লাগলো পড়ে। এ ধরনের মানসিকতার খুব অভাব আমাদের দেশে।
আজকে আমার সাথে হয়েছে আরেক ক্যাচাল ।আমি সাধারণত ভাংতি না থাকলে অধিকাংশ সময়ই রিকশাওয়ালাকে টাকা বেশি দেই কিন্তু কখনো কম দেই না।আজকে এক জায়গায় গেলাম যেখানে সবসময় ভাড়া ১০ টাকা দেই এবং কখনো কোন রিকশাওয়ালা কিছু বলেনা যে কম হয়েছে ভাড়া।আজকের রিকশাওয়ালা বলে যে ভাড়া ১৫ টাকা আমি ওকে বললাম আজকে এতদিন আসি কোন রিকশাওয়ালাতো বললো না যে ভাড়া কম দিয়েছি সে বললো না ভাই এখানে আমি ১৫ টাকার কমে আসিনা আমি বললাম এটা তোমার সমস্যা তোমার এত ভাবস থাকলে আমাকে আগে বলতা ।তারপর কিছুক্ষণ তর্ক করে ১২ টা দিতে হলো।
অমি ভাই, পড়ে ভালো লাগলো… আহা! সবাই যদি আপনার মতো বা ঐ চালকের মতো হতো কতইনা ভাল হতো।
@মামুন ভাই, রিকশাওয়ালাদের ভাড়াওতো ইনক্রিমেন্ট হওয়া চাই, আমরা যেমন বছর বছর বেতনের ইনক্রিমেন্ট দাবি করি/পাই…
আজকে আর চোরকে পালাতে দেই নি। রিক্সা থেকে নেমে ক্যাব নেবার সময় ড্রাইভারের কাছ থেকে ১০ টাকা ধার করি, পরে গুলশান পর্যন্ত যেতে ভাড়া হয় ১১২ টাকা, আমার কাছে ভাঙতি না থাকায় আমি ১০০ টাকা দিয়ে মোবাইল নম্বরটা নিলাম, পরে সেখানে ৩০ টাকা টপ আপ করে দিলাম। আবার ফোন দিয়ে কনফার্ম করলাম যে সে টাকা পেয়েছে কি-না। 🙂
Sir your realization is true and i think so you will get the real prize for this feeling
চোর পালালে বুদ্ধি বাড়ে,কারন চোর পালানোর সময় বুদ্ধি গুলো ফেলে রেখে পালিয়ে যায় তাই।