মাইক্রসফট এক্সবক্স ৩৬০ ব্যবহারকারীরা এখন থেকে গেম খেলার পাশাপাশি একই যন্ত্র দিয়ে বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান (যমন: ছায়াছবি, টিভি সিরিয়াল, মিউজিক ভিডিও) ডাউনলোড করে দেখতে পারবে। গত ৭ নভেম্বরে মাইক্রসফটের ইন্টারএ্যক্টিভ এন্টারটেইনমেন্ট বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট পিটার মুর এক সাংবাদিক সন্মেলনে এই কথা জানান। মুর বলেন আর বেশী অপেক্ষা করতে হবে না, চলতি মাসের ২২ তারিখ থেকেই সমগ্র আমেরিকার এক্সবক্স ৩৬০ ব্যবহারকারীরা উইন্ডোজ এক্সবক্স লাইভ অনলাইনের মাধ্যমে এই সুবিধা গ্রহন করতে পারবে।
মুরের মতে মাইক্রসফট এই ব্যবসা করে আগামী বছরের মধ্যে ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মুনাফা করবে। যেহেতু মাইক্রসফট মনে পৃথিবীর সব ক’টি এক্সবক্স একটি টেলিভিশনের সাথে লাগানো রয়েচে এবং আমেরিকাতে ব্যবহৃত প্রায় প্রতিটি এক্সবক্স ইন্টারনেটের সাথেও সংযুক্ত আছে। তাই মাইক্রসফট আশা করছে ব্যবসাটি তাঁদের জন্য অত্যন্ত লাভজনক হবে। ধীরে ধীরে ব্যবসা গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে দেবার চিন্তাও করছে মুর।
প্রস্তুতি স্বরূপ ইতিমধ্যে মাইক্রসফট বড় বড় বিনোদন কোম্পানী (যেমন বিংশ শতাব্ধীর ফক্স, ওয়ার্নার ব্রাদার্স, কলম্বিয়া পিকচার্স, প্যারামাউন্ট, সিবিএস, এমটিভি নেটওয়ার্কস)-এর কাছ থেকে প্রায় ১০০০ ধন্টার কন্টেন্ট কিনেছে। তবে এই মুহুর্তে মাইক্রসফট হাই ডেফিনেশন ভিডিও ব্রডকাস্টে যাবেনা, কারণ হাই ডেফিনেশন কন্টেন্ট প্রচার এবং তা গ্রহণ উভয় ক্ষেত্রেই প্রযুক্তি প্রচন্ড ব্যায়বহুল।
ভিডিও বিতরণের বিষয়টি কিছুটা এ্যপল স্টোরের মতই, তবে এই ক্ষেত্রে দর্শকরা ভিডিও কিনবে একটি নির্ধারিত সময়ের জন্য এবং এটা কোনোভাবে এক্সবক্সের বাহিরে আনা যাবে না, তবে একজন কোনো ভিডিও কিনলে সেটার রেকোর্ড সংরক্ষণ করা হবে যাতে সে তাঁর বন্ধুর এক্সবক্স ব্যবহার করে ভিডিওটি উপভোগ করতে পারে।
আশা করা যাচ্ছে মাইক্রসফট এই ব্যবসায় প্রচন্ড সফল হবে, যেহেতু এই বিনোদনের মাঝে এ্যপলের প্রযুক্তির মতো কোনো কম্পিউটার ব্যবহার হবে না।