Tags

, , , , ,

জিনিসটা অনেক নামে পরিচিত, যখন বের হয়েছিলো তখন সবাই ডাকতো থাম্ব ড্রাইভ। পরে ডাকতে শুরু করলো ইউএসবি পেন ড্রাইভ (আমাদের দেশে এখনো এই নামেই ডাকে) আর এখন ডাকা হয় ফ্ল্যাশ ড্রাইভ নামে।

আমি আমার জীবনের প্রথম ফ্ল্যাশ ড্রাইভ কিনেছিলাম ১৬ মেগাবাইটের। আমার তখন কি ভাব যে আমার ১৬ মেগাবাইট ফ্ল্যাশ ড্রাইভ আছে যেটা নিয়ে চিন্তা করতে হয়না। ফ্লপির মতন বার বার নষ্ট হয়ে যায়না আর চালাতে ফ্লপির মতন আলাদা ড্রাইভো লাগে না। 🙂

সেটা কিনেছিলাম মনেহয় ২০০১ সালে, তখন সেটার দিম নিয়েছিলো ৩,৭০০ টাকা। কিছুদিন পরে সেটা নষ্ট হয়ে যায় এবং ওদের কাছে নিয়ে গেলে সেটা বদলে আরও ১,০০০ টাকা নিয়ে একটা ৩২ মেগাবাইটের ফ্ল্যাশ ড্রাইভ দেয়। সেটা আজও আছে আমার। এখনো চলে!

আমি আমার জীবনে আর কোনোদিন ফ্ল্যাশ ড্রাইভ কিনে ব্যবহার করিনাই। এরপরে মাইক্রোসফট দিলো ১ গিগা একটা, সেটা ব্যবহার করতে করতে মুসা ভাই (এক বড় ভাই যার প্রজেক্টে অনেকদিন কাজ করেছি) দিলো একটা ২ গিগা বাইট। পরে মাইক্রোসফট থেকে আবার ভিস্তা রিলিজ উপলক্ষে রেডিবুস্ট ক্ষমতা সম্পন্ন একটা ২ গিগাবাইটের ফ্ল্যাশ ড্রাইভ। মুসা ভাই’র দেয়াটা হারিয়ে যাবার পরে মাইক্রোসফটের দেয়া ২ গিগাটা বহুদিন ব্যবহার করেছি।

এবার পেলাম এই ৩২ গিগা ফ্ল্যাশ ড্রাইভটা। একলাফে অনেকদুর। 🙂
আমার এক ছোটোভাই আছে, নাম বর্ণ। নর্খ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার প্রকৌশলী বিষয়ে লেখাপড়া করছে। এবার সে এটা গিফ্ট করলো আমাকে। আমেরিকাস্থ বিশ্বের উচ্চ মানের মেমরী নির্মাতা OCZ এর পণ্য এটা। এটা OCZ ATV নামে পরিচিত এবং বিরূপ আবহাওয়ার জন্য তৈরী করা হয়েছে বলে এর নাম দেয়া হয়েছে ATV.

বিশ্বের বাজারে এটা ২য় ৩২ গিগা ফ্ল্যাশ ড্রাইভ, এর আগেরটা বের করেছিলো কর্সএয়ার এবং গতি ভালো না হওয়ায় ওদেরটা বাজারে তেমন চলেনা।