তারহীন ইন্টারনেট সুবিধা ভোগ করার জন্য চলছে ব্যপক গবেষণা, এ যেন লাগাম ছিঁড়ে ছুটে বেড়ানোর আদম্য প্রচেষ্টা। ইন্টেল আবিস্কার করেছে WiMax, ব্যবহারিক ব্যয় বেশী হবার জন্য ব্যবসায় একেবারেই অসফল এই প্রযুক্তি। কুয়ালকম আবিস্কার করেছিলো CDMA এবং পরে ব্যপক গবেষণা চালিয়ে জাপানের FOMA প্রযুক্তি অনুসরণ করে CDMA-কে উন্নয়ন করে তৈরী করা হয় W-CDMA এবং এখন পর্যন্ত এটাই পৃথিবীর সবচাইতে জনপ্রিয় এবং বহুল ব্যবহৃত দ্রুতগতির মোবাইল ইন্টারনেট প্রযুক্তি।
আমাদের দেশে বর্তমানে GPRS (সবচাইতে পুরনো এবং সবচাইতে ধীর গতির), CDMA এবং EDGE (২য় পজন্মের প্রযুক্তি এবং নির্ভরযোগ্য) প্রযুক্তি ব্যবহার হয়ে থাকে মোবাইল ইন্টারনেট পরিসেবা দেবার জন্য। কিন্তু এদেরমধ্যে একটিও লাগামহীন সুবিধা দিতে সক্ষম নয়, যেটা সম্ভব W-CDMA (ওয়াইডব্যান্ড কোড ডিভিশন মাল্টিপল একসেস) নির্ভর UMTS (ইউনিভার্সেল মোবাইল টেলিকমিউনিকেশন সিস্টেম, ৩য় প্রজন্মের প্রযুক্তি)-এর ক্ষেত্রে।
পৃথিবীতে আবিষ্কার হওয়া সবগুলি প্রযুক্তির মধ্যে একমাত্র UMTS দিতেপারে প্রয়োজনমতো উচ্চগতির মোবাইল ইন্টারনেট। এর আগে আবিস্কার হওয়া প্রতিটি প্রযুক্তিতে ব্যবহৃত হতো আপলোড এবং একটি ডাউনলোডের জন্য একটি করে চ্যানেল, যার ফলে এক স্থানে ব্যবহারকারী বেড়ে গেলে গতি কমে যাওয়ার একটা বিষয় থেকেই যেতো, কিন্তু UMTS-এর ক্ষেত্র একাধিক চ্যানেল থাকায় গতি কমে যাওয়ার সম্ভবনা খুব কম এবং বিশাল এলাকাজুড়ে পরিসেবা দেয়া সম্ভব। একই কারনে UMTS দিতে পারে প্রতি সেকেন্ডে ২.০ মেগাবাইট গতির ট্রান্সফার।
UMTS-এর প্রয়োগ সম্পর্কে জানা যায় শিঘ্রই গ্রামীণফোন ঢাকা এবং চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন এলাকায় UMTS-এর মাধ্যমে ইন্টারনেট পরিসেবা চালু করবে। বর্তমানে গ্রামীণের আভ্যন্তরিন ইনফ্রাস্ট্রাকচার তৈরী হয়ে গিয়েছে এবং কিছুদিনের মধ্যেই গ্রহকরা এই সুবিধা উপভোগ করতে পারবে।