আমরা ইন্টারনেটে চ্যাট করার জন্য ইয়াহু, এমএসএন, গুগল্ টক্ ইত্যাদী ম্যাসঞ্জার ব্যবহার করে থাকি এবং ব্রডব্যান্ড সার্ভিসের কুদরতে সর্বক্ষন অনলাইনে লগ-ইন করে রাখি আমাদের ম্যাসঞ্জার সফটওয়্যারগুলিকে। এই সফটওয়্যারগুলিতে থাকে লিখে চ্যাট করার পাশাপাশি কথা বলার সুযোগ আছে এবং আজকে বিশ্বব্যাপি এটা বেশ জনপ্রিয় একটি যোগাযোগ মাধ্যমে পরিণত হয়েছে। যে-কোনো কম্পিউটার ব্যবহারকারী ইন্টারনেট সংযোগের মধ্যমে আরেকজনের সাথে কথা বলতে বা চ্যাট করতে পারছে একেবারে বিনামূল্যে।

আমাদের ধরণা ইয়াহু, এমএসএন, গুগল্ টক্ আমাদের এই সেবাগুলি দিচ্ছে বিশাল বিশাল সার্ভারের মাধ্যমে। কিন্তু বাস্তবটা অন্যরকম। যখন ম্যাসঞ্জার নতুন উদ্ভাবিত হয়, তখন সেবাদাতারা সার্ভার তৈরী করে সেবা দিতো, কিন্তু দিন দিন ব্যবহারের হার এতই বেড়ে গেলো যে সার্ভার রক্ষনাবেক্ষণের ব্যায়ের কথা চিন্তা করে নতুন এক প্রযুক্তি ব্যবহারে বাধ্য হলো, আর সেটা হচ্ছে পয়েন্ট টু পয়েন্ট (সংক্ষেপে P2P) সংযোগ। আমরা যখনি ইন্টারনেটের সাথে সংযুক্ত হই, তখন আমাদের আইএসপি’র সার্ভার আমাদের কম্পউটারকে একটি আইপি প্রদান করে। সেই আইপি ঠিকানাটি আমাদের কম্পিউটার সম্পর্কে বিস্তারিত অবস্থান পরিচিতি বহন করে।

এর পরে কোনো ব্যবহারকারী ম্যাসেঞ্জারে লগ-ইন করার সাথে সাথে ম্যাসেঞ্জার সেবাদানকারী সার্ভার সংযুক্ত ম্যাসেঞ্জারগুলির আইপি ঠিকানানুযায়ী রেকর্ড করে রাখছে কার অবস্থান কোথায় কিছুটা এভাবে “আইএসপি’র সার্ভারের আইপি ঠিকানা অনুযায়ী সেটার অবস্থান -> আইএসপি প্রদত্ত আইপি অনুযায়ী আমাদের কম্পিউটারের অবস্থান” এবং অবস্থান অনুযায়ি একটি ভার্চুয়াল মানচিত্র তৈরী করে রাখে নিজের মধ্যে। এক ব্যবহারকারী অন্য ব্যবহারকারীর সাথে যোগাযোগ করতে চাইলে ম্যাসেঞ্জারের সার্ভার সেই মানচিত্রের রেকোর্ড অনুযায়ী পথের মধ্যে অন্যান্য ম্যাসেঞ্জারের তথ্য দুই ব্যবহারকারীকে জানিয়ে দেয় এবং দুই প্রান্তের দুই ব্যাবহারকারী অন্য ম্যাসেঞ্জারগুলির ঘাড়ে পা দিয়ে যোগাযোগ করতে থাকে। এতে করে আপনি কথা বলুন আর চ্যাট করুন, সেবাদাতারা কোনো ব্যান্ডউইড্থ অপচয় না করেই নিরবিচ্ছিন্ন সেবা দিয়ে যান।