Tags

, , , , , , , , , , ,

এইচটিসি মোবাইল ফোন, কল্পনার চাইতে অনেক বেশী! উইন্ডোস মোবাইল ৬ প্রফেশনাল অপারেটিং সিস্টেম সম্বলিত ঝামেলাবিহীন স্মার্ট মোবিলিটি। আমি যেটা নিলাম সেটার মডেল হলো HTC Touch 3452.

এর হার্ডওয়্যার:
প্রসেসর: OMAP850, গতি: 233 MHz
মেমরি: 128MB
ফ্ল্যাশ মেমরি: 400MB
ডেটা বাস: 16 bit
মনিটরের রঙ: 65536
রেজ্যুলেশন: 240×320
মাপ: ২.৮ ইঞ্চি
ধরণ: টিএফটি টাচ্ স্ক্রিণ
অপারেটিং সিস্টেম: উইন্ডোস মোবাইল ৬ প্রফেশনাল (দেখতে অনেকটা ভিস্তার মতন 🙂 )

আমি সত্যি এটা ব্যবহার করে আনন্দিত। এক বৈচিত্র আমি আইফোনেও দেথি নাই। এবার আসি এতে কি কি বৈশিষ্ঠ্য আছে:
ওয়েব ব্রাউজার: মাইক্রসফট ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার (পকেট এডিশন)
অফিস: পকেট অফিস – Word, Excel, Outlook, Adobe PDF viewer
ভিএম: জাভা MIDP 2.0
EDGE: Class 32
WLAN: Wi-Fi 802.11b/g
Bluetooth: Yes, v2.0 (A2DP সহ)

এইচটিসির টার্গেট হচ্ছে নিত্য নতুন গ্যাজেট উপহার দেয়া তাও আবার অনেক সস্তায়। আমাদের বাংলাদেশে গ্লোবাল ব্রান্ড এইচটিসি টাচ্-এর একটা মডেল বিক্রি করে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকার মধ্যে। দামটা খারাপ না।

আমি আইফোন ব্যবহার করেছি আগে, এটা আইফোনের থেকে অনেক ভালো বলা যেতে পারে কিছু কিছু ফিচারের দিক দিয়ে। যেমন এর জন্য হাজার হাজার এপ্লিকেশন পাওয়া যায়, স্কাইপি, গুগল্ ম্যাপ, ডিআইভিএক্স প্লেয়ার, আরও কত কি! আছে মোজিলার ব্রাউজার মিনিমো। এতে ব্লুটুথ বা কেবল দিয়ে গান বা ভিডিও ঢুকিয়ে দিলেই চলে, যেটা আইফোনে আইটিউন্স দিয়ে করতে হয়। আইফেনো ব্যাটারি নষ্ট হয়ে গেলে কি করতে হবে আমার জানা নাই। এটার ব্যাটারি পরিবর্তনযোগ্য এবং মেমরি কার্ড নিজের ইচ্ছা মতন ব্যবহার করা যায়। আমি একটা ৮ গিগা লাগিয়ে নিয়েছি। সবচাইতে ভালো বিষয় হলো আইফোনের চাইতে এর সাইজ অনেক ছোটো এবং হালকা।

এইচটিসি বাজারে আসার পরে ভুয়া কিছু কোম্পানী আসলেই ভয় পেয়ে গিয়েছে। যেমন ব্ল্যাকবেরি, কোনো কাজ কাম নাই, হুদাই দাম।

আর এটার সাথে ব্যবহার করছি সনিএরিকসনের HBH-DS970 স্টেরিও ব্লুটুথ হেডফোন। জটিল কম্বিনেশন হয়েছে। 🙂 সাউন্ডের ক্ষেত্রে সনির বিকল্প নাই বলে আমার মনে হয়।

খুব মজায় আছি এটা নিয়ে।