আমার আইফোনের বাক্সআজকে প্রথম আলো’র “আইফোনের লক খুললেন ঢাকার তরুণ” শীর্ষক খবর পড়ে একটু মেজাজ গরম হয়ে গেলো। বাংলাদেশে কে একজন আইফোন ক্র্যাক্ করেছে সেটা আবার ফলাও করে প্রথম পাতায় দিয়েছে। ক্র্যাক্ বিষয়টা যতই মজার হোক বা যতই কাজে লাগুক, পন্থাটা কিন্তু ঠিক না। একটা কোম্পানী নিশ্চয়ই কোনো কারণে বাধ্য বাধকতা দিয়ে থাকে, সেটা R&D বা ব্যক্তিগত কাজে ক্র্যাক্ করা যায়, কিন্তু সেটা একটা জাতীয় দৈনিকের প্রথম পাতায় আসতে পারেনা। এতে কি এটা প্রমাণ হয়না যে এই জাতিকে ক্র্যাক্ জাতীয় দুই নম্বর কাজে এরা উদ্বুদ্ধ করছে?

আমাকে আমার আইফোনটা কিনে দিয়েছিলো তারা যারা আমার ম্যাকবুকটা কিনে দেয়। আমি সেটা হাতে পাই জুলাই মাসের ২০ তারিখে। এক বড়ভাই সুদুর ক্যালিফোর্নিয়া থেকে এগুলি আমার জন্য বয়ে নিয়ে আসেন। তাতে সিঙ্গুলারের যে সিমটা লাগানো ছিলো সেটা নিজে থেকে বাংলালিঙ্কের নেটওয়ার্ক বেছে নিয়ে রোমিং মোডে চলতে থাকে। কিন্তু আমিতো আর সেটা চালাতে পারিনা। এমনিতেই কয়েকদিন ব্যবহার করলাম কল করা বাদে অন্যসব ফিচারগুলি।

আমি বিভিন্নজনকে এই বিষয়ে প্রশ্ন করতে শুরু করলাম আমেরিকাতে, সবাই রহস্যময় জবাব দেয়। প্রায় ১৫দিন পার হবার পরে আমি চিন্তা করলাম  একবার ক্র্যাক্ খুঁজে দেখি আমি যেই সাইটগুলি থেকে সাধারণত সফটওয়্যার ডাউনলোড করি, সেইগুলিতে। আমি জবাব পেলাম এখানে। আর দেরী কেন! 🙂

ক্র্যাকটা ডাউনলোড হতে সময় অল্প লাগলেও ক্র্যাক্ হতে সময় লাগলো ১৫ মিনিটের কাছাকাছি। যখন ক্র্যাক্ হচ্ছিলো, তখন জানটা ধুক্ ধুক্ করছিলো, যদি আর চালুই না হয়! ক্র্যাকারা যে ভালো কিছু দেবে তার গ্যারান্টি কি! 🙁

শেষ পর্যন্ত হলো এবং আমার গ্রামীণের সিম সেখানে ভালোই চলছে। সাথে একটেল আর ওয়ারিদ পরীক্ষা করেছি, ঠিকমতই চলছে।


আইফোন দিয়ে আমি চ্যাট করছি
অমি উপরের ছবিটা ভালোভাবে নেয়ার চেষ্টা করেছি যাতে গ্রামীণফোনের নামটা দেখা যায়। হাস্যকর হলেও সত্য প্রথম আলোর ছবিতে কিন্তু AT&T পরিস্কার দেখা যাচ্ছে। 🙂 ক্র্যাক করা আইফোনের একটা ছবি তোলার মুরাদ হয়নি?

এই ছবিতে গ্রামীণের নাম আরও পরিস্কার এসেছে। বাবা প্রথম আলো, খবর তো দিলা, কিন্তু প্রমাণ তো দিতে পারলানা। আর তোমরা আজকে নতুন করে দেখছো, গত দেড়মাস থেকে আমি সেটা ব্যবহার করছি। 🙂